ফজলুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবি

- আপডেট সময় : ০৬:৩৫:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৬ জন পড়েছেন
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নেটিজেনরা। রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ দাবি জানান তারা।
এরআগে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর দেওয়ায় ফজলুর রহমানকে শোকজ করে বিএনপি। বিএনপির একটি সূত্র যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ফজলুর রহমানকে শোকজের খবরটি যুগান্তরের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হলে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। ওই নিউজের ফটোকার্ডের মন্তব্যের ঘরে নেটিজেনরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন। তাদের মধ্যে অধিকাংশ ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ফজলুকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করলেই হবে না, তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সেলিম উল্লাস নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, ‘শোকজ করলে হবে না। স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।’
মো. হাবিবুর রহমান লেখেন, শুধু বহিষ্কার না। কথায় কথায় তরুণ সমাজকে রাজাকার/রাজাকারের বাচ্চা বলার অপরাধে গ্রেফতার এবং বিচার করতে হবে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, ফজলুকে শোকজ
সেলিম আবু রেজা লেখেন, বিএনপিকে টেনে নামাইতে চাইছে তার কথাবার্তার কারণে। চব্বিশের গণআন্দোলনের সার্থকতা নিয়ে মানুষ হতাশ।মানুষ ভাবছে শেখ হাসিনার দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে চব্বিশের গণআন্দোলনে হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে; চোখ দিয়েছে বিএনপি কি এর বিরুদ্ধে ছিল? উন্মাদ ফজলে প্রকাশ্যে বিএনপির নীতি আদর্শের বিরোধিতা করছে। কিন্তু পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে দল কোনো ব্যবস্থা নেইনি কেন?
নুরুল ইসলাম লেখেন, এই পাগলকে দল থেকে বহিষ্কার করে পাবনা পাঠানো হোক। তারপর ওইখান থেকে চিকিৎসা শেষে চিড়িয়াখানায় রেখে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।
বিএনপির করা কারণ দর্শানোর চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনি জুলাই-আগস্ট ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন এবং আত্মদানকারী শহীদদের নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন তা সম্পূর্ণরুপে দলীয় আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি। মহিমান্বিত এই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নিয়ে আপনার বক্তব্য জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আপনার বক্তব্য দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করার সুপরিকল্পিত চক্রান্তের প্রয়াস বলে অনেকেই মনে করে। এমনকি আপনি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দিয়ে কথা বলছেন। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির সাড়ে চারশোর অধিক নেতাকর্মীসহ ছাত্র-জনতার প্রায় দেড় হাজারের অধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং ত্রিশ হাজারেরও অধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার এ ধরনের বীরোচিত ভূমিকাকে আপনি প্রতিনিয়ত অপমান ও অমর্যাদা করছেন।
সুতরাং এ ধরনের উদ্ভট ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি বক্তব্যের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তার যথাযথ কারণ দর্শিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো’।