ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

গুলিতে শহীদ হন রাকিব , এলাকায় জানাজা পড়াতে দেয়নি আ.লীগ

আল আমীন মাহমুদ অর্ণব
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
  • / ৫৪ জন পড়েছেন

২০০৬ সালে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার জম্বদ্বীপ গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয় এক শিশু নাম রাকিব। বাবা মোঃ মোশারফ হোসেন একজন দিনমজুর, মা রাশিদা বেগম গৃহিণী। দারিদ্র্যের সীমানা পেরিয়ে পরিবারটি প্রতিদিনই জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করত।
একই পরিবারের ছোট ভাইটি জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী, মা হৃদরোগে আক্রান্ত, বাবা বয়স্ক হয়ে উঠেছেন। রাকিবই ছিলেন একমাত্র আশার আলো, পরিবারের ভরসা। ফতুল্লায় বেড়ে উঠা রাকিব পড়াশোনা বেশি দূর টানতে পারেননি। সময়ের নির্মমতায় পড়ালেখা ছেড়ে বাধ্য হয়ে ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীতে এএমএস নামে একটি গার্মেন্টসে ১৫ হাজার টাকা বেতনে কাটিং সেকশনে কাজ করত। তার বেতনের টাকায় ঘর ভাড়া আর বাজার সদাই চলতো বলে জানা যায়। বাবা-মা খুশি ছিলেন, মনে করেছিলেন, ছেলের হাতে এখন সংসারের হাল।
ফতুল্লার ছাত্রদল রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো রাকিব। সকল আন্দোলনে অংশগ্রহণ ছিলো রাকিবের নেশা। সবার মধ্যে মুক্তির আকাঙ্খা। স্বৈরাচারী সরকার ১৬ বছরের দুঃশাসনে দেশের মানুষের কণ্ঠরোধ করে রেখেছে। গুম, খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ একের পর এক মানবতাবিরোধী অপরাধে মত্ত ছিল তৎকালীন সরকার। বিএনপির সকল মিটিং মিসিলে রাকিবের ছিলো সামনের সারিতে থাকার আনন্দ।
২০২৪ সালের জুলাই মাস। সারাদেশে তখন ছাত্র আন্দোলন তখন চরম পর্যায়ে। ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে এসেছে ততোক্ষনে। ছাত্র আন্দোলন রূপ নেয় তীব্র গণআন্দোলনে। ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের গুলিতে প্রাণ হারায় রিয়া গোপ সহ অনেকে। প্রতিটি দিনে আন্দোলনে সম্মুখ সারির যোদ্ধা রাকিব।
মধ্য জুলাই থেকে নারায়ণগঞ্জ শহর উত্তাল হয়ে ওঠে। রাস্তায় রাস্তায় চলে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ আর পুলিশ-বিজিবির মুহুর্মুহু গুলি, টিয়ার শেল, লাঠিপেটা।
২১ জুলাই দুপুর ১২টা। সাইনবোর্ড এলাকা তখন আন্দোলনে উত্তাল। মাদরাসা রোডে থেকে রাকিব আন্দোলনে যোগ দেয় সাথে তাঁর কাছের বন্ধুরা। মাদরাসা এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং বিশেষ হেলমেটধারী বাহিনী গুলি ছুড়ছিল। কিছুক্ষণ পরপরই চলছিলো সাহসী প্রতিরোধের চেষ্টা। চলতে থাকা মুহুর্মুহু গুলি থেকে একটি গুলি এসে রাকিবের মাথায় লাগে। সেখানেই ঢলে পড়ে রাকিব। সাথে থাকা বন্ধু মেহেদী হাসান বাবুও পায়ে গুলি বিদ্ধ হয়েও বন্ধুকে ছেড়ে যায়নি এক চুল। বন্ধু রাকিবকে নিয়ে চলে যায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি দেখে রাকিবকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল। সেখানে যেতে যেতেই শহীদ হয় রাকিব। একটি গুলিতে শেষ হয়ে যায় একটি গরিব পরিবারের সব স্বপ্ন। যে ছেলেকে নিয়ে বাবা-মা ভেবেছিলেন, জীবন বদলাবে, সে ছেলেই এখন নিথর দেহ। যে জমিতে ফিরে চাষ করার কথা ছিল, সেখানকার মাটি আজ রক্তে রঞ্জিত।
