ঢাকা ১০:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বেপরোয়া আজমেরী ওসমানের সেই গ্যাংস্টার গ্রুপ

বেপরোয়া আজমেরী ওসমানের সেই গ্যাংস্টার গ্রুপ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • / ৩৯ জন পড়েছেন

সোজাসাপটা রিপোর্ট
পলাতক গডফাদার আজমেরী ওসমানের সহযোগী উত্তর মাসদাইর গাবতলী, পশ্চিম ইসদাইর ব্যাংক টাউন, টাগারের পাড়, আলআমিন বাগ সহ আসপাশের এলাকার ত্রাস দূর্ধর্ষ গ্যাংস্টার গ্রুপ আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নতুন করে বিএনপি নেতাদের শেল্টার নিয়ে এই গ্রুপ মাঠে নেমেছে। এরা ব্যাংক টাউন এলাকায় গড়ে তুলেছে তাদের আস্তানা। এই গ্রুপের সদস্যরা ৫ আগষ্টের পর থেকে কখনো মশিউর রহমান রনি আবার কখনো রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়েছে। সম্প্রতি এই গ্যাংস্টার গ্রুপের সদস্যরা জাকির খানের নাম ভাঙ্গাচ্ছে বলে ওইসব এলাকার বাসিন্দার অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসী আরো জানিয়েছে বিগত সরকারের আমলে বেশ কয়েক বছর আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে বেপরোয়া উৎপাত চালিয়েছিলো গ্যাংস্টার গ্রুপের এই সন্ত্রাসীরা। ওই সময় এরা এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলো যে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদেরও পরোয়া করতো না। র‌্যাব সদস্যদের উপরও হামলা চালিয়েছেলো। মূলত এর পরেই গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছিলো র‌্যাব ও পুলিশ। র‌্যাবের অভিযানে এক দিনেই গ্রেফতার হয়েছিলো সাত সন্ত্রাসী। এদের কাছ থেকে পিস্তল, রামদা, চাইনিজ কুড়াল সহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করেছিলো। তখন জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার পেয়েছিলো এই গ্যাংস্টার গ্রুপের তৎপরতা এবং তাদেরকে গ্রেফতারের খবর। পরে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে এই গ্রুপ। এছাড়া বিগত ৫ আগষ্টের আগ পর্যন্ত এদের অত্যাচারে বিএনপির নেতাকর্মীরা এলাকায় ঢুকতে পারেনি। কিন্তু ৫ আগষ্টের পরপরই এরা বোল পাল্টিয়ে রাতারাতি বিএনপি বনে যায়। প্রথমে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর এবং মশিউর রহমান রনির নাম ভাঙ্গাতে থাকে এবং সম্প্রতি জাকির খানের এবং শিবু মার্কেট এলাকার নয়নের নাম ভাঙ্গাচ্ছে বলে জানা যায়। এক কথায় টানা ষোল বছর এরা এবং এদের পরিবার আওয়ামী লীগ তথা ফ্যাসিবাদের দোষর হিসাবে এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মী সহ সাধারন মানুষের উপর নির্যাতন চালায়। কিন্দু ৫ আগষ্টের পর থেকে এই সন্ত্রাসীরা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় তাদের ত্রাসের রাজত্ব জারি রেখেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। তাই প্রশাসন দি এখনই এদেরকে শক্ত হাতে দমন না করে তাহলে যেকোনো সময় ওই সকল এলাকায় বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী। কারন এই সন্ত্রাসীরা এক দিকে এখন বিএনপির নাম ভাঙ্গচ্ছে অপরদিকে আজমেরী ওসমান এবং অয়ন ওসমানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। তাই নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার এই গ্যাংস্টার বাহিনীর প্রতি নজর না রাখলে এরা ফতুল্লার ওই এলাকা সহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃংখলার বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী মনে করেন।
এদিকে এলাকাবাসী আরো জানিয়েছে গোপনে আওয়ামী লীগের পক্ষ্যে এই গ্যাংস্টা বাহিনীকে যারা সংগঠিত করছে তারা হলো উজ্জল, শাওন, সুমন, রুবেল, রবিন, রাকিব ও আরিফ। এই সন্ত্রাসীরা ওই এলাকায় এখন শতাধিক সন্ত্রাসীকে সংঘটিত করছে বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বেপরোয়া আজমেরী ওসমানের সেই গ্যাংস্টার গ্রুপ

