ঢাকা ০৯:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

জুলাই সনদে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া বিকল্প নেই

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৬:৩০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৮ জন পড়েছেন

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দফা সভায় তিনি বলেন, সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা সংবিধান বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের হাতে। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণয়ন করেছি, যদিও কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও ভিন্নমত আছে। কিন্তু চূড়ান্তভাবে কী হবে, তার সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।

তিনি আরও বলেন, কমিশনের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদ রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কিছু রাজনৈতিক দল ও নেতা সনদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এ প্রসঙ্গে মঞ্জু প্রশ্ন রেখে বলেন, আজ যারা সনদ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, কাল তারা সংসদে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং তখন কি এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না—তার নিশ্চয়তা কোথায়?

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই-ওটা নেই বলে সংস্কার সম্ভব নয়—এমন ধারণা অভ্যুত্থান প্রবণতারই বহিঃপ্রকাশ। রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে, যা জাতিকে গভীর সংকটে ফেলবে।

তিনি আরও যোগ করেন, জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা এখন জরুরি। অন্যথায় গণভোটের পথ ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জুলাই সনদে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া বিকল্প নেই

আপডেট সময় : ০৬:৩০:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

বুধবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দফা সভায় তিনি বলেন, সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা সংবিধান বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের হাতে। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণয়ন করেছি, যদিও কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও ভিন্নমত আছে। কিন্তু চূড়ান্তভাবে কী হবে, তার সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ।

তিনি আরও বলেন, কমিশনের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদ রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কিছু রাজনৈতিক দল ও নেতা সনদের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

এ প্রসঙ্গে মঞ্জু প্রশ্ন রেখে বলেন, আজ যারা সনদ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, কাল তারা সংসদে গিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং তখন কি এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না—তার নিশ্চয়তা কোথায়?

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই-ওটা নেই বলে সংস্কার সম্ভব নয়—এমন ধারণা অভ্যুত্থান প্রবণতারই বহিঃপ্রকাশ। রাজনৈতিক দলগুলো যদি নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে, যা জাতিকে গভীর সংকটে ফেলবে।

তিনি আরও যোগ করেন, জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করা এখন জরুরি। অন্যথায় গণভোটের পথ ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না।