প্রায় ২০ বছর যাবত ফতুল্লার দাপা এলাকায় বরকত মেম্বারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন রাকিবের বাবা মোশারফ হোসেন। সেখানেই লাশ নেয়ার জন্য এলাকায় এম্বুল্যান্স নেয়া হয়। সেখানে বাঁধা দেয় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা। একজন দেশদ্রোহীর জানাজা বা কবর দেয়ার জন্য রাকিবের লাশ দাপা এলাকায় ঢুকতে দেয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তাঁরা। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটন ছিলেন এর নির্দেশদাতা। যে নির্দেশ পালনে উঠেপড়ে লাগে লিটনের ছোট ভাই মাসুম ওরফে বন্দুক মাসুম, খোকন প্রধান, সালাউদ্দিন চৌধুরী ওরফে ছেচরা চৌধুরী, রাকিব চৌধুরী সাইফুল, মারফত, হযরত আলীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, খোকন প্রধান বলেছিলেন, ৫০০ টাকার বিনিময়ে মিসিলে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে রাকিব, ওর জানাজা বা মাটি দাপা এলাকায় করতে দেয়া যাবে না। এমনকি দাপা এলাকায় এম্বুল্যান্স থেকে লাশও নামাতে দেয়া হয়নি। কোন সুরাহা করতে না পেরে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় রাকিবের বাবার বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার জম্বদ্বীপ গ্রামে। সেখানেই ২২ জুলাই নিজেদের বাড়ির পাশে সমাধিস্থ করা হয় শহীদ রাকিবকে।
দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও স্বদর্পে ফিরে এসেছে তাঁর দোসররা। যারা তাকে ফতুল্লার মাটিতে সমাধিস্থ করতে দেয়নি তাঁরা আজ ফতুল্লা বীর দর্পে। প্রশাসন সব দেখেও চুপ। হয়তো প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তাঁরা ফতুল্লায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় জানান রাকিবের বোন। মামলা হলেও বিচারের বানী আজও কাঁদে।
রাকিবের বাবা এখন আর আগের মতো কাজ করতে পারেন না। বয়স, অসুস্থতা ও ছেলের শোকে ভেঙে পড়েছেন। পৈত্রিক জমি পড়ে আছে অনাবাদী। থাকার মতো ঘর নেই। চাল-ডাল জোগাড় করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয় শুধু এই কারণে যে, সে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল।
একটি জাতির কাছে প্রশ্ন রেখে গেল শহীদ রাকিব। যাদের ঘরে নুন নেই, তাদের ঘরের সন্তান যদি শহীদ হয়—তাদের জীবনের দায় কে নেবে? রাষ্ট্র কি শুধু ফুল দিয়ে শহীদ মনে রাখবে, নাকি শহীদ পরিবারের দায়িত্বও নেবে?
সরকার থেকে এককালীন সহায়তা দেওয়া হলেও, দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা বা পুনর্বাসনের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা হয়নি। এক শহীদের পরিবারের জন্য এটা কি যথেষ্ট?
