ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফতুল্লার দাপা এলাকায় জমজমাট মাদক ব্যবসা!

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ১২:৩৯:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • / ৬৫ জন পড়েছেন

ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় ক্রমেই বেড়ে চলছে উক্ত এলাকার মাদক বিক্রেতাদের নানাবিধ তথ্যাদি। তবে উক্ত এলাকাসহ আশপাশে যেভাবে মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে চলছে এতে সকল বয়সী মানুষগুলো ক্রমে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন এবং মাদক সেবনের টাকা জোড়ার করতে গিয়ে চুরি,ছিনতাইসহ ছোট-বড় অনেক অপরাধের সাথে যুক্ত হচ্ছেন মাদক সেবীরা। তবে পুলিশের নিরবতা,নিয়মিতভাবে মাসোহারা গ্রহন,কথিত বিএনপি নেতাদের শেল্টার প্রদান এবং বিশেষ কিছু ব্যক্তিদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেই নাকি এ সকল এলাকাগুলোতে মাদকের প্রবনতা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে বলে জানান স্থানীয়রা।
তারা আরও জানান,ফতুল্লা থানাধীন মাদকের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন পয়েন্ট হচ্ছে রেলষ্টেশনসহ আশপাশের এলাকাগুলো। এ সকল এলাকাগুলো পুরুষের পাশাপাশি নারী মাদক ব্যবসায়ীরাও এগিয়ে চলছে দূর্বার গতিতে। দাপা মসজিদ এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা যুবলীগ ক্যাডার ডাকাত শহিদ হোসেনের মেয়ে শরমী ও তার স্বামী স¤্রাটের পাশাপাশি রিপন কাজির মেয়ে সোনিয়া, সোনয়ার ভাই মিলন কাজি,মৃত ডাকাত লিপুর স্ত্রী পারভীন, সুমনের স্ত্রী আল্পনা হলেন অন্যতম। এ সকল নারী মাদক ব্যবসায়ীরা গাজাঁ ও হেরোইনের ব্যবসা করছেন। তারা আরও জানান,গতসপ্তাহে প্রশাসনের হাতে সোনিয়া কাজির মা গ্রেফতার হয়েছিলেন। তবে সেদিনের অভিযানের সংবাদ টের পেয়ে সচতুর সোনিয়া কাজি আগেই বাসা ত্যাগ করে ফেলেন। তবে তারা জানান,সোনিয়া মুলত এখানে থাকেন না। থাকেন কুতুবপুর এলাকাতে আবার অনেকে বলেন,সোনিয়া কাশিপুর এলাকাতে ভাড়া থাকেন আর এখানে অবস্থান করে মাদক বিক্রি করে থাকেন।
তাদের মতে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর ও রেলষ্টেশনসহ আশপাশের এলাকাগুলো যেন মাদকের হটস্পটে পরিনত হয়েছে। আর এ মাদক নির্মূল কিংবা নিয়ন্ত্রনে থানা পুলিশ কিংবা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর যেন কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেনা। যার ফলে বেড়েই চলছে মাদকের প্রবনতা এবং মাদকাসক্তরা মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে চুরি-ছিনতাই এমনকি হত্যাকান্ডের মত জঘন্যতম ঘটনা ঘটাতেও দ্বিধাবোধ করছেনা। ফতুল্লার দাপা এলাকায় মাদক বিক্রি করা যেন একা নয় পুরো পরিবারকে নিয়েই মাদক বিক্রিতে মত্ত হয়ে উঠেছে অনেক পরিবার। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডাকাত শহিদের মেয়ে শরমী এবং তার স্বামী স¤্রাট। কথিত রয়েছে যে ডাকাত শহিদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যই সমাজের ঘৃনিত সকল অপরাধের সাথে যুক্ত রয়েছেন। শরমীর বাবা ডাকাত শহিদ এবং একভাই ডাকাত আজামীর ও অপরভাই আসিফ সেও একজন পেশাদার ছিনতাইকারী ও মাদক বিক্রেতা।