ঢাকা ০৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৭:২৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৭ জন পড়েছেন
নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল বউবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী, স্ত্রী ও চার বছর বয়সী সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দরজা ভেঙে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন হাবিবুল্লাহ শিপলু (৩৫), তার স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম (২৫) ও ছেলে আফরান (৪)। শিপলুর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাবিরন এলাকায়।

পুলিশ জানায়, বউবাজারে পমরদেহ মিয়ার সাততলা ভবনের চতুর্থ তলায় তারা ভাড়া থাকতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুরের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের বড় ভাই অলিউল্লাহ লাভলুর বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, মা ও সন্তানের মুখে বালিশচাপা দেওয়া ছিল। শিপলুকে অন্য কক্ষে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।তারেক আল মেহেদী আরো বলেন, নিহত হাবিবুল্লাহ শিপলু একটি সমিতির ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সমিতির মালিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়।

পরে গ্রাহকরা মালিক ও তার বিরুদ্ধে মামলা করে। সে থেকে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, হতাশাগ্রস্ত থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। 

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৭:২৩:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল বউবাজার এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে স্বামী, স্ত্রী ও চার বছর বয়সী সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দরজা ভেঙে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন হাবিবুল্লাহ শিপলু (৩৫), তার স্ত্রী মোহিনী আক্তার মীম (২৫) ও ছেলে আফরান (৪)। শিপলুর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার দাবিরন এলাকায়।

পুলিশ জানায়, বউবাজারে পমরদেহ মিয়ার সাততলা ভবনের চতুর্থ তলায় তারা ভাড়া থাকতেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুরের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতের বড় ভাই অলিউল্লাহ লাভলুর বরাত দিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, মা ও সন্তানের মুখে বালিশচাপা দেওয়া ছিল। শিপলুকে অন্য কক্ষে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।তারেক আল মেহেদী আরো বলেন, নিহত হাবিবুল্লাহ শিপলু একটি সমিতির ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সমিতির মালিক গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়।

পরে গ্রাহকরা মালিক ও তার বিরুদ্ধে মামলা করে। সে থেকে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। ধারণা করা হচ্ছে, হতাশাগ্রস্ত থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।