ঢাকা ১০:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অধ্যক্ষের অনিয়ম তদন্তে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে দুদকের অভিযান

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৩ জন পড়েছেন
কলেজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের খরচ, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত বিভিন্ন বিষয়ের ফি এবং কলেজের আয় ও ব্যয়ের উৎসসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সূত্রধরের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধি দলটি কলেজে আসেন। ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের কক্ষে প্রবেশ করেন। ওই সময় তারা অভিযোগের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চান ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শুরু করেন।

এ ছাড়া তারা কলেজের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন।এ বিষয়ে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সূত্রধর জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে কলেজটিতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে কলেজের মাইক্রোবাস ব্যবহারের মাইলেন্স ও কত লিটার তেল ব্যবহারের করেছেন তা লক বইয়ে উল্লেখ না থাকার প্রমাণ পেয়েছি। এই গাড়িটি ছাত্রদের ব্যবহার করা কথা, কিন্তু গাড়িটি শুধু অধ্যক্ষ নিজের কাজে ব্যবহার করার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে।

অথচ এই গাড়ির পরিবহন খরচ বাবদ প্রতিটি ছাত্রের কাজ থেকে আড়াই শ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কলেজের উন্নয়ন তহবিলের বাউচার যেগুলো আছে, সেগুলো আমাদের কাছে সঠিক বলে মনে হয়নি। বিবিধ তহবিলের বাউচারগুলোও যাচাই-বাচাই অব্যাহত রয়েছে।এ বিষয়ে প্রফেসর আমিনুল ইসলাম বলেন, কিছু শিক্ষক এবং কয়েকজন বখাটে শিক্ষার্থী আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য দুদক এবং মাউশিতে অভিযোগ দিয়েছে।

কলেজের একটি হায়েস গাড়ি (মাইক্রোবাস) রয়েছে। এ গাড়ি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়া-আসার কাজে ব্যবহার করা হয়। গাড়ির মেইনটেন্স খরচ রয়েছে। ফলে অর্থ খরচ হবেই।প্রসঙ্গত, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর প্রফেসর আমিনুল ইসলাম অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজেটিতে যোগদান করেন।

এ অবস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়। পাশাপাশি গত ২৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জ জেলায় দুদকের ১৮১তম গণশুনানিতে বিষয়গুলো অভিযোগ আকারে উত্থাপিত হয়। ওই সময় দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী অভিযোগগুলো দুদকের তফসিলভুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দেন। 

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

অধ্যক্ষের অনিয়ম তদন্তে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে দুদকের অভিযান

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
কলেজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের খরচ, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত বিভিন্ন বিষয়ের ফি এবং কলেজের আয় ও ব্যয়ের উৎসসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সূত্রধরের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধি দলটি কলেজে আসেন। ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের কক্ষে প্রবেশ করেন। ওই সময় তারা অভিযোগের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চান ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শুরু করেন।

এ ছাড়া তারা কলেজের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন।এ বিষয়ে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সূত্রধর জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমতির পরিপ্রেক্ষিতে কলেজটিতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে কলেজের মাইক্রোবাস ব্যবহারের মাইলেন্স ও কত লিটার তেল ব্যবহারের করেছেন তা লক বইয়ে উল্লেখ না থাকার প্রমাণ পেয়েছি। এই গাড়িটি ছাত্রদের ব্যবহার করা কথা, কিন্তু গাড়িটি শুধু অধ্যক্ষ নিজের কাজে ব্যবহার করার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে।

অথচ এই গাড়ির পরিবহন খরচ বাবদ প্রতিটি ছাত্রের কাজ থেকে আড়াই শ টাকা করে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কলেজের উন্নয়ন তহবিলের বাউচার যেগুলো আছে, সেগুলো আমাদের কাছে সঠিক বলে মনে হয়নি। বিবিধ তহবিলের বাউচারগুলোও যাচাই-বাচাই অব্যাহত রয়েছে।এ বিষয়ে প্রফেসর আমিনুল ইসলাম বলেন, কিছু শিক্ষক এবং কয়েকজন বখাটে শিক্ষার্থী আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য দুদক এবং মাউশিতে অভিযোগ দিয়েছে।

কলেজের একটি হায়েস গাড়ি (মাইক্রোবাস) রয়েছে। এ গাড়ি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়া-আসার কাজে ব্যবহার করা হয়। গাড়ির মেইনটেন্স খরচ রয়েছে। ফলে অর্থ খরচ হবেই।প্রসঙ্গত, গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর প্রফেসর আমিনুল ইসলাম অধ্যক্ষ হিসেবে কলেজেটিতে যোগদান করেন।

এ অবস্থায় অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন মিডিয়ায় আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়। পাশাপাশি গত ২৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জ জেলায় দুদকের ১৮১তম গণশুনানিতে বিষয়গুলো অভিযোগ আকারে উত্থাপিত হয়। ওই সময় দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী অভিযোগগুলো দুদকের তফসিলভুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দেন।