পাকিস্তানের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়বে: ডিসিসিআই

- আপডেট সময় : ০৪:৪৯:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
- / ১৩ জন পড়েছেন
ঢাকা: পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষর হলে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) তাসকীন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর কার্যালয়ে বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খানের সঙ্গে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি তাসকীন আহমেদের সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, সংষ্কৃতি ও জীবনাচরণের দিক দিয়ে দুদেশের মানুষের প্রচুর মিল রয়েছে এবং পাকিস্তানের টেক্সটাইল ও বিশেষকরে জুয়েলারি পণ্য এদেশের মানুষের মাঝে বেশ চাহিদা রয়েছে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নে এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য এদেশের বেসরকারিখাত সবসময়ই সরকারকে প্রস্তাব দিয়ে আসছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষর হলে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে। একই সঙ্গে দুদেশের মধ্যে সরাসরি বিমান ও কার্গো যোগাযোগ চালু হতে দুদেশের ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়বে।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয়ই রপ্তানির ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক এবং টেক্সটাইল খাতের ওপর অধিকমাত্রায় নির্ভরশীল, দুটোদেশেরই রপ্তানি পণ্যের বহুমূখীকরণের ওপর জোরারোপ করা প্রয়োজন।
তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপের দেশগুলোসহ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত পোশাকের নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহারের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে, যেখানে দুদেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের মনোনিবেশ করা আবশ্যক, যার মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
তিনি জানান, পূর্ব আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে দুদেশের পণ্য রপ্তানি বাড়াতে একযোগে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সিমেন্ট, চিনি, পাদুকা ও চামড়া প্রভৃতি খাতে পাকিস্তানের বেশ ভালো করছে এবং বাংলাদেশ চাইলে পাকিস্তান থেকে এ পণ্যগুলো আমদানি করতে পারে, পাশাপাশি ওষুধ খাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা পাকিস্তানের জন্য বেশ কার্যকর হবে বলে মত প্রকাশ করেন।
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দুদেশের কৃষি কাজ এবং পণ্যের উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি ও মূল্য সংযোজন বাড়ানো গেলে এ খাতে বৈশ্বিক বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি জানান, পাকিস্তানের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে শিগগিরই বাংলাদেশে ‘সিঙ্গেল কান্ট্রি এক্সিবিশন’-এর আয়োজন করা হবে, যার মাধ্যমে দুদেশের বেসরকারিখাতের সম্পর্ক আরও জোরাদারের সুযোগ তৈরি হবে।
এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা এবং পাকিস্তান হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।