ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
যানজট ও আবর্জনামুক্ত না.গঞ্জ গড়তে ঐক্যবদ্ধ প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা

যানজট ও আবর্জনামুক্ত না.গঞ্জ গড়তে ঐক্যবদ্ধ প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
  • / ২৯ জন পড়েছেন

সোজাসাপটা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের প্রধানতম সমস্যা যানজট নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সার্বিক নাগরিক জীবনের মানোন্নয়নে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে জেলা প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সমাজ। শহরের বিদ্যমান সংকটগুলো সমাধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে, একইসাথে ব্যবসায়ী নেতারাও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই ঐক্যের চিত্র ফুটে ওঠে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারায়ণগঞ্জের অবদান অনেক বেশি, এই জেলার একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় এখানকার জীবনমান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। রাস্তাঘাটে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকা এবং এর থেকে ডেঙ্গুর মতো রোগের বিস্তার আমাদের জন্য অশোভন। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে আমরা সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।”
তিনি জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে দুটি আধুনিক বর্জ্য সংগ্রাহক যান প্রস্তুত করেছে, যা খুব শীঘ্রই কার্যক্রম শুরু করবে।
সভার মূল আলোচনায় উঠে আসে শহরের প্রধানতম সমস্যা তীব্র যানজটের বিষয়টি। জেলা প্রশাসক বলেন, “শহরের যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত অটোরিকশা। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার অটো নিয়ন্ত্রণে আমাদের জনবলের সংকট রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের সাথে কথা বলে জনবল ৩৫ জন থেকে বাড়িয়ে ৫০ জন করার কথা থাকলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। জনবল না পেলে পুরোপুরি ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন।”
এই প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু যানজট নিরসনে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাকে ‘ওয়ান-ওয়ে’ বা একমুখী করার পরামর্শ দেন এবং শহরের বাস স্ট্যান্ডগুলোকে বাইরে স্থানান্তর করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে শহরের বাইরে সুবিধাজনক স্থানে বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়া গেলে যানজট অনেকটাই কমে আসবে।”
অটোরিকশার অনিয়ন্ত্রিত চলাচল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে বাকি অটোগুলোকে শহরের ভেতরে প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং তাদের জন্য শহরের বাইরে নির্দিষ্ট রুট নির্ধারণ করে দেওয়া যেতে পারে।”
ব্যবসায়ী নেতাদের প্রস্তাবের জবাবে জেলা প্রশাসক বিবি রোডের মতো কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাকে সম্পূর্ণ ‘অটোমুক্ত’ রাখা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
জেলা প্রশাসক কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাস্তার মোড়ে বা ফুটপাতে অবৈধভাবে ভ্যান বা দোকান বসতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “আমরা বারবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি, কিন্তু মানবিকতার দোহাই দিয়ে অনেকেই ছাড় পেয়ে যান। কিন্তু আর নয়। শহরের শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের কঠোর হতেই হবে।”
বাস ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি জানান, বাস মালিক ও চালকদের নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি চালক ও হেলপারদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক (ড্রেস) এবং নিয়োগপত্র নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় কিশোর গ্যাং ও মাদকের ভয়াবহতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জেলা প্রশাসক বলেন, “কিশোর গ্যাং এবং মাদকের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি পারিবারিকভাবেও সচেতনতা জরুরি। আমার জেলখানায় ১৩২০ জন আসামীর মধ্যে প্রায় ৫০০ জনই মাদকের আসামী। শুধুমাত্র আইন দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না, যদি না আমরা সামাজিকভাবে এদের বয়কট করি।”
চেম্বার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু বলেন, “কিশোর গ্যাং ও মাদক আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে।”
সভার শেষে এই সকল সমস্যা সমাধানে এবং গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি ‘সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটি’ গঠন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করে চেম্বার সভাপতি বলেন, “যদি আপনি এই শহরকে যানজটমুক্ত করতে পারেন, তবে নারায়ণগঞ্জের মানুষ সারাজীবন আপনার নাম স্মরণ রাখবে। আমরা আপনার পাশে আছি।”
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভায় বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ মতামত তুলে ধরেন এবং জেলা প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

যানজট ও আবর্জনামুক্ত না.গঞ্জ গড়তে ঐক্যবদ্ধ প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা

যানজট ও আবর্জনামুক্ত না.গঞ্জ গড়তে ঐক্যবদ্ধ প্রশাসন ও ব্যবসায়ীরা

আপডেট সময় : ০৪:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

সোজাসাপটা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের প্রধানতম সমস্যা যানজট নিরসন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সার্বিক নাগরিক জীবনের মানোন্নয়নে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে জেলা প্রশাসন ও ব্যবসায়ী সমাজ। শহরের বিদ্যমান সংকটগুলো সমাধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থানের কথা জানানো হয়েছে, একইসাথে ব্যবসায়ী নেতারাও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তুলে ধরে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই ঐক্যের চিত্র ফুটে ওঠে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহিদুল ইসলাম। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারায়ণগঞ্জের অবদান অনেক বেশি, এই জেলার একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় এখানকার জীবনমান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি। রাস্তাঘাটে ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকা এবং এর থেকে ডেঙ্গুর মতো রোগের বিস্তার আমাদের জন্য অশোভন। এই পরিস্থিতি পরিবর্তনে আমরা সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।”
তিনি জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য জেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে দুটি আধুনিক বর্জ্য সংগ্রাহক যান প্রস্তুত করেছে, যা খুব শীঘ্রই কার্যক্রম শুরু করবে।
সভার মূল আলোচনায় উঠে আসে শহরের প্রধানতম সমস্যা তীব্র যানজটের বিষয়টি। জেলা প্রশাসক বলেন, “শহরের যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত অটোরিকশা। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার অটো নিয়ন্ত্রণে আমাদের জনবলের সংকট রয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকের সাথে কথা বলে জনবল ৩৫ জন থেকে বাড়িয়ে ৫০ জন করার কথা থাকলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। জনবল না পেলে পুরোপুরি ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন।”
এই প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু যানজট নিরসনে বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেন। তিনি শহরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাকে ‘ওয়ান-ওয়ে’ বা একমুখী করার পরামর্শ দেন এবং শহরের বাস স্ট্যান্ডগুলোকে বাইরে স্থানান্তর করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “বাস মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে শহরের বাইরে সুবিধাজনক স্থানে বাস স্ট্যান্ড সরিয়ে নেওয়া গেলে যানজট অনেকটাই কমে আসবে।”
অটোরিকশার অনিয়ন্ত্রিত চলাচল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার বাইরে বাকি অটোগুলোকে শহরের ভেতরে প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং তাদের জন্য শহরের বাইরে নির্দিষ্ট রুট নির্ধারণ করে দেওয়া যেতে পারে।”
ব্যবসায়ী নেতাদের প্রস্তাবের জবাবে জেলা প্রশাসক বিবি রোডের মতো কোনো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাকে সম্পূর্ণ ‘অটোমুক্ত’ রাখা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
জেলা প্রশাসক কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাস্তার মোড়ে বা ফুটপাতে অবৈধভাবে ভ্যান বা দোকান বসতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “আমরা বারবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি, কিন্তু মানবিকতার দোহাই দিয়ে অনেকেই ছাড় পেয়ে যান। কিন্তু আর নয়। শহরের শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের কঠোর হতেই হবে।”
বাস ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তিনি জানান, বাস মালিক ও চালকদের নিয়ে একটি ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি চালক ও হেলপারদের জন্য নির্দিষ্ট পোশাক (ড্রেস) এবং নিয়োগপত্র নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় কিশোর গ্যাং ও মাদকের ভয়াবহতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জেলা প্রশাসক বলেন, “কিশোর গ্যাং এবং মাদকের বিরুদ্ধে একটি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি পারিবারিকভাবেও সচেতনতা জরুরি। আমার জেলখানায় ১৩২০ জন আসামীর মধ্যে প্রায় ৫০০ জনই মাদকের আসামী। শুধুমাত্র আইন দিয়ে এই সমস্যার সমাধান হবে না, যদি না আমরা সামাজিকভাবে এদের বয়কট করি।”
চেম্বার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু বলেন, “কিশোর গ্যাং ও মাদক আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এর বিরুদ্ধে এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে।”
সভার শেষে এই সকল সমস্যা সমাধানে এবং গৃহীত পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি ‘সার্বিক ব্যবস্থাপনা কমিটি’ গঠন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করে চেম্বার সভাপতি বলেন, “যদি আপনি এই শহরকে যানজটমুক্ত করতে পারেন, তবে নারায়ণগঞ্জের মানুষ সারাজীবন আপনার নাম স্মরণ রাখবে। আমরা আপনার পাশে আছি।”
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হুসাইনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভায় বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনসহ নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ মতামত তুলে ধরেন এবং জেলা প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।