ঢাকা ০২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাবির আশপাশে সশস্ত্র জামায়াত কর্মীদের উপস্থিতি : ছাত্রদলের অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৭:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৩ জন পড়েছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন পয়েন্টে সশস্ত্র অবস্থায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে এ অভিযোগ করা হয়।

উপাচার্য জানান, তিনি পুলিশ কমিশনার এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।

ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, খবর আছে সকাল থেকে জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হচ্ছে।

আপনারা সবার সাথে আলোচনা করেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারলেন না। এর প্রভাব নির্বাচনে পড়েছে। এতে মানুষ মনে করছে, জামায়াতের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক আছে। প্রক্টরের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কের বিষয়ে কথা হচ্ছে।
সারাদিনেও কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে মনে হয়েছে। আমরা মনে করি, সারাদিনের নির্বাচনে জামায়াত সন্ত্রাসীরা অবস্থানের বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেটা জানতে চাই।’ছাত্রদল সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আজকের যে ঘটনা সেটা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। জামায়াত-শিবির যে দেশের পক্ষের কোনো শক্তি না, তা তারা প্রমাণ করে দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গেটে সকাল থেকে থাকার পেছনে নিশ্চয়ই অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। আপনাকে (ভিসি) যে পাহারা দিয়ে রেখেছে সে আজ ভিপি প্রার্থী। এটা আমাদের নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথা। ঢাবির শীর্ষ ব্যক্তিরা জামায়াত নিয়ন্ত্রিত। ধিক্কার জানিয়ে গেলাম।
আজকে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হলে জামায়াত এবং আপনাদেরকে এর দায়িত্ব নিতে হবে।’এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান জানান, প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘যে কোনো বিবেচনায় এটি বড় নির্বাচন। সারাদিন উৎসবমুখর হয়েছে। দু–একটি অভিযোগ এসেছে, নির্বাচন কমিশন দেখছে। আজকে যে দুটো কনসার্ন রাকিব (ছাত্রদল সভাপতি) করেছে, যে নির্বাচন কোনো নির্দিষ্ট দল দ্বারা প্রভাবিত কিনা। এটা যার যার পারসোনাল পারসেপশন। এটার যুক্তি খণ্ডন করার প্রয়োজন মনে করছি না। আমি এখন যেটা বলব, এটা আমার মত।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই প্রশাসন অভ্যুত্থানের পর বিশেষ পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে। আমি কখনও দলীয় রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম না, এখনও নেই। আমরা সর্বতভাবে সহযোগিতা পেয়েছি বিভিন্ন শিক্ষকদের ফোরামগুলোর, চেষ্টা করেছি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। আমি জ্ঞাতসারে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ঘরানার প্রতি অনুকূল্য প্রদর্শন করি না।’

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাবির আশপাশে সশস্ত্র জামায়াত কর্মীদের উপস্থিতি : ছাত্রদলের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৫৭:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন পয়েন্টে সশস্ত্র অবস্থায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ছাত্রদল।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের কাছে এ অভিযোগ করা হয়।

উপাচার্য জানান, তিনি পুলিশ কমিশনার এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।

ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, খবর আছে সকাল থেকে জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে জড়ো হচ্ছে।

আপনারা সবার সাথে আলোচনা করেও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারলেন না। এর প্রভাব নির্বাচনে পড়েছে। এতে মানুষ মনে করছে, জামায়াতের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক আছে। প্রক্টরের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্কের বিষয়ে কথা হচ্ছে।
সারাদিনেও কোনো ব্যবস্থা নেননি বলে মনে হয়েছে। আমরা মনে করি, সারাদিনের নির্বাচনে জামায়াত সন্ত্রাসীরা অবস্থানের বিষয়ে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেটা জানতে চাই।’ছাত্রদল সভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘আজকের যে ঘটনা সেটা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। জামায়াত-শিবির যে দেশের পক্ষের কোনো শক্তি না, তা তারা প্রমাণ করে দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গেটে সকাল থেকে থাকার পেছনে নিশ্চয়ই অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। আপনাকে (ভিসি) যে পাহারা দিয়ে রেখেছে সে আজ ভিপি প্রার্থী। এটা আমাদের নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথা। ঢাবির শীর্ষ ব্যক্তিরা জামায়াত নিয়ন্ত্রিত। ধিক্কার জানিয়ে গেলাম।
আজকে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হলে জামায়াত এবং আপনাদেরকে এর দায়িত্ব নিতে হবে।’এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান জানান, প্রশাসন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘যে কোনো বিবেচনায় এটি বড় নির্বাচন। সারাদিন উৎসবমুখর হয়েছে। দু–একটি অভিযোগ এসেছে, নির্বাচন কমিশন দেখছে। আজকে যে দুটো কনসার্ন রাকিব (ছাত্রদল সভাপতি) করেছে, যে নির্বাচন কোনো নির্দিষ্ট দল দ্বারা প্রভাবিত কিনা। এটা যার যার পারসোনাল পারসেপশন। এটার যুক্তি খণ্ডন করার প্রয়োজন মনে করছি না। আমি এখন যেটা বলব, এটা আমার মত।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই প্রশাসন অভ্যুত্থানের পর বিশেষ পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে। আমি কখনও দলীয় রাজনীতিতে জড়িত ছিলাম না, এখনও নেই। আমরা সর্বতভাবে সহযোগিতা পেয়েছি বিভিন্ন শিক্ষকদের ফোরামগুলোর, চেষ্টা করেছি সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। আমি জ্ঞাতসারে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ঘরানার প্রতি অনুকূল্য প্রদর্শন করি না।’