ঢাকা ১২:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৩৫ শতাংশ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ফি

১৩৫ শতাংশ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ফি

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৩:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪৬ জন পড়েছেন

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ আরও ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হওয়া নতুন আইন “ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট” অনুযায়ী, নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার জন্য আবেদনকারীদের অতিরিক্ত ২৫০ ডলার ফি দিতে হবে।

আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই নতুন ভিসা ফি কার্যকর হতে পারে বলে জানা গেছে। খবর ইউএসএ টুডের।

বর্তমানে একটি ভ্রমণ ভিসার (বি১/বি২) ফি ১৮৫ ডলার। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে মোট খরচ দাঁড়াবে প্রায় ৪৩৫ ডলার — যা এক লাফে ১৩৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসামুক্ত কর্মসূচি (ইএসটিএ)–এর আওতাভুক্ত দেশগুলোর ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে না।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, নতুন ফি ২০২৬ সালে কার্যকর হতে পারে, যদিও আইনি দিক থেকে এটি আগামী অর্থবছরের শুরুতেই চালু করা সম্ভব। যদি তা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভিসাগুলোর একটি হয়ে দাঁড়াবে।

ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ভিসা ফি শুধু পর্যটন নয়, ক্রীড়া ও আন্তর্জাতিক আয়োজনেও প্রভাব ফেলবে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ ও ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর সমর্থক এমনকি খেলোয়াড়দের জন্যও অংশগ্রহণ কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, নতুন ফি হয়ত ফেরতযোগ্য। কিন্তু কীভাবে এ ফি ফেরত দেওয়া হবে সেটির কোনো পরিষ্কার কাঠামো বা নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে যা পরিষ্কার সেটি হলো—যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের খরচ বাড়তে যাচ্ছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

১৩৫ শতাংশ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ফি

১৩৫ শতাংশ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ফি

আপডেট সময় : ০৩:৪১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ আরও ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে। মার্কিন কংগ্রেসে পাশ হওয়া নতুন আইন “ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট” অনুযায়ী, নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসার জন্য আবেদনকারীদের অতিরিক্ত ২৫০ ডলার ফি দিতে হবে।

আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই নতুন ভিসা ফি কার্যকর হতে পারে বলে জানা গেছে। খবর ইউএসএ টুডের।

বর্তমানে একটি ভ্রমণ ভিসার (বি১/বি২) ফি ১৮৫ ডলার। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে মোট খরচ দাঁড়াবে প্রায় ৪৩৫ ডলার — যা এক লাফে ১৩৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসামুক্ত কর্মসূচি (ইএসটিএ)–এর আওতাভুক্ত দেশগুলোর ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে না।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, নতুন ফি ২০২৬ সালে কার্যকর হতে পারে, যদিও আইনি দিক থেকে এটি আগামী অর্থবছরের শুরুতেই চালু করা সম্ভব। যদি তা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ভিসাগুলোর একটি হয়ে দাঁড়াবে।

ইউএসএ টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন ভিসা ফি শুধু পর্যটন নয়, ক্রীড়া ও আন্তর্জাতিক আয়োজনেও প্রভাব ফেলবে। উদাহরণস্বরূপ, ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ ও ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে নিম্ন-আয়ের দেশগুলোর সমর্থক এমনকি খেলোয়াড়দের জন্যও অংশগ্রহণ কঠিন হয়ে পড়তে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, নতুন ফি হয়ত ফেরতযোগ্য। কিন্তু কীভাবে এ ফি ফেরত দেওয়া হবে সেটির কোনো পরিষ্কার কাঠামো বা নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে যা পরিষ্কার সেটি হলো—যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের খরচ বাড়তে যাচ্ছে।