শহীদ রাকিব বেপারী কোনো নেতা ছিলেন না, একটি দলের কর্মী ছিলেন শুধু। কোনো বড় মঞ্চে বক্তৃতাও দেননি। কিন্তু তিনি ছিলেন একজন সংগ্রামী তরুণ, যিনি শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। গরিবের ঘরে জন্ম নিয়েও মাথা উঁচু করে দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রেখে গেছেন।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

গুলিতে শহীদ হন রাকিব , এলাকায় জানাজা পড়াতে দেয়নি আ.লীগ

আপডেট সময় : ০৫:০১:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

২০০৬ সালে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার জম্বদ্বীপ গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেয় এক শিশু নাম রাকিব। বাবা মোঃ মোশারফ হোসেন একজন দিনমজুর, মা রাশিদা বেগম গৃহিণী। দারিদ্র্যের সীমানা পেরিয়ে পরিবারটি প্রতিদিনই জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করত।
একই পরিবারের ছোট ভাইটি জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী, মা হৃদরোগে আক্রান্ত, বাবা বয়স্ক হয়ে উঠেছেন। রাকিবই ছিলেন একমাত্র আশার আলো, পরিবারের ভরসা। ফতুল্লায় বেড়ে উঠা রাকিব পড়াশোনা বেশি দূর টানতে পারেননি। সময়ের নির্মমতায় পড়ালেখা ছেড়ে বাধ্য হয়ে ফতুল্লার বিসিক শিল্পনগরীতে এএমএস নামে একটি গার্মেন্টসে ১৫ হাজার টাকা বেতনে কাটিং সেকশনে কাজ করত। তার বেতনের টাকায় ঘর ভাড়া আর বাজার সদাই চলতো বলে জানা যায়। বাবা-মা খুশি ছিলেন, মনে করেছিলেন, ছেলের হাতে এখন সংসারের হাল।
ফতুল্লার ছাত্রদল রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলো রাকিব। সকল আন্দোলনে অংশগ্রহণ ছিলো রাকিবের নেশা। সবার মধ্যে মুক্তির আকাঙ্খা। স্বৈরাচারী সরকার ১৬ বছরের দুঃশাসনে দেশের মানুষের কণ্ঠরোধ করে রেখেছে। গুম, খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ একের পর এক মানবতাবিরোধী অপরাধে মত্ত ছিল তৎকালীন সরকার। বিএনপির সকল মিটিং মিসিলে রাকিবের ছিলো সামনের সারিতে থাকার আনন্দ।
২০২৪ সালের জুলাই মাস। সারাদেশে তখন ছাত্র আন্দোলন তখন চরম পর্যায়ে। ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমে এসেছে ততোক্ষনে। ছাত্র আন্দোলন রূপ নেয় তীব্র গণআন্দোলনে। ১৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমানের গুলিতে প্রাণ হারায় রিয়া গোপ সহ অনেকে। প্রতিটি দিনে আন্দোলনে সম্মুখ সারির যোদ্ধা রাকিব।
মধ্য জুলাই থেকে নারায়ণগঞ্জ শহর উত্তাল হয়ে ওঠে। রাস্তায় রাস্তায় চলে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ আর পুলিশ-বিজিবির মুহুর্মুহু গুলি, টিয়ার শেল, লাঠিপেটা।
২১ জুলাই দুপুর ১২টা। সাইনবোর্ড এলাকা তখন আন্দোলনে উত্তাল। মাদরাসা রোডে থেকে রাকিব আন্দোলনে যোগ দেয় সাথে তাঁর কাছের বন্ধুরা। মাদরাসা এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং বিশেষ হেলমেটধারী বাহিনী গুলি ছুড়ছিল। কিছুক্ষণ পরপরই চলছিলো সাহসী প্রতিরোধের চেষ্টা। চলতে থাকা মুহুর্মুহু গুলি থেকে একটি গুলি এসে রাকিবের মাথায় লাগে। সেখানেই ঢলে পড়ে রাকিব। সাথে থাকা বন্ধু মেহেদী হাসান বাবুও পায়ে গুলি বিদ্ধ হয়েও বন্ধুকে ছেড়ে যায়নি এক চুল। বন্ধু রাকিবকে নিয়ে চলে যায় নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে অবস্থার অবনতি দেখে রাকিবকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল। সেখানে যেতে যেতেই শহীদ হয় রাকিব। একটি গুলিতে শেষ হয়ে যায় একটি গরিব পরিবারের সব স্বপ্ন। যে ছেলেকে নিয়ে বাবা-মা ভেবেছিলেন, জীবন বদলাবে, সে ছেলেই এখন নিথর দেহ। যে জমিতে ফিরে চাষ করার কথা ছিল, সেখানকার মাটি আজ রক্তে রঞ্জিত।
