ঢাকা ০৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাশকতার দুই মামলা থেকে ফখরুল-আব্বাসসহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১২ জন পড়েছেন

ঢাকার দুই থানার নাশকতার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহসহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার হাকিম ও জজ আদালতের দুই বিচারক তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ জানান।

এর মধ্যে ২০১৯ সালে ‎ঢাকার শাহবাগ থানা এলাকায় যানবাহন পোড়ানোর মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৭৭ জনকে অব্যাহতির আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ।

অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নীরব ও সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির দিন ছিল। আগের দিন ১১ ডিসেম্বর শাহবাগ থানাধীন বার কাউন্সিলের নির্মাণাধীন প্রধান ফটকের সামনে ‘দুষ্কৃতকারীরা’ মোটরসাইকেলসহ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধন করে।

জামিন শুনানির রায়কে ‘প্রভাবিত করার লক্ষ্যে এবং বিচার বিভাগকে চাপ প্রয়োগের জন্য’ মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন শাহবাগ থানার এসআআ শামছুর রহমান।

তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১০ মে ৭৭ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। সেই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সোমবার আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দিল আদালত।

এদিকে রমনা থানার নাশকতা মামলায় বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুসহ ২৯ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম ওয়াহিদুজ্জামান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ, জাকির হোসেন জুয়েল তাদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাদের অব্যাহতির আদেশ দেয়।

অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিদের মধ্যে আরো আছেন—বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, যুবদল নেতা হামিদুর রহমান হামিদ।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২ মার্চ রমনা থানাধীন শান্তিনগর এলাকায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি। সেসময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

ওই ঘটনায় রমনা থানা পুলিশের এসআই মো. আশফাক রাজীব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পরে ২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

সেই অভিযোগপত্রে আপত্তি জানিয়ে অব্যাহতির আবেদন করেছিল আসামিপক্ষ। আদালত তা মঞ্জুর করে আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নাশকতার দুই মামলা থেকে ফখরুল-আব্বাসসহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকার দুই থানার নাশকতার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহসহ ১০৬ জনকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।

সোমবার ঢাকার হাকিম ও জজ আদালতের দুই বিচারক তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ জানান।

এর মধ্যে ২০১৯ সালে ‎ঢাকার শাহবাগ থানা এলাকায় যানবাহন পোড়ানোর মামলায় পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাস এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ৭৭ জনকে অব্যাহতির আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ।

অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন—বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, হাফিজ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নীরব ও সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাই কোর্টে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানির দিন ছিল। আগের দিন ১১ ডিসেম্বর শাহবাগ থানাধীন বার কাউন্সিলের নির্মাণাধীন প্রধান ফটকের সামনে ‘দুষ্কৃতকারীরা’ মোটরসাইকেলসহ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধন করে।

জামিন শুনানির রায়কে ‘প্রভাবিত করার লক্ষ্যে এবং বিচার বিভাগকে চাপ প্রয়োগের জন্য’ মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন শাহবাগ থানার এসআআ শামছুর রহমান।

তদন্ত শেষে চলতি বছরের ১০ মে ৭৭ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। সেই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সোমবার আসামিদের অব্যাহতির আদেশ দিল আদালত।

এদিকে রমনা থানার নাশকতা মামলায় বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুসহ ২৯ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম ওয়াহিদুজ্জামান।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ, জাকির হোসেন জুয়েল তাদের অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে তাদের অব্যাহতির আদেশ দেয়।

অব্যাহতি পাওয়া অপর আসামিদের মধ্যে আরো আছেন—বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিব, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, যুবদল নেতা হামিদুর রহমান হামিদ।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৩ সালের ২ মার্চ রমনা থানাধীন শান্তিনগর এলাকায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি। সেসময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।

ওই ঘটনায় রমনা থানা পুলিশের এসআই মো. আশফাক রাজীব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পরে ২৯ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

সেই অভিযোগপত্রে আপত্তি জানিয়ে অব্যাহতির আবেদন করেছিল আসামিপক্ষ। আদালত তা মঞ্জুর করে আসামিদের অব্যাহতি দিয়েছে।