ঢাকা ০৮:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নাটকের মতো একই ভালোবাসা সিনেমাতেও চান তটিনী ‘আমাদের দেখভাল করার মতো আর কেউ রইল না’ দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান গোলাম পরওয়ারের গণমাধ্যমের ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই: তথ্য উপদেষ্টা বিএনপিকে সমালোচনা গ্রহণের পরামর্শ মাহমুদুর রহমানের ‘নিম্নমানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য আমরা রাজনীতিবিদরাই দায়ী’ হাত-পায়ের রগ কাটা চবি শিক্ষার্থীর লাশ মিলল সাগরের তীরে প্রবাসীদের পাসপোর্ট ফি কমানোর চিন্তা করছে সরকার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনা নিরপরাধ—মনে করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শাহজালালের আগুনে ২০০ কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল পুড়েছে : ওষুধশিল্প সমিতি

শাহজালালের আগুনে ২০০ কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল পুড়েছে : ওষুধশিল্প সমিতি

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৬ জন পড়েছেন
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০০ কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির মহাসচিব মো. জাকির হোসেন।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে ৩০৭টি ওষুধ কম্পানি আছে। এর মধ্যে ২৫০ কম্পানি সচল আছে।

আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত শীর্ষস্থানীয় ৩২ কম্পানি জানিয়েছে, তাদের ২০০ কোটি টাকার বেশি কাঁচামাল পুড়ে গেছে। বাকি কম্পানিগুলোর হিসাব দিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুনে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

জাকির হোসেন বলেন, ‘একেকটি ওষুধ উৎপাদনে ৫৩টি পর্যন্ত উপকরণের প্রয়োজন হয়। ফলে ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। তবে এখনই সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘শনিবার আগুনের সময় অনেক বিমান চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সেসব বিমানে থাকা ওষুধের কাঁচামাল শেষ পর্যন্ত ঠিকঠাক থাকবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা আছে। কেননা ওষুধের কাঁচামাল সংরক্ষণে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি বিষয়। সেখানে এ ব্যবস্থা নেই।’তিনি আরো বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে কত টাকার ক্ষতি হয়েছে, সেটা আমরা সব কম্পানির কাছ থেকে জেনে আরো বিস্তারিত জানাতে পারব। তবে এতে যে ওষুধশিল্প খাতের একটি বড় অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে সেটি ঠিক।

’ এসময় তিনি অন্যান্য দেশের মতো বিমানবন্দরের পণ্য খালাস কার্যক্রম ৩৬৫ দিন চালু রাখার দাবি জানান। 

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

শাহজালালের আগুনে ২০০ কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল পুড়েছে : ওষুধশিল্প সমিতি

আপডেট সময় : ০৫:২০:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ২০০ কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির মহাসচিব মো. জাকির হোসেন।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের পর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশে ৩০৭টি ওষুধ কম্পানি আছে। এর মধ্যে ২৫০ কম্পানি সচল আছে।

আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত শীর্ষস্থানীয় ৩২ কম্পানি জানিয়েছে, তাদের ২০০ কোটি টাকার বেশি কাঁচামাল পুড়ে গেছে। বাকি কম্পানিগুলোর হিসাব দিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে বলে জানান তিনি।শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আগুনে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইএবি সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

জাকির হোসেন বলেন, ‘একেকটি ওষুধ উৎপাদনে ৫৩টি পর্যন্ত উপকরণের প্রয়োজন হয়। ফলে ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। তবে এখনই সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা সৃষ্টি হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।’

তিনি বলেন, ‘শনিবার আগুনের সময় অনেক বিমান চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সেসব বিমানে থাকা ওষুধের কাঁচামাল শেষ পর্যন্ত ঠিকঠাক থাকবে কি না, তা নিয়েও শঙ্কা আছে। কেননা ওষুধের কাঁচামাল সংরক্ষণে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি বিষয়। সেখানে এ ব্যবস্থা নেই।’তিনি আরো বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে কত টাকার ক্ষতি হয়েছে, সেটা আমরা সব কম্পানির কাছ থেকে জেনে আরো বিস্তারিত জানাতে পারব। তবে এতে যে ওষুধশিল্প খাতের একটি বড় অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে সেটি ঠিক।

’ এসময় তিনি অন্যান্য দেশের মতো বিমানবন্দরের পণ্য খালাস কার্যক্রম ৩৬৫ দিন চালু রাখার দাবি জানান।