ফায়ার সার্ভিসে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৪:৪৮:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ২১ জন পড়েছেন
গত ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ফায়ার সার্ভিসের নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, টাকা-পয়সার লেনদেন এবং প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের সরাসরি সম্পৃক্ততার। এ নিয়ে সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীরা গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল, মহাপরিচালক জায়েদ কামালের অপসারণ এবং দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীদের ব্যানারে এই দাবি উপস্থাপন করা হয়। সাধারণ চাকরি প্রত্যাশীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন ইমন, রাব্বানী, জুলহাজসহ আরও বেশ কিছু বিক্ষুব্ধ চাকরিপ্রার্থী।
নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ করে চাকরি প্রত্যাশীরা জানান, পরীক্ষার আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টাকা লেনদেনের অডিও ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ নিশ্চিত করতে ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ দাবি করেছে ফায়ার সার্ভিসের এক সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটে গাজীপুরের সিনিয়র স্টেশন অফিসার ইকবালসহ কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত। এছাড়া নির্বাচিত কিছু প্রার্থীকে আগেভাগেই প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। এতে করে যারা সৎভাবে প্রতিযোগিতা করেছেন, তারা বঞ্চিত হয়েছেন। চাকরি প্রত্যাশীদের অভিযোগ, এই প্রক্রিয়া শুধু অনিয়মই নয়, যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে সরাসরি অন্যায়।
মহাপরিচালকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগকারীরা বলছেন, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক জায়েদ কামাল এ অনিয়ম সম্পর্কে অবগত থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। বরং তিনি দ্রুত নিয়োগ সম্পন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চাকরি প্রত্যাশীদের দাবি, তার প্রশ্রয়েই ফায়ার সার্ভিসে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি চলছে। এর সঙ্গে উপ-পরিচালক (প্রশাসন) ওহিদুল ইসলাম, ডিজির একান্ত সহকারী শামস আরমান, ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিনসহ কয়েকজন কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত।
চাকরি প্রত্যাশীরা তিন দফা দাবি জানিয়ে বলেন—
১. চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
২. দায়িত্বে অবহেলার জন্য মহাপরিচালক জায়েদ কামালকে পদ থেকে অপসারণ করতে হবে।
৩. দুর্নীতিতে জড়িত সব কর্মকর্তাকে তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তারা হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জুলাই আন্দোলনের সময় দুর্নীতি আর বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে অনেক তরুণ জীবন দিয়েছেন। নতুন বাংলাদেশে এসে তারা আশা করেছিলেন মেধা আর যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পাবেন। কিন্তু বাস্তবে আবারও দুর্নীতি আর দালাল সিন্ডিকেটের শিকার হচ্ছি। আমরা এই প্রক্রিয়ায় ভীষণ হতাশ। যোগ্য হয়েও আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। এটি নতুন প্রজন্মের প্রতি অবিচার।