জেলা বিএনপিতে ফতুল্লা ৬ নেতার মাঝে ৫ নেতাই গিয়াস বিরোধী
জেলা বিএনপিতে ফতুল্লা ৬ নেতার মাঝে ৫ নেতাই গিয়াস বিরোধী

- আপডেট সময় : ১২:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫
- / ৯০ জন পড়েছেন
ফতুল্লা থানা বিএনপিতে ফতুল্লার যে ছয় নেতা স্থান পেয়েছেন তাদের মাঝে পাঁচ জনই সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিনের বিরোধী। তার পক্ষে রয়েছেন মাত্র একজন। আর তিনি হলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট বারী ভুইয়া।
বাকী পাঁচজন হলেন থানা বিএনপির বর্তমান সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু। তিনি আগাগোড়াই গিয়াস বিরোধী একজন নেতা। টিটুর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে বিগত সময়ে টিটু ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি হোক এটা চাননি গিয়াস উদ্দিন।
তিনি সুলতান মোল্লা বা তার অনুগত অন্য কাউকে সভাপতি বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু টিটু ঢাকায় লবিং করে সভাপতির পদটি বাগিয়ে নিয়েছেন। সেই থেকে টিটুকে আর গিয়াস উদ্দিনের কোনো প্রোগ্রামে দেখা যায়নি। তিনি এবার জেলা বিএনপির কমিটিতে স্থান পেয়েছেন।
অপরদিকে ফতুল্লা থানা বিএনপির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী আরো কট্টর গিয়াস বিরোধী একজন নেতা হিসাবে পরিচিত। বিগত সময়ে গিয়াস উদ্দিনের নির্দেশে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এডভোকেট বারী ভুইয়া রিয়াদকে দল থেকে বহিস্কার করেছিলেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী এখন গিয়াস উদ্দিনের কট্টর বিরোধী।
এছাড়া বাকি তিন জনের মাঝে দুই জন আগে থেকেই মামুন মাহমুদের লোক। এই দুই জন হলেন একরামুল কবির মামুন এবং নাদিম হাসান মিঠু।
এই দুই নেতা এক সময় যুবদল করতেন এবং মামুন মাহমুদের সহকর্মী ছিলেন। ফলে এবার মামুন মাহমুদ জেলা বিএনপির আহবায়ক হওয়ার কারনে এই দুই জনকে জেলা বিএনপিতে নিতে সক্ষম হয়েছেন।
অপরদিকে রহিমা শরীফ মায়া শুরু থেকেই মহানগর বিএনপির নেতাদের সঙ্গে রাজনীতি করেন। তবে তিনি দলের রাজনীতি করেন, গিয়াস উদ্দিন বা অন্য কারো রাজনীতি করেন না, বরং তিনিও কিছুটা গিয়াস বিরোধী হিসাবে পরিচিত।
ফলে এই ছয় জনের মাঝে মাত্র একজন গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক। বাকী পাঁচ জনই তার বিরোধী হিসাবে পরিচিত। অন্তত তারা গিয়াস উদ্দিনের সমর্থক নন এটা পরিস্কার। তাই এই মুহুর্তে সাংগঠনিক ভাবে অনেকটাই বিপর্জয়ের মাঝে রয়েছেন গিয়াস উদ্দিন। তবে ফতুল্লার পাড়া মহল্লায় তার কিছু কট্টর সমর্থক রয়েছেন।