নতুন জাতীয় সরকার গঠনের এজেন্ডা ছিল গোয়েন্দা এজেন্ট এনায়েতের

- আপডেট সময় : ০৪:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৪ জন পড়েছেন
বর্তমান সরকারকে পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করাই ছিল গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে আসা এনায়েত করিম চৌধুরীর। তিনি ইলিয়াস কাঞ্চনের দল জনতা পার্টি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাতেও ছিলেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আক্তার মোর্শেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্তবর্তী সরকারকে উৎখাত করার জন্য ভিন্ন একটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে বাংলাদেশে আসেন এনায়েত করিম চৌধুরী। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি উচ্চ ও নীতিনির্ধারক পর্যায়ে একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা, ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন। বর্তমান সরকারকে পরিবর্তন করে নতুন জাতীয় সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করাই ছিল লক্ষ্য।
সোমবার রমনা মডেল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় এনায়েত করিম চৌধুরীকে ৪৮ ঘণ্টার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পায় পুলিশ। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান এ রিমান্ডের আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আক্তার মোর্শেদ বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চনের জনতা পার্টি গোয়েন্দা এজেন্টের অর্থায়নে চলে। এ বিষয়ে তিনি আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
জানা যায়, জনতা পার্টি গঠনে এনায়েত করিমের ভূমিকা ছিল। এর জন্য তিনি নিয়মিত অর্থও জোগান দিতেন। এদিকে, নিজেকে সিআইএ এজেন্ট দাবি করা এনায়েতের বেতনভুক্ত সহযোগী গোলাম মোস্তফা আজাদকেও গ্রেফতারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে দুজন উপপুলিশ মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) সঙ্গে তাদের কার্যক্রমে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের বিষয়টি। এছাড়া অন্তত দেড়শ কোটি টাকার বিনিময়ে একজন প্রভাবশালী সচিবকে দুদকের মামলা থেকে বাঁচাতে চুক্তি করা হয় এনায়েতের সঙ্গে। তার সঙ্গে বহু সরকারি কর্মকর্তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের তথ্য উঠে এসেছে জিজ্ঞাসাবাদে।
রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে যুক্ত কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার তাকে ৪৮ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, জনতা পার্টি আত্মপ্রকাশের সঙ্গে এনায়েত করিম চৌধুরী শুরু থেকে জড়িত। পার্টির গঠন থেকে শুরু করে পার্টি পরিচালনার জন্য সিংহভাগ অর্থই জোগান দিতেন রহস্যময় এই মার্কিন নাগরিক।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আক্তার মোর্শেদ বলেন, ইলিয়াস কাঞ্চন ও তার নবগঠিত দলের সঙ্গে এনায়েতের যোগাযোগের সত্যতা রয়েছে। দল গঠনে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এনায়েত এই দলে প্রতি মাসে সাড়ে ৩ লাখ করে টাকা দিতেন। বাকি টাকা ইলিয়াস কাঞ্চন নিজে জোগাড় করতেন।
ইলিয়াস কাঞ্চন দেশের বাইরে থাকায় এ তথ্য তার বক্তব্যের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি।
গত ২৫ এপ্রিল চিত্রনায়ক ও নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতা পার্টি বাংলাদেশ’। দলটির দলীয় স্লোগান-গড়ব মোরা ইনসাফের দেশ।