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্যে জানা যায় যে,শরমীর সাবেক স্বামী ইসদাইর এলাকার অন্যতম মাদকের ডিলার ছিলেন প্রয়াত শামীম। মাদক সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হাতে শামীম নিহত হওয়ার কয়েকমাস পরেই সেই ইসদাইর এলাকার আরেক চিহিৃত মাদক বিক্রেতা স¤্রাটকে বিয়ে করে এ শরমী। স¤্রাট-শরমী জুটি বর্তমানে দাপা ইদ্রাকপুর ও আশপাশ এলাকাতেই প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে। স্থানীয়রা আরও জানান, শরমী পরিবারের পারিবারিক ঐতিহ্যই হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা। যার ফলে পিতা ও ভাই ডাকাতির করলেও ছোটভাই আসিফকে দিয়ে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি ছিনতাইও করে থাকে বলে জানান তারা। আর শরমী নিজে এবং বর্তমান স্বামী স¤্রাটও সরাসরি মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন রয়েছেন। তারা দাবী করে বলেন, পিতা ও একভাই জেলে থাকলেও বর্তমানে শরমী তার স্বামী স¤্রাট এবং ছোটভাই আসিফকে নিয়ে তাদের অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন অনায়াসে। কারন পুলিশের বাধা নেই রয়েছে স্থানীয় নেতা ও বিশেষ ব্যক্তিদের আর্শীবাদ। তারা আরও জানান, শরমীর বর্তমান স্বামী স¤্রাটের বিরুদ্ধেও রয়েছে কয়েক বছর আগে ইসদাইর এলাকার রুবেল হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার ঘটনা। রুবেল হত্যা মামলায় শরমীর স্বামী মাদক বিক্রেতা স¤্রাট এজাহারনামীয় ১৩ নং আসামী। এছাড়াও বিভিন্ন মামলায় স¤্রাটের বিরুদ্ধে একাধিক ওয়ারেন্টও রয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। তাই অনতিবিলম্বে শরমী ও তার স্বামী স¤্রাটকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের মতে, দাপা মসজিদ এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা যুবলীগ ক্যাডার ডাকাত শহিদ হোসেনের মেয়ে এবং ডাকাত আজমীরের বোন শরমীকে এখন অন্যতম মাদক স¤্রাজ্ঞী বলা চলে। ইসদাইর এলাকার অন্যতম মাদক ব্যবসয়ী প্রতিপক্ষের হাতে নিহত শামীমের স্ত্রী ছিলেন এ শরমী। শামীম হত্যাকান্ডের পর স¤্রাট নামে আরেক মাদক বিক্রেতাকে বিয়ে করেন এ শরমী। স¤্রাটের বাড়ি ইসদাইর এলাকাতে হলেও সে এখন শশুরবাড়িতে বসবাস করে স্ত্রী শরমীর সাথে নিজেও মাদক ব্যবসা করছেন স¤্রাট। তারা আরও বলেন,ডাকাত শহিদের পুরো পরিবারটিই মাদক ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। এক কথায় পরিবারের প্রতিটি সদস্যর শরীরে যেন অপরাধের রক্তজোয়ার বইছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মামলা ডাকাত শহিদ ও তার ছেলে আজমীর জেলে থাকলেও তাদের অপকর্ম যেন পিছিয়ে নেই।
স্থানীয়রা আরও জানান,কিছু অর্থলোভী পুলিশ সদস্য,তাদের সোর্স এবং বিশেষ কিছু কর্তাকে ম্যানেজ করে দূর্দান্ত গতিতে শরমী চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের সা¤্রাজ্য। এলাকাতে নেই পুলিশী অভিযান এবং নেই স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নেই কোন তদারকি যার ফলে বেপরোয়াভাবেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শরমীগং।
তারা আরও বলেন,৫ই আগষ্টের ছাত্র জনতা আন্দোলনে স্বেরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলার আকাশে উদিত সূর্য দেখে অনেকেই শান্তির বাতাস গায়ে লেগেছে ভাবলেও তা যেন হয়ে উঠেনি। সাধারন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন না হলেও ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে মাদক ব্যবসায়ী,কিছু অর্থলোভী পুলিশ ও নামধারী কিছু বিশেষ মানুষের।
স্থানীয়রা অনতিবিলম্বে দাপা এলাকার অন্যতম নারী মাদক স¤্রাজ্ঞী শরমী ও তার স্বামী স¤্রাটসহ সকল মাদক বিক্রেতাদেরকে গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব-১১ এবং সেনাবাহিনীর প্রতি সদয় আহবান জানান।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ফতুল্লার দাপা এলাকায় জমজমাট মাদক ব্যবসা!

