ঢাকা ০২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফতুল্লার বিসিকে এস এম ডাইং: গ্যাস লিকেজে বিস্ফোরন: দ্বগ্ধ ৬ অসুস্থ যুবদল নেতা রনিকে দেখতে হাসপাতালে তাতীদলের নেতৃবৃন্দ সালমান শাহ হত্যা মামলা: আসামিদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে যা বলল পুলিশ মাসখানেক আগেও ডন আমাকে হুমকি দিয়েছে: নীলা চৌধুরী থাইল্যান্ডে হারল বাংলাদেশের মেয়েরা বাংলাদেশে খেলতে এসে বিরল রোগে আক্রান্ত হন এই ভারতীয় ক্রিকেটার ইসরাইলের বিরুদ্ধে জাতিসংঘকে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান বিশ্বের ৪৫০ ইহুদির গাজার তিন-চতুর্থাংশ ভবন ধ্বংস, জমেছে ৬১ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ নভেম্বরেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান, আশা সালাহউদ্দিনের এবার পদত্যাগের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী
ব্যবসায়ীদের থেকে ২ বছর যাবৎ পলাতক রুবেল

ব্যবসায়ীদের টাকা নিয়ে উধাও জামাতাকে রক্ষায় বাবুলের ছলছাতুরি

সোজাসাপটা রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:০৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
  • / ১৫১ জন পড়েছেন

সোজাসাপটা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ী বাবুল পলি এন্টার প্রাইজ মালিকের মেয়ের জামাই আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মোশারফ হোসেন রুবেলের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে। মেয়ের জামাইয়ের প্রতারনাকে ঢাকতে নানা ছলছাতুরি করে যাচ্ছে তারই শশুর বাবুল হোসেন। এই ঘটনায় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ভুক্তভোগি অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ সূত্র মতে জানযায়, একাধিক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানান, শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকা ব্যবসায়ী বাবুল আহম্মেদ এবং তার মেয়ের জামাই মোশারফ হোসেন রুবেল দীর্ঘ দিন যাবত পলিথিনের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সেই সুবাদে তাদের সাথে আশে পাশের এবাধিক ব্যবসায়ীদের মাঝে টাকা দেয়া নেওয়ার মতো সম্পর্ক গড়ে উঠে।
অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ী শামীম আহম্মেদ জানান, বাবুলের বাড়ির কাজের কথা বলে আমার কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে চেকের মাধ্যমে ২২ লাখ টাকা নিয়ে যায়। তারা আমাদের প্রতিবেশি ব্যবসায়ী হওয়ায় আমরা টাকা দেই। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের পারিবারিক সমস্যা দেখা দিলে রুবেল ঢাকায় পালিয়ে যায়। পরে রুবেলের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি তার শশুড় বাবুল মিয়ার কথা বলে তিনি যথাসময়ে টাকা পরিশোধ করে দিবে যাকে ঘিরে আমি বাবুল সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ও প্রতিশ্রুতি দেন যে দ্রুত টাকা ফেরত দেওয়া হবে। পরে এক মাস অতিবাহিত হলেই বাবুল সাহেব বলেন তিনি টাকা দিবেন না। কারণ তার মেয়ের সাথে রুবেলের কোন সম্পর্ক নেই। তার মেয়ে রুবেলে ডিভোর্স দিয়েছেন। কিন্তু তার পরিবারের মাধ্যমে আমরা অবগত যে তিনিই তার মেয়ের স্বামী (রুবেল) সাইডে পালিয়ে রেখেছেন। দীর্ঘ ২ বছর অতিবাহিত হলে ও এখনো লাপাত্তা রুবেল। আমরা ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি কিন্তু এখনো কোন প্রকারের ফিটব্যাক পাচ্ছি না
এ ছাড়া আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পলি ব্যবসায়ী বিসমিল্লাহ এন্টার প্রাইজের মালিক সাগরের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেন বাবুলের মেয়ের জামাই রুবেল। এছাড়া ব্যবসায়ী জলিলের কাছ থেকে নেন ১২ লাখ টানা। তাছাড়া অন্যান্য ব্যবসায়ী সহ প্রায় ৬০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে রয়েছে বাবুল এন্টার প্রাইজের মালিকের মেয়ের জামাই মোশারফ হোসেন রুবেল। ব্যবসায়ীদের রুবেল বলে আমার শশুরের জামতলায় ১০ তলা বিল্ডিং কাজ করতাছে সেখানে কিছু টাকা শর্ট পরেছে। এখন টাকা দেন কয়েক দিন পরে দিয়া দিব। কিন্তু এখন তার কাছে টাকা চাইলে তিনি দিচ্ছি দিব বলে বেরান। সম্প্রতি সরকার পতন হওয়ার পরে তিনি পালিয়ে রয়েছেন। আর জামাইকে বাচাঁনোর জন্য ব্যাবসায়ী বাবুলও পাওনাদারদের সাথে ছলছাতুরি করে যাচ্ছেন। সেই সাথে মেয়োর জামাইকে বাচাঁনোর জন্য নানা ভাবে প্রতারনার আশ্রয় নিচ্ছেন।
অপরদিকে জামাইয়ের আশ্রয প্রশ্রয়ে অবৈধ ভাবে অঢেল টাকার মালিক বনে গেছেন রুবেল। বাবুলের মেয়েকে বিয়ে করে আঙুল ফুলে কালগাছ হয়ে গেছেন ব্যবসায়ীদের টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। এই রুবেলকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। সূত্রনমতে জানা গেছে , প্রতারক রুবেল তার চাচাতো ভাই বাবুলের মেয়ে অর্থাৎ ভাতিজিকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে সমালোচনায় আসেন শুরুতে। কথিত রয়েছের বাবুলের অর্থ সম্পদের লোভ সামলাতে না পেরে তিনি তার ভাতিজিকে ফুসলিয়ে বিয়ে করেন। যদিও পরে তার সাথে ডিভোর্স হয়ে যায় ব্যবসায়ী বাবুলের মেয়ের। অভিযোগ রয়েছে এই ভাবে জামাই শশুর মিলে প্রতারনা করে যাচ্ছে পাওনাদারদের সাথে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী উঠেছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ব্যবসায়ীদের থেকে ২ বছর যাবৎ পলাতক রুবেল

