ঢাকা ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নাটকের মতো একই ভালোবাসা সিনেমাতেও চান তটিনী ‘আমাদের দেখভাল করার মতো আর কেউ রইল না’ দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান গোলাম পরওয়ারের গণমাধ্যমের ওপর কোনো ধরনের চাপ নেই: তথ্য উপদেষ্টা বিএনপিকে সমালোচনা গ্রহণের পরামর্শ মাহমুদুর রহমানের ‘নিম্নমানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য আমরা রাজনীতিবিদরাই দায়ী’ হাত-পায়ের রগ কাটা চবি শিক্ষার্থীর লাশ মিলল সাগরের তীরে প্রবাসীদের পাসপোর্ট ফি কমানোর চিন্তা করছে সরকার : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেখ হাসিনা নিরপরাধ—মনে করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শাহজালালের আগুনে ২০০ কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল পুড়েছে : ওষুধশিল্প সমিতি

‘জামায়াত না বিএনপি, কার মন মন রক্ষা করবেন’

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৪ জন পড়েছেন

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, এখন যেহেতু সরকারে যাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, এনসিপিও সরকারে যেতে চায়, জামায়াতও সরকারে যেতে চায়, বিএনপিও সরকারে যেতে চায়। আপনি কার মন রক্ষা করবেন? আপনি যার মন রক্ষা করতে পারবেন না আপনার প্রতি তারা অসন্তুষ্ট হবে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমাদের এডিটোরিয়াল প্রসেস খুব সহজ ছিল। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লিখতাম। এখন যাদের সম্পর্কে লিখতে হবে তারা সবাই জুলাইযোদ্ধা। বিএনপি জুলাইযোদ্ধা, জামায়াত জুলাইযোদ্ধা, এনসিপি তো জুলাইয়ের মহানায়ক। এনসিপি তো জুলাইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছে। এই যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যখন আমি লিখব, তখন পেশাদারিত্বের সঙ্গে লিখতে গেলে তাদের কারও না কারও সমালোচনা তো করতে হবে। কারণ সবাই তো আর সঠিক কাজ করে না। আমি নিজেও তো সঠিক কাজ করি না। সংবাদপত্রের কাজটা এমনই, লিখতে হয়। লিখতে গিয়ে আমরা অনেক শত্রু বানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক আমার দেশ বাংলাদেশের পক্ষে, কোনো দলের পক্ষে নয়। এটা যদি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারতেন তাহলে আমাদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যেত। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এত বড় বিপ্লবের পরেও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টি বুঝতে পারেননি।

মাহমুদুর রহমান বলেন, কুষ্টিয়াতে ২০১৮ সালে আমাকে যেভাবে রক্তাক্ত করা হয়েছিল এবং গতকাল চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে যেটা করা হয়েছে দুইটার মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। দুইটা ঘটনা একই। তাহলে আমরা এত বড় বিপ্লব থেকে কী শিখতে পেলাম?

রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সমালোচনাকে গ্রহণ করতে শিখুন। সমালোচনাকে মানতে হবে আপনাকে। তার সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব পেশাদারিত্ব বজায় রাখা। কিন্তু আপনাদের সমালোচনা মানতে হবে। সমালোচনার বদলে আপনারা সাংবাদিককে আহত করবেন, সাংবাদিকদের গায়ে হাত তুলবেন, এটা চলবে না। এটার জন্য আমি আপনাদেরকে বলছি আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। একটা পত্রিকা দিয়ে। এই পত্রিকাটি দিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ইনশাআল্লাহ লড়াই করে যাব।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

‘জামায়াত না বিএনপি, কার মন মন রক্ষা করবেন’

আপডেট সময় : ০৫:০১:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, এখন যেহেতু সরকারে যাওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, এনসিপিও সরকারে যেতে চায়, জামায়াতও সরকারে যেতে চায়, বিএনপিও সরকারে যেতে চায়। আপনি কার মন রক্ষা করবেন? আপনি যার মন রক্ষা করতে পারবেন না আপনার প্রতি তারা অসন্তুষ্ট হবে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার নবাব ফয়জুন্নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে জুলাই যোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমাদের এডিটোরিয়াল প্রসেস খুব সহজ ছিল। আমরা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লিখতাম। এখন যাদের সম্পর্কে লিখতে হবে তারা সবাই জুলাইযোদ্ধা। বিএনপি জুলাইযোদ্ধা, জামায়াত জুলাইযোদ্ধা, এনসিপি তো জুলাইয়ের মহানায়ক। এনসিপি তো জুলাইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছে। এই যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যখন আমি লিখব, তখন পেশাদারিত্বের সঙ্গে লিখতে গেলে তাদের কারও না কারও সমালোচনা তো করতে হবে। কারণ সবাই তো আর সঠিক কাজ করে না। আমি নিজেও তো সঠিক কাজ করি না। সংবাদপত্রের কাজটা এমনই, লিখতে হয়। লিখতে গিয়ে আমরা অনেক শত্রু বানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, দৈনিক আমার দেশ বাংলাদেশের পক্ষে, কোনো দলের পক্ষে নয়। এটা যদি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বুঝতে পারতেন তাহলে আমাদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যেত। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এত বড় বিপ্লবের পরেও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টি বুঝতে পারেননি।

মাহমুদুর রহমান বলেন, কুষ্টিয়াতে ২০১৮ সালে আমাকে যেভাবে রক্তাক্ত করা হয়েছিল এবং গতকাল চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে যেটা করা হয়েছে দুইটার মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই। দুইটা ঘটনা একই। তাহলে আমরা এত বড় বিপ্লব থেকে কী শিখতে পেলাম?

রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সমালোচনাকে গ্রহণ করতে শিখুন। সমালোচনাকে মানতে হবে আপনাকে। তার সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব পেশাদারিত্ব বজায় রাখা। কিন্তু আপনাদের সমালোচনা মানতে হবে। সমালোচনার বদলে আপনারা সাংবাদিককে আহত করবেন, সাংবাদিকদের গায়ে হাত তুলবেন, এটা চলবে না। এটার জন্য আমি আপনাদেরকে বলছি আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। একটা পত্রিকা দিয়ে। এই পত্রিকাটি দিয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ইনশাআল্লাহ লড়াই করে যাব।