আপডেট সময় : ১২:৩৯:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় ক্রমেই বেড়ে চলছে উক্ত এলাকার মাদক বিক্রেতাদের নানাবিধ তথ্যাদি। তবে উক্ত এলাকাসহ আশপাশে যেভাবে মাদকের ভয়াবহতা বেড়ে চলছে এতে সকল বয়সী মানুষগুলো ক্রমে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছেন এবং মাদক সেবনের টাকা জোড়ার করতে গিয়ে চুরি,ছিনতাইসহ ছোট-বড় অনেক অপরাধের সাথে যুক্ত হচ্ছেন মাদক সেবীরা। তবে পুলিশের নিরবতা,নিয়মিতভাবে মাসোহারা গ্রহন,কথিত বিএনপি নেতাদের শেল্টার প্রদান এবং বিশেষ কিছু ব্যক্তিদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেই নাকি এ সকল এলাকাগুলোতে মাদকের প্রবনতা দিনের পর দিন বেড়েই চলছে বলে জানান স্থানীয়রা।
তারা আরও জানান,ফতুল্লা থানাধীন মাদকের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন পয়েন্ট হচ্ছে রেলষ্টেশনসহ আশপাশের এলাকাগুলো। এ সকল এলাকাগুলো পুরুষের পাশাপাশি নারী মাদক ব্যবসায়ীরাও এগিয়ে চলছে দূর্বার গতিতে। দাপা মসজিদ এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা যুবলীগ ক্যাডার ডাকাত শহিদ হোসেনের মেয়ে শরমী ও তার স্বামী স¤্রাটের পাশাপাশি রিপন কাজির মেয়ে সোনিয়া, সোনয়ার ভাই মিলন কাজি,মৃত ডাকাত লিপুর স্ত্রী পারভীন, সুমনের স্ত্রী আল্পনা হলেন অন্যতম। এ সকল নারী মাদক ব্যবসায়ীরা গাজাঁ ও হেরোইনের ব্যবসা করছেন। তারা আরও জানান,গতসপ্তাহে প্রশাসনের হাতে সোনিয়া কাজির মা গ্রেফতার হয়েছিলেন। তবে সেদিনের অভিযানের সংবাদ টের পেয়ে সচতুর সোনিয়া কাজি আগেই বাসা ত্যাগ করে ফেলেন। তবে তারা জানান,সোনিয়া মুলত এখানে থাকেন না। থাকেন কুতুবপুর এলাকাতে আবার অনেকে বলেন,সোনিয়া কাশিপুর এলাকাতে ভাড়া থাকেন আর এখানে অবস্থান করে মাদক বিক্রি করে থাকেন।
তাদের মতে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর ও রেলষ্টেশনসহ আশপাশের এলাকাগুলো যেন মাদকের হটস্পটে পরিনত হয়েছে। আর এ মাদক নির্মূল কিংবা নিয়ন্ত্রনে থানা পুলিশ কিংবা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর যেন কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছেনা। যার ফলে বেড়েই চলছে মাদকের প্রবনতা এবং মাদকাসক্তরা মাদকের টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে চুরি-ছিনতাই এমনকি হত্যাকান্ডের মত জঘন্যতম ঘটনা ঘটাতেও দ্বিধাবোধ করছেনা। ফতুল্লার দাপা এলাকায় মাদক বিক্রি করা যেন একা নয় পুরো পরিবারকে নিয়েই মাদক বিক্রিতে মত্ত হয়ে উঠেছে অনেক পরিবার। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডাকাত শহিদের মেয়ে শরমী এবং তার স্বামী স¤্রাট। কথিত রয়েছে যে ডাকাত শহিদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যই সমাজের ঘৃনিত সকল অপরাধের সাথে যুক্ত রয়েছেন। শরমীর বাবা ডাকাত শহিদ এবং একভাই ডাকাত আজামীর ও অপরভাই আসিফ সেও একজন পেশাদার ছিনতাইকারী ও মাদক বিক্রেতা।