ব্যবসায়ীদের টাকা নিয়ে উধাও জামাতাকে রক্ষায় বাবুলের ছলছাতুরি

আপডেট সময় : ১১:০৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫

সোজাসাপটা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবসায়ী বাবুল পলি এন্টার প্রাইজ মালিকের মেয়ের জামাই আহম্মেদ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মোশারফ হোসেন রুবেলের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে। মেয়ের জামাইয়ের প্রতারনাকে ঢাকতে নানা ছলছাতুরি করে যাচ্ছে তারই শশুর বাবুল হোসেন। এই ঘটনায় ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ভুক্তভোগি অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগ সূত্র মতে জানযায়, একাধিক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে জানান, শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকা ব্যবসায়ী বাবুল আহম্মেদ এবং তার মেয়ের জামাই মোশারফ হোসেন রুবেল দীর্ঘ দিন যাবত পলিথিনের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সেই সুবাদে তাদের সাথে আশে পাশের এবাধিক ব্যবসায়ীদের মাঝে টাকা দেয়া নেওয়ার মতো সম্পর্ক গড়ে উঠে।
অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ী শামীম আহম্মেদ জানান, বাবুলের বাড়ির কাজের কথা বলে আমার কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে চেকের মাধ্যমে ২২ লাখ টাকা নিয়ে যায়। তারা আমাদের প্রতিবেশি ব্যবসায়ী হওয়ায় আমরা টাকা দেই। কিন্তু পরবর্তীতে তাদের পারিবারিক সমস্যা দেখা দিলে রুবেল ঢাকায় পালিয়ে যায়। পরে রুবেলের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি তার শশুড় বাবুল মিয়ার কথা বলে তিনি যথাসময়ে টাকা পরিশোধ করে দিবে যাকে ঘিরে আমি বাবুল সাহেবের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ও প্রতিশ্রুতি দেন যে দ্রুত টাকা ফেরত দেওয়া হবে। পরে এক মাস অতিবাহিত হলেই বাবুল সাহেব বলেন তিনি টাকা দিবেন না। কারণ তার মেয়ের সাথে রুবেলের কোন সম্পর্ক নেই। তার মেয়ে রুবেলে ডিভোর্স দিয়েছেন। কিন্তু তার পরিবারের মাধ্যমে আমরা অবগত যে তিনিই তার মেয়ের স্বামী (রুবেল) সাইডে পালিয়ে রেখেছেন। দীর্ঘ ২ বছর অতিবাহিত হলে ও এখনো লাপাত্তা রুবেল। আমরা ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি কিন্তু এখনো কোন প্রকারের ফিটব্যাক পাচ্ছি না
এ ছাড়া আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, পলি ব্যবসায়ী বিসমিল্লাহ এন্টার প্রাইজের মালিক সাগরের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেন বাবুলের মেয়ের জামাই রুবেল। এছাড়া ব্যবসায়ী জলিলের কাছ থেকে নেন ১২ লাখ টানা। তাছাড়া অন্যান্য ব্যবসায়ী সহ প্রায় ৬০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে রয়েছে বাবুল এন্টার প্রাইজের মালিকের মেয়ের জামাই মোশারফ হোসেন রুবেল। ব্যবসায়ীদের রুবেল বলে আমার শশুরের জামতলায় ১০ তলা বিল্ডিং কাজ করতাছে সেখানে কিছু টাকা শর্ট পরেছে। এখন টাকা দেন কয়েক দিন পরে দিয়া দিব। কিন্তু এখন তার কাছে টাকা চাইলে তিনি দিচ্ছি দিব বলে বেরান। সম্প্রতি সরকার পতন হওয়ার পরে তিনি পালিয়ে রয়েছেন। আর জামাইকে বাচাঁনোর জন্য ব্যাবসায়ী বাবুলও পাওনাদারদের সাথে ছলছাতুরি করে যাচ্ছেন। সেই সাথে মেয়োর জামাইকে বাচাঁনোর জন্য নানা ভাবে প্রতারনার আশ্রয় নিচ্ছেন।
অপরদিকে জামাইয়ের আশ্রয প্রশ্রয়ে অবৈধ ভাবে অঢেল টাকার মালিক বনে গেছেন রুবেল। বাবুলের মেয়েকে বিয়ে করে আঙুল ফুলে কালগাছ হয়ে গেছেন ব্যবসায়ীদের টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। এই রুবেলকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। সূত্রনমতে জানা গেছে , প্রতারক রুবেল তার চাচাতো ভাই বাবুলের মেয়ে অর্থাৎ ভাতিজিকে ফুসলিয়ে বিয়ে করে সমালোচনায় আসেন শুরুতে। কথিত রয়েছের বাবুলের অর্থ সম্পদের লোভ সামলাতে না পেরে তিনি তার ভাতিজিকে ফুসলিয়ে বিয়ে করেন। যদিও পরে তার সাথে ডিভোর্স হয়ে যায় ব্যবসায়ী বাবুলের মেয়ের। অভিযোগ রয়েছে এই ভাবে জামাই শশুর মিলে প্রতারনা করে যাচ্ছে পাওনাদারদের সাথে। তাই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী উঠেছে।