ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশজুড়ে নতুন কর্মসূচি দিল ‘জুলাই ঐক্য’

সোজাসাপটা রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
  • / ২ জন পড়েছেন

দেশজুড়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে ‘জুলাই ঐক্য’। জাতিকে বিভক্তির ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।
আজ শনিবার থেকে দেশজুড়ে ৬ দিনব্যাপী অনলাইন ও অফলাইনে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী রোববার রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে সংগঠনটি।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে জাতিকে বিভিন্ন বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতীয় প্রক্সি স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার রেখে যাওয়া দোসররা এখনও দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসে আছে। গত বৃহস্পতিবার আমরা দেখেছি বিরক্ত হয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জুলাইয়ের রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল সরকারকে সহযোগিতা করে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করা। কিন্তু আমরা দেখছি রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা না করে জুলাইয়ের সরকারের গলাটিপে ধরছে। ৫ আগস্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ভেঙে যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হলো তখন থেকেই জুলাই শক্তির মধ্যে ফাটল ধরল। আমরা সেই ঐক্য ফিরিয়ে আনতে চাই।

জুলাই ঐক্য জানায়, একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতের সঙ্গে মিলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রাজনৈতিক শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। ভারতীয় এজেন্টরা জুলাইয়ের শক্তিগুলোর মধ্যে ফাটল তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১০ মে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন- আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জুলাইয়ের বিপ্লবী ঘোষণাপত্র দেয়া হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি তারপর থেকেই ভারতপন্থি দলগুলো পাগলের মতো ছুটাছুটি শুরু করেছে। একদিকে ভারত অপরদিকে দেশে থাকা দিল্লিপন্থিরা সরকারকে চাপ দিচ্ছে। আমরা ভারতীয় প্রক্সিদের স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ না হলে পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং তাদের সহযোগিতা করা রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে দায়ভার নিতে হবে।

উপদেষ্টা পরিষদে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে জুলাই ঐক্য মনে করছে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। উপদেষ্টা পরিষদের যেসব সদস্যরা ভারতীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা জুলাই ঐক্য থেকে ঘোষণা দিতে চাই, জন্মভূমির স্বার্থে জুলাই যোদ্ধারা আবারও রক্ত দিতে প্রস্তুত। আগ্রাসন রুখতে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তেই জুলাই ঐক্যের পথচলা।

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সারা দেশে থাকা জুলাইয়ের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে অনলাইন ও অফলাইনে ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এছাড়া রোববার (২৫ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় জুলাইয়ের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে ভারতীয় ষড়যন্ত্র রুখে দিতে শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এড্রেস লিখুন :

দেশজুড়ে নতুন কর্মসূচি দিল ‘জুলাই ঐক্য’

আপডেট সময় : ১২:৩০:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

দেশজুড়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে ‘জুলাই ঐক্য’। জাতিকে বিভক্তির ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় গণঅভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।
আজ শনিবার থেকে দেশজুড়ে ৬ দিনব্যাপী অনলাইন ও অফলাইনে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী রোববার রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে সংগঠনটি।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে জাতিকে বিভিন্ন বিভক্ত করার ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতীয় প্রক্সি স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার রেখে যাওয়া দোসররা এখনও দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসে আছে। গত বৃহস্পতিবার আমরা দেখেছি বিরক্ত হয়ে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জুলাইয়ের রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ছিল সরকারকে সহযোগিতা করে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে জাতীয় নির্বাচনের দাবি করা। কিন্তু আমরা দেখছি রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা না করে জুলাইয়ের সরকারের গলাটিপে ধরছে। ৫ আগস্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ভেঙে যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হলো তখন থেকেই জুলাই শক্তির মধ্যে ফাটল ধরল। আমরা সেই ঐক্য ফিরিয়ে আনতে চাই।

জুলাই ঐক্য জানায়, একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে দেশ ও দেশের বাইরে থেকে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। ভারতের সঙ্গে মিলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে রাজনৈতিক শৃঙ্খলা নষ্ট করছে। ভারতীয় এজেন্টরা জুলাইয়ের শক্তিগুলোর মধ্যে ফাটল তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ১০ মে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন- আগামী ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জুলাইয়ের বিপ্লবী ঘোষণাপত্র দেয়া হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি তারপর থেকেই ভারতপন্থি দলগুলো পাগলের মতো ছুটাছুটি শুরু করেছে। একদিকে ভারত অপরদিকে দেশে থাকা দিল্লিপন্থিরা সরকারকে চাপ দিচ্ছে। আমরা ভারতীয় প্রক্সিদের স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ না হলে পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং তাদের সহযোগিতা করা রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে দায়ভার নিতে হবে।

উপদেষ্টা পরিষদে পরিবর্তন আনার কথা জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে জুলাই ঐক্য মনে করছে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন। উপদেষ্টা পরিষদের যেসব সদস্যরা ভারতীয় অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছে, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা জুলাই ঐক্য থেকে ঘোষণা দিতে চাই, জন্মভূমির স্বার্থে জুলাই যোদ্ধারা আবারও রক্ত দিতে প্রস্তুত। আগ্রাসন রুখতে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তেই জুলাই ঐক্যের পথচলা।

এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার থেকে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সারা দেশে থাকা জুলাইয়ের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে অনলাইন ও অফলাইনে ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে। এছাড়া রোববার (২৫ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় জুলাইয়ের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে ভারতীয় ষড়যন্ত্র রুখে দিতে শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।