প্রায় ২০ বছর যাবত ফতুল্লার দাপা এলাকায় বরকত মেম্বারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন রাকিবের বাবা মোশারফ হোসেন। সেখানেই লাশ নেয়ার জন্য এলাকায় এম্বুল্যান্স নেয়া হয়। সেখানে বাঁধা দেয় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীরা। একজন দেশদ্রোহীর জানাজা বা কবর দেয়ার জন্য রাকিবের লাশ দাপা এলাকায় ঢুকতে দেয়া হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় তাঁরা। ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটন ছিলেন এর নির্দেশদাতা। যে নির্দেশ পালনে উঠেপড়ে লাগে লিটনের ছোট ভাই মাসুম ওরফে বন্দুক মাসুম, খোকন প্রধান, সালাউদ্দিন চৌধুরী ওরফে ছেচরা চৌধুরী, রাকিব চৌধুরী সাইফুল, মারফত, হযরত আলীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, খোকন প্রধান বলেছিলেন, ৫০০ টাকার বিনিময়ে মিসিলে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মারা গেছে রাকিব, ওর জানাজা বা মাটি দাপা এলাকায় করতে দেয়া যাবে না। এমনকি দাপা এলাকায় এম্বুল্যান্স থেকে লাশও নামাতে দেয়া হয়নি। কোন সুরাহা করতে না পেরে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় রাকিবের বাবার বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার জম্বদ্বীপ গ্রামে। সেখানেই ২২ জুলাই নিজেদের বাড়ির পাশে সমাধিস্থ করা হয় শহীদ রাকিবকে।
দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হলেও স্বদর্পে ফিরে এসেছে তাঁর দোসররা। যারা তাকে ফতুল্লার মাটিতে সমাধিস্থ করতে দেয়নি তাঁরা আজ ফতুল্লা বীর দর্পে। প্রশাসন সব দেখেও চুপ। হয়তো প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তাঁরা ফতুল্লায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় জানান রাকিবের বোন। মামলা হলেও বিচারের বানী আজও কাঁদে।
রাকিবের বাবা এখন আর আগের মতো কাজ করতে পারেন না। বয়স, অসুস্থতা ও ছেলের শোকে ভেঙে পড়েছেন। পৈত্রিক জমি পড়ে আছে অনাবাদী। থাকার মতো ঘর নেই। চাল-ডাল জোগাড় করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
একটি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যকে গুলি করে হত্যা করা হয় শুধু এই কারণে যে, সে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল।
একটি জাতির কাছে প্রশ্ন রেখে গেল শহীদ রাকিব। যাদের ঘরে নুন নেই, তাদের ঘরের সন্তান যদি শহীদ হয়—তাদের জীবনের দায় কে নেবে? রাষ্ট্র কি শুধু ফুল দিয়ে শহীদ মনে রাখবে, নাকি শহীদ পরিবারের দায়িত্বও নেবে?
সরকার থেকে এককালীন সহায়তা দেওয়া হলেও, দীর্ঘমেয়াদি সহায়তা বা পুনর্বাসনের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা হয়নি। এক শহীদের পরিবারের জন্য এটা কি যথেষ্ট?
শহীদ রাকিব বেপারী কোনো নেতা ছিলেন না, একটি দলের কর্মী ছিলেন শুধু। কোনো বড় মঞ্চে বক্তৃতাও দেননি। কিন্তু তিনি ছিলেন একজন সংগ্রামী তরুণ, যিনি শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। গরিবের ঘরে জন্ম নিয়েও মাথা উঁচু করে দেশপ্রেমের স্বাক্ষর রেখে গেছেন।