বেপরোয়া আজমেরী ওসমানের সেই গ্যাংস্টার গ্রুপ

আপডেট সময় : ০৪:৩০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

সোজাসাপটা রিপোর্ট
পলাতক গডফাদার আজমেরী ওসমানের সহযোগী উত্তর মাসদাইর গাবতলী, পশ্চিম ইসদাইর ব্যাংক টাউন, টাগারের পাড়, আলআমিন বাগ সহ আসপাশের এলাকার ত্রাস দূর্ধর্ষ গ্যাংস্টার গ্রুপ আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। নতুন করে বিএনপি নেতাদের শেল্টার নিয়ে এই গ্রুপ মাঠে নেমেছে। এরা ব্যাংক টাউন এলাকায় গড়ে তুলেছে তাদের আস্তানা। এই গ্রুপের সদস্যরা ৫ আগষ্টের পর থেকে কখনো মশিউর রহমান রনি আবার কখনো রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়েছে। সম্প্রতি এই গ্যাংস্টার গ্রুপের সদস্যরা জাকির খানের নাম ভাঙ্গাচ্ছে বলে ওইসব এলাকার বাসিন্দার অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসী আরো জানিয়েছে বিগত সরকারের আমলে বেশ কয়েক বছর আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে বেপরোয়া উৎপাত চালিয়েছিলো গ্যাংস্টার গ্রুপের এই সন্ত্রাসীরা। ওই সময় এরা এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলো যে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদেরও পরোয়া করতো না। র‌্যাব সদস্যদের উপরও হামলা চালিয়েছেলো। মূলত এর পরেই গ্রেফতার অভিযান চালিয়েছিলো র‌্যাব ও পুলিশ। র‌্যাবের অভিযানে এক দিনেই গ্রেফতার হয়েছিলো সাত সন্ত্রাসী। এদের কাছ থেকে পিস্তল, রামদা, চাইনিজ কুড়াল সহ বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করেছিলো। তখন জাতীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায় ফলাও করে প্রচার পেয়েছিলো এই গ্যাংস্টার গ্রুপের তৎপরতা এবং তাদেরকে গ্রেফতারের খবর। পরে জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে আবারও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে এই গ্রুপ। এছাড়া বিগত ৫ আগষ্টের আগ পর্যন্ত এদের অত্যাচারে বিএনপির নেতাকর্মীরা এলাকায় ঢুকতে পারেনি। কিন্তু ৫ আগষ্টের পরপরই এরা বোল পাল্টিয়ে রাতারাতি বিএনপি বনে যায়। প্রথমে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর এবং মশিউর রহমান রনির নাম ভাঙ্গাতে থাকে এবং সম্প্রতি জাকির খানের এবং শিবু মার্কেট এলাকার নয়নের নাম ভাঙ্গাচ্ছে বলে জানা যায়। এক কথায় টানা ষোল বছর এরা এবং এদের পরিবার আওয়ামী লীগ তথা ফ্যাসিবাদের দোষর হিসাবে এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মী সহ সাধারন মানুষের উপর নির্যাতন চালায়। কিন্দু ৫ আগষ্টের পর থেকে এই সন্ত্রাসীরা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় তাদের ত্রাসের রাজত্ব জারি রেখেছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। তাই প্রশাসন দি এখনই এদেরকে শক্ত হাতে দমন না করে তাহলে যেকোনো সময় ওই সকল এলাকায় বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে বলে ধারনা করছেন এলাকাবাসী। কারন এই সন্ত্রাসীরা এক দিকে এখন বিএনপির নাম ভাঙ্গচ্ছে অপরদিকে আজমেরী ওসমান এবং অয়ন ওসমানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। তাই নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার এই গ্যাংস্টার বাহিনীর প্রতি নজর না রাখলে এরা ফতুল্লার ওই এলাকা সহ আশপাশের এলাকায় আইনশৃংখলার বড় ধরনের অঘটন ঘটাতে পারে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী মনে করেন।
এদিকে এলাকাবাসী আরো জানিয়েছে গোপনে আওয়ামী লীগের পক্ষ্যে এই গ্যাংস্টা বাহিনীকে যারা সংগঠিত করছে তারা হলো উজ্জল, শাওন, সুমন, রুবেল, রবিন, রাকিব ও আরিফ। এই সন্ত্রাসীরা ওই এলাকায় এখন শতাধিক সন্ত্রাসীকে সংঘটিত করছে বলে জানা গেছে।