স্থানীয়দের দেয়া তথ্যে জানা যায় যে,শরমীর সাবেক স্বামী ইসদাইর এলাকার অন্যতম মাদকের ডিলার ছিলেন প্রয়াত শামীম। মাদক সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হাতে শামীম নিহত হওয়ার কয়েকমাস পরেই সেই ইসদাইর এলাকার আরেক চিহিৃত মাদক বিক্রেতা স¤্রাটকে বিয়ে করে এ শরমী। স¤্রাট-শরমী জুটি বর্তমানে দাপা ইদ্রাকপুর ও আশপাশ এলাকাতেই প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে। স্থানীয়রা আরও জানান, শরমী পরিবারের পারিবারিক ঐতিহ্যই হচ্ছে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততা। যার ফলে পিতা ও ভাই ডাকাতির করলেও ছোটভাই আসিফকে দিয়ে মাদক ব্যবসার পাশাপাশি ছিনতাইও করে থাকে বলে জানান তারা। আর শরমী নিজে এবং বর্তমান স্বামী স¤্রাটও সরাসরি মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রন রয়েছেন। তারা দাবী করে বলেন, পিতা ও একভাই জেলে থাকলেও বর্তমানে শরমী তার স্বামী স¤্রাট এবং ছোটভাই আসিফকে নিয়ে তাদের অপরাধযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছেন অনায়াসে। কারন পুলিশের বাধা নেই রয়েছে স্থানীয় নেতা ও বিশেষ ব্যক্তিদের আর্শীবাদ। তারা আরও জানান, শরমীর বর্তমান স্বামী স¤্রাটের বিরুদ্ধেও রয়েছে কয়েক বছর আগে ইসদাইর এলাকার রুবেল হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার ঘটনা। রুবেল হত্যা মামলায় শরমীর স্বামী মাদক বিক্রেতা স¤্রাট এজাহারনামীয় ১৩ নং আসামী। এছাড়াও বিভিন্ন মামলায় স¤্রাটের বিরুদ্ধে একাধিক ওয়ারেন্টও রয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানা যায়। তাই অনতিবিলম্বে শরমী ও তার স্বামী স¤্রাটকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের মতে, দাপা মসজিদ এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা যুবলীগ ক্যাডার ডাকাত শহিদ হোসেনের মেয়ে এবং ডাকাত আজমীরের বোন শরমীকে এখন অন্যতম মাদক স¤্রাজ্ঞী বলা চলে। ইসদাইর এলাকার অন্যতম মাদক ব্যবসয়ী প্রতিপক্ষের হাতে নিহত শামীমের স্ত্রী ছিলেন এ শরমী। শামীম হত্যাকান্ডের পর স¤্রাট নামে আরেক মাদক বিক্রেতাকে বিয়ে করেন এ শরমী। স¤্রাটের বাড়ি ইসদাইর এলাকাতে হলেও সে এখন শশুরবাড়িতে বসবাস করে স্ত্রী শরমীর সাথে নিজেও মাদক ব্যবসা করছেন স¤্রাট। তারা আরও বলেন,ডাকাত শহিদের পুরো পরিবারটিই মাদক ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। এক কথায় পরিবারের প্রতিটি সদস্যর শরীরে যেন অপরাধের রক্তজোয়ার বইছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মামলা ডাকাত শহিদ ও তার ছেলে আজমীর জেলে থাকলেও তাদের অপকর্ম যেন পিছিয়ে নেই।
স্থানীয়রা আরও জানান,কিছু অর্থলোভী পুলিশ সদস্য,তাদের সোর্স এবং বিশেষ কিছু কর্তাকে ম্যানেজ করে দূর্দান্ত গতিতে শরমী চালিয়ে যাচ্ছে মাদকের সা¤্রাজ্য। এলাকাতে নেই পুলিশী অভিযান এবং নেই স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের নেই কোন তদারকি যার ফলে বেপরোয়াভাবেই মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে শরমীগং।
তারা আরও বলেন,৫ই আগষ্টের ছাত্র জনতা আন্দোলনে স্বেরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলার আকাশে উদিত সূর্য দেখে অনেকেই শান্তির বাতাস গায়ে লেগেছে ভাবলেও তা যেন হয়ে উঠেনি। সাধারন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন না হলেও ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে মাদক ব্যবসায়ী,কিছু অর্থলোভী পুলিশ ও নামধারী কিছু বিশেষ মানুষের।
স্থানীয়রা অনতিবিলম্বে দাপা এলাকার অন্যতম নারী মাদক স¤্রাজ্ঞী শরমী ও তার স্বামী স¤্রাটসহ সকল মাদক বিক্রেতাদেরকে গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব-১১ এবং সেনাবাহিনীর প্রতি সদয় আহবান জানান।