সিগারেট খাওয়া কি হালাল?

- আপডেট সময় : ০৬:১৩:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৭ জন পড়েছেন
সিগারেট খাওয়া হালাল নাকি হারাম- জানালেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।
সম্প্রতি এক ওয়াজ মাহফিলে সিগারেট খাওয়া হারাম নাকি হালাল- প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আহমাদুল্লাহ বলেন, যে জিনিস খাওয়া, পান করা, ব্যবহার করা হারাম; তা বেচাকেনা করাও হারাম। ইসলামে যে জিনিস খাওয়া, পান করা, ব্যবহার নিষেধ- তা বেচাকেনা করাও নিষেধ।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, দোকানদার ভালো মানুষ, নামাজি, নিজে সিগারেট খায় না, চৌদ্দগোষ্ঠীও খায় না, কিন্তু বেচেন; তবে তার উপার্জন হালাল হবে না। এখন প্রশ্ন হলো- একটা দোকানে অনেক আইটেম আছে, একটা নাজায়েজ জিনিস বিক্রি করলে অন্য জিনিস বিক্রি হারাম হবে, তা না। এটা বিক্রি করে যা বিক্রি করছে তাই হারাম হবে। বাকি যেসব দব্য (চাল, ডাল ও অন্য দ্রব্য) বিক্রি করবে তা হালাল হবে। শুধু হারাম জিনিসের উপার্জন হারাম হবে।
বিড়ি-সিগারেট ছাড়া দোকান চলে না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটাই তো চ্যালেঞ্জ। আপনি আল্লাহর জন্য সেক্রিফাইসটা কী করলেন? কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহর কাছে জান্নাত চাইবেন কোন মুখে? এটাই তো সেক্রিফাইস। এর বিনিময়ে তো জান্নাত আশা করবেন।
তিনি বলেন, এতে কিছু আয় বরকত কমবে, আপনার আয় উপার্জন কম হবে। তবে এসব উপার্জন আপনার আয়ের বরকত নষ্ট করে দিত। আমি একটু কম খাব। কিন্তু এগুলো বিক্রি থেকে বিরত থাকলে ইনকাম কম হলেও জান্নাত পাওয়ার আশা থাকবে।
সিগারেটের কারণে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে ক্যানসার আক্রান্তের অনুপাত বেশি। ঘরে ঘরে ক্যানসার রোগী। এর বড় কারণ ধূমপান। এ আইটেম আপনি বিক্রি করেন। নিজে খান নাই। যাকে বিক্রি করছেন, তিনি ক্যানসার আক্রান্ত হলেন। জমিজমা বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হয়ে সন্তানদের অসহায় করে চলে গেলেন। এ কারণে আপনিও বড় আসামি।
এসব বিক্রি বন্ধ করলে মনে শান্তি থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দোকানদার মনে করবেন, ক্যানসারের আইটেম বিক্রি করে আমি একজনকে সর্বস্বান্ত করলাম না। সৎসাহস রেখে এসব বিক্রি বন্ধ করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান এই ইসলামি চিন্তাবিদ।