ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শতভাগ পাস দেখাতে ‘কম নম্বর’ পাওয়াদের বাদ দিলে ব্যবস্থা: এহসানুল কবির প্রধান উপদেষ্টাকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ সালাহউদ্দিন আহমদের কৃষকের হাতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়বে বিএনপি: তারেক রহমান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হচ্ছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি সংস্কারের মধ্য দিয়েই বিএনপির জন্ম: মির্জা ফখরুল অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে বসছে ইসি কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে: তাহের গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ও ফল রপ্তানিতে সহায়তার আশ্বাস এফএওর যেনতেন নির্বাচন দিয়ে ‘সেফ এক্সিট’ নিতে দেওয়া হবে না: সারজিস কেন্দ্রিয় নেতাদের সঙ্গে বাবুলের বৈঠক

বিএনপি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী : অনিন্দ্য ইসলাম

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২৪ জন পড়েছেন
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ‘বিএনপি কখনোই দেশের জনগণের চিন্তার বাইরে যায়নি, আগামীতেও যাবে না। বিএনপি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আর গণতন্ত্র মানে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। আগামী দিনে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যাদের পক্ষে রায় দেবে, তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ওলামা-মশায়েখদের ভূমিকা, দেশ পুনর্গঠনে ওলামা-মশায়েখদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। মূখ্য আলোচক ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে দেশের ওলামা-শায়েখদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছিল।

বিএনপি বিশ্বাস করে, এই চূড়ান্ত আন্দোলনে তাদের রক্ত ঝরেছে। দেশের আলেম সমাজের প্রতি এই কৃতজ্ঞতা বিএনপির মধ্যে রয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যেখানে মানুষ দাড়ি রাখতে, টুপি পরতে ভয় পেত। দাড়ি রাখা ও টুপি পরাটাও যেন এক ধরনের অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতো।
বিএনপি বারংবার এই অন্যায় বিষয়গুলো জাতির সামনে তুলে ধরেছে।’তিনি আরো বলেন, ‘সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যখন উপলব্ধি করেছে শেখ হাসিনা কত বড় ফ্যাসিস্ট, তখন তারা এক কাতারে এসেই গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব দাবি করলেও বিএনপি সেটি জনগণের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে। গেল ৫ আগস্ট, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আলেম-ওলামাদের সহযোগিতায় যশোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছিল।’

ধর্ম ও রাজনীতি প্রসঙ্গে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান, এটি চর্চার বিষয়। কিন্তু রাজনীতিতে ইসলাম ব্যবহার করব, অথচ চরিত্রে ইসলাম ধারণ করব না—এটি ইসলামের শিক্ষা নয়। তাই সবাইকে চরিত্রে ইসলামকে ধারণ করতে হবে। বিএনপি কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে বিশ্বাস করে না এবং ভবিষ্যতেও তা করতে দেবে না।’তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ধর্মীয় চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সংবিধানে- বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম, সন্নিবেশ করেছিলেন। মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থার বিষয়টিও তিনি সংবিধানে যুক্ত করেন। শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া ইসলাম ও আলেম সমাজের ইজ্জত ও সম্মান রক্ষা করেছেন। আগামী দিনে তাদের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে তারেক রহমানও একই ধারা অনুসরণ করবেন। ইনশাআল্লাহ, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড হবে না।’

আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য দেন মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা রুহুল আমিন, মুফতি মুজিবুর রহমান, মাওলানা নাজির উদ্দিন, মাওলানা হামিদুল ইসলাম, মাওলানা বেলায়েত হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ড. মাসুদুর রহমান।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বিএনপি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী : অনিন্দ্য ইসলাম

আপডেট সময় : ০৪:৫৬:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ‘বিএনপি কখনোই দেশের জনগণের চিন্তার বাইরে যায়নি, আগামীতেও যাবে না। বিএনপি স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। আর গণতন্ত্র মানে সংখ্যাগরিষ্ঠের শাসন। আগামী দিনে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ যাদের পক্ষে রায় দেবে, তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে ওলামা-মশায়েখদের ভূমিকা, দেশ পুনর্গঠনে ওলামা-মশায়েখদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। মূখ্য আলোচক ছিলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন।

অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে দেশের ওলামা-শায়েখদের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ছিল।

বিএনপি বিশ্বাস করে, এই চূড়ান্ত আন্দোলনে তাদের রক্ত ঝরেছে। দেশের আলেম সমাজের প্রতি এই কৃতজ্ঞতা বিএনপির মধ্যে রয়েছে। শেখ হাসিনার শাসনামলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যেখানে মানুষ দাড়ি রাখতে, টুপি পরতে ভয় পেত। দাড়ি রাখা ও টুপি পরাটাও যেন এক ধরনের অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতো।
বিএনপি বারংবার এই অন্যায় বিষয়গুলো জাতির সামনে তুলে ধরেছে।’তিনি আরো বলেন, ‘সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যখন উপলব্ধি করেছে শেখ হাসিনা কত বড় ফ্যাসিস্ট, তখন তারা এক কাতারে এসেই গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব দাবি করলেও বিএনপি সেটি জনগণের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছে। গেল ৫ আগস্ট, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আলেম-ওলামাদের সহযোগিতায় যশোরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হয়েছিল।’

ধর্ম ও রাজনীতি প্রসঙ্গে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান, এটি চর্চার বিষয়। কিন্তু রাজনীতিতে ইসলাম ব্যবহার করব, অথচ চরিত্রে ইসলাম ধারণ করব না—এটি ইসলামের শিক্ষা নয়। তাই সবাইকে চরিত্রে ইসলামকে ধারণ করতে হবে। বিএনপি কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ডে বিশ্বাস করে না এবং ভবিষ্যতেও তা করতে দেবে না।’তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ধর্মীয় চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সংবিধানে- বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম, সন্নিবেশ করেছিলেন। মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থার বিষয়টিও তিনি সংবিধানে যুক্ত করেন। শহীদ জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া ইসলাম ও আলেম সমাজের ইজ্জত ও সম্মান রক্ষা করেছেন। আগামী দিনে তাদের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে তারেক রহমানও একই ধারা অনুসরণ করবেন। ইনশাআল্লাহ, তার নেতৃত্বে বাংলাদেশে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড হবে না।’

আলোচনাসভায় আরো বক্তব্য দেন মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা রুহুল আমিন, মুফতি মুজিবুর রহমান, মাওলানা নাজির উদ্দিন, মাওলানা হামিদুল ইসলাম, মাওলানা বেলায়েত হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ড. মাসুদুর রহমান।