ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এমন চুক্তি ছাড়া মুসলিম দেশগুলোর আর কোনো উপায় নেই : আসিফ নজরুল

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৫:১২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৭ জন পড়েছেন
সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান ১৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পারস্পরিক একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কয়েক দশকের পুরনো নিরাপত্তা অংশীদারি আরো শক্তিশালী হলো। বর্তমানে আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে চুক্তিটি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।

এদিকে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হয়েছে। এখন থেকে সৌদি আরব বা পাকিস্তান আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশ নিজেদের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে। দুই দেশ একসঙ্গে হামলার জবাব দেবে। আলহামদুলিল্লাহ!”

তিনি আরো বলেন, ‘আসলে এমন চুক্তি ছাড়া মুসলিম দেশগুলোর আর কোনো উপায় নেই।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন এই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এমন এক সময়ে হলো, যখন উপসাগরীয় আরবদেশগুলো তাদের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা রক্ষাকারী যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান। গত সপ্তাহে কাতারে ইসরায়েলের হামলা এ উদ্বেগ আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

রয়টার্সকে এক জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তা বলেন, ‘এই চুক্তি বছরের পর বছর ধরে চলা আলোচনার ফল। এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়, বরং আমাদের দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের গভীর সহযোগিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার একটি পদক্ষেপ।

’ চুক্তিটি মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূরাজনীতিতে কৌশলগত সমীকরণ বদলে দিতে পারে।পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যাকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, এই চুক্তি উভয় দেশের নিরাপত্তা জোরদার করা এবং অঞ্চল ও বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এটি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানো এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ সক্ষমতা শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়েছে।

চুক্তিতে বলা হয়েছে, যেকোনো একটি দেশের ওপর হামলা অন্য দেশের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে।

অজ্ঞাতনামা সৌদি কর্মকর্তা স্বীকার করেন, পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী ও আরেক পারমাণবিক শক্তি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্যও রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন সবচেয়ে শক্তিশালী। আমরা এই সম্পর্ক আরো বাড়াতে চাই এবং যেকোনোভাবে আঞ্চলিক শান্তিতে অবদান রাখতে চাই।’

পাকিস্তান কি সৌদি আরবকে পারমাণবিক নিরাপত্তা (নিউক্লিয়ার আমব্রেলা) দেবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি একটি সর্বাত্মক প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত করে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এমন চুক্তি ছাড়া মুসলিম দেশগুলোর আর কোনো উপায় নেই : আসিফ নজরুল

আপডেট সময় : ০৫:১২:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান ১৭ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে পারস্পরিক একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কয়েক দশকের পুরনো নিরাপত্তা অংশীদারি আরো শক্তিশালী হলো। বর্তমানে আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে চুক্তিটি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে।

এদিকে সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে হওয়া চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, “সৌদি আরবের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই হয়েছে। এখন থেকে সৌদি আরব বা পাকিস্তান আক্রান্ত হলে সেটাকে দুই দেশ নিজেদের ওপর ‘আগ্রাসন’ হিসেবে দেখবে। দুই দেশ একসঙ্গে হামলার জবাব দেবে। আলহামদুলিল্লাহ!”

তিনি আরো বলেন, ‘আসলে এমন চুক্তি ছাড়া মুসলিম দেশগুলোর আর কোনো উপায় নেই।

প্রসঙ্গত, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন এই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এমন এক সময়ে হলো, যখন উপসাগরীয় আরবদেশগুলো তাদের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা রক্ষাকারী যুক্তরাষ্ট্রের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে সন্দিহান। গত সপ্তাহে কাতারে ইসরায়েলের হামলা এ উদ্বেগ আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

রয়টার্সকে এক জ্যেষ্ঠ সৌদি কর্মকর্তা বলেন, ‘এই চুক্তি বছরের পর বছর ধরে চলা আলোচনার ফল। এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়, বরং আমাদের দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের গভীর সহযোগিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার একটি পদক্ষেপ।

’ চুক্তিটি মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূরাজনীতিতে কৌশলগত সমীকরণ বদলে দিতে পারে।পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যাকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, এই চুক্তি উভয় দেশের নিরাপত্তা জোরদার করা এবং অঞ্চল ও বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার যৌথ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এটি দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানো এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ সক্ষমতা শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়েছে।

চুক্তিতে বলা হয়েছে, যেকোনো একটি দেশের ওপর হামলা অন্য দেশের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে।

অজ্ঞাতনামা সৌদি কর্মকর্তা স্বীকার করেন, পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী ও আরেক পারমাণবিক শক্তি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্যও রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন সবচেয়ে শক্তিশালী। আমরা এই সম্পর্ক আরো বাড়াতে চাই এবং যেকোনোভাবে আঞ্চলিক শান্তিতে অবদান রাখতে চাই।’

পাকিস্তান কি সৌদি আরবকে পারমাণবিক নিরাপত্তা (নিউক্লিয়ার আমব্রেলা) দেবে—এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি একটি সর্বাত্মক প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত করে।