আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসন ও ঐক্য সৃষ্টির লক্ষ্যে আসনটির চার হেভিওয়েট মনোনয়নপ্রত্যাশীকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের একটি রেস্টুরেন্টে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যে চার মনোনয়নপ্রত্যাশী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা হলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ মো. ইদ্রিচ মিয়া, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম এবং বিএনপির সাবেক জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদ (ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন)।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা ওই নেতারা জানান, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল যাকেই মনোনয়ন দিক না কেন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সেই প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করবেন। পটিয়া বিএনপিতে বিভক্তি নয়, বরং ঐক্যই হবে আগামী নির্বাচনে জয়ের মূল শক্তি এমন বার্তা উঠে আসে বৈঠকে।
বৈঠকে অংশ নেওয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ মো. ইদ্রিচ মিয়া বলেন, ‘আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে বদ্ধপরিকর। বিএনপির হাইকমান্ডের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
পটিয়া বিএনপিকে আরো শক্তভাবে মাঠে নামাতে সবাই একমত হয়েছি।’বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশে এই বৈঠক হয়েছে। পটিয়া বিএনপি একটি গুরুত্বপূর্ণ আসন। এখানে কোনো বিভাজন নয় ঐক্যই হবে বিজয়ের চাবিকাঠি।
বিএনপির এ নীতিনির্ধারক আরো বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা।’
ভার্চুয়ালি যুক্ত হওয়া সৈয়দ সাদাত আহমেদ বলেন, ‘পটিয়ায় বিএনপির ঐক্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় থাকলে জয় আমাদের হবেই। আমরা সবাই একই পতাকার সৈনিক। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পাশে থেকেই কাজ করার সহমত পোষণ করেন দলটির এই নেতা।’
এদিকে এ বৈঠককে কেন্দ্র করে পটিয়ার স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন, ‘এই বৈঠক পটিয়া বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
এ বৈঠক কেবল নির্বাচনী প্রস্তুতি নয়, বরং দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব নিরসনের সফল উদ্যোগ। বৈঠকে সবাই পটিয়ায় বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।’অপরদিকে, রুদ্ধধার বৈঠকের পর এখন পটিয়া বিএনপিতে বইছে ঐক্যের সুবাতাস। চার হেভিওয়েট নেতা একসঙ্গে বসায় কর্মীদের মধ্যে ফিরে এসেছে আস্থা ও উৎসাহ। সবাই বলছেন এবারের নির্বাচন হবে বিএনপির ঐক্যের নির্বাচনী লড়াই।