বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫

- আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৪ জন পড়েছেন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে শাহিন ওরফে মুরিদ শাহিন, সুজন, আল আমিন ও সোহাগের নাম জানা গেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় মুসলিম বাহিনীর সাবেক সদস্য হিসেবে পরিচিত শাহিন ওরফে মুরিদ শাহিন, মামুন ও সুজনের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল রেলস্টেশন এলাকার ব্যাংক কলোনিতে যুবদল নেতা জাকিরের দোকানের সামনে যায়। তারা জাকিরকে দোকান থেকে টেনে বের করে বেধড়ক মারধর করে।
এ ঘটনার খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে জাকিরের সহযোগীরা সংঘবদ্ধ হয়ে রেলস্টেশন এলাকায় গেলে জাহিদ গ্রুপের সঙ্গে তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও কুপাকুপির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের অন্তত পাঁচজন আহত হয়।
স্থানীয়রা জানান, সংঘর্ষের সময় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়, রেলস্টেশন এলাকায় সৃষ্টি হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।
খবর পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সংঘর্ষে জড়িতরা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়াসিম বলেন,
“সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই, তবে পৌঁছানোর আগেই সবাই সরে পড়ে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংঘর্ষে শাহিন ও সুজন নামে দুইজন আহত হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “হামলায় অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই হেলমেট পরিহিত ছিলো। ফলে স্থানীয়রা কাউকে চিনতে পারেনি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকায় দুই যুবদল গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য ও চাঁদাবাজি নিয়ে বিরোধ চলছে। তারা দাবি করেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোষীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এমন সংঘর্ষ আবারও ঘটতে পারে।