ঢাকা ০৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন পিবিআইয়ের হাজতখানা থেকে হত্যা মামলার আসামির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার নতুন বেতন কাঠামোতে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন গাছের যত্নে ঘরোয়া কয়েকটি টিপস তালিকায় ৫২ জনের নাম আছে যারা জুলাই আন্দোলনে শহীদ হননি : মোস্তফা ফিরোজ পিআরসহ ৫ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা মুক্তিযুদ্ধ না মানলে তো বাংলাদেশকে অস্বীকার করা হয়: জামায়াত নেতা আযাদ শহীদ জিয়াই দেশে প্রথম গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন: রহমাতুল্লাহ আ. লীগ ফিরে এলে তোমাদের হাড্ডিও খুঁজে পাওয়া যাবে না: ইলিয়াস রাজপথের পর্ব শেষ হয়েছে, এখন জনগণের কাছে মালিকানা ফেরানোর সময়: আমীর খসরু

ডাকসু নির্বাচনে ‘আবিদুলের জনপ্রিয়তা’ নিয়ে যা বললেন সামান্তা

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ২৪ জন পড়েছেন

ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার একটা প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, আর এটা কোথা থেকে চলছে, সেটাও আমরা বুঝতে পারছি।

একই সঙ্গে ডাকসু নির্বাচনে ‘আবিদুলের জনপ্রিয়তা’ ও বিএনপির আশঙ্কা নিয়েও কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সামান্তা এসব কথা বলেন। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন যোবায়ের আহসান জাবের।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এনসিপি নেত্রী বলেন, ‘আমরা দেখলাম যে ছাত্রদলের মনোনীত ভিপি প্রার্থী (আবিদুল ইসলাম খান) খুবই জনপ্রিয়। তারপর দেখলাম তার বিরুদ্ধে সমালোচনাও শুরু হলো। এটা কিন্তু একটি আশঙ্কা তৈরি করে যে ছাত্রদলের হয়ে ভিপি প্রার্থী (আবিদুল) নির্বাচনে জিতবে কিনা। এ নিয়ে সম্ভবত বিএনপির মনে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করেছে এবং তার চিন্তা করেছেন, তারা পরাজিত হতে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা যাতে ভোট দিতে না যায়, তার জন্য এক ধরনের প্রসেস চালু করা শুরু হতে পারে। যে অস্থিতিশীল পরিবেশ আছে, ক্যাম্পাসে ভোট দেওয়ার কোনো পরিবেশ নাই। যাতে করে ভোট বানচাল ও ভোটারে ওপর দায়টা পড়ে।’

ডাকসু নির্বাচন বানচাল করা বা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা মনে করি ডাকসু নির্বাচন বানচাল করা বা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। বরং সব দল নির্বিশেষে ডাকসু নির্বাচন যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, যারা জাতীয় নির্বাচন চাচ্ছেন, তাদের আরও বেশি প্রয়োজন ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করা। তারাই যদি বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন, তাহলে সেটা তাদের রাজনৈতিক ভবিষতের জন্য এক রকমের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’

এনসিপির এই নেত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ হুমকি-ধমকি দিয়ে বলছেন, ডাকসু নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এমনকি প্রগতিশীল ছাত্র যারা আছেন, তাদেরকেও এ বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে। ’

সামান্তা বলেন, আমরা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস দেখি, সেখানে নানা সময় আওয়ামী লীগকে নেগলেট করার কাজটা প্রগতিশীল মনা বা যারা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করেন, তাদের যোগসাজশে হয়। আরেকটি অংশ তাদের বিপক্ষে থাকে। আমরা এ ক্ষেত্রেও দেখলাম যখন রিটটা করা হচ্ছে, রিটটা করার কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। যিনি এই রিটটা করেছেন, তার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড এবং যে আইনজীবী এই রিটে সাহায্য করেছেন তার ব্যাকগ্রাউন্ডটাও দেখেন। তাহলেই বুঝতে পারবেন।’

এদিকে, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে একটি আদেশ দেয় হাইকোর্ট।পরে সেই আদেশ স্থগিত করে দেয় চেম্বার আদালত। আদালতের সেই স্থগিতাদেশই বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডাকসু ভোটে আর কোনো বাধা থাকল না।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগে পাঠানো হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ডাকসু নির্বাচনে ‘আবিদুলের জনপ্রিয়তা’ নিয়ে যা বললেন সামান্তা

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার একটা প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন। তিনি বলেন, আর এটা কোথা থেকে চলছে, সেটাও আমরা বুঝতে পারছি।

একই সঙ্গে ডাকসু নির্বাচনে ‘আবিদুলের জনপ্রিয়তা’ ও বিএনপির আশঙ্কা নিয়েও কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সামান্তা এসব কথা বলেন। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন যোবায়ের আহসান জাবের।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এনসিপি নেত্রী বলেন, ‘আমরা দেখলাম যে ছাত্রদলের মনোনীত ভিপি প্রার্থী (আবিদুল ইসলাম খান) খুবই জনপ্রিয়। তারপর দেখলাম তার বিরুদ্ধে সমালোচনাও শুরু হলো। এটা কিন্তু একটি আশঙ্কা তৈরি করে যে ছাত্রদলের হয়ে ভিপি প্রার্থী (আবিদুল) নির্বাচনে জিতবে কিনা। এ নিয়ে সম্ভবত বিএনপির মনে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করেছে এবং তার চিন্তা করেছেন, তারা পরাজিত হতে যাচ্ছেন।’

তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা যাতে ভোট দিতে না যায়, তার জন্য এক ধরনের প্রসেস চালু করা শুরু হতে পারে। যে অস্থিতিশীল পরিবেশ আছে, ক্যাম্পাসে ভোট দেওয়ার কোনো পরিবেশ নাই। যাতে করে ভোট বানচাল ও ভোটারে ওপর দায়টা পড়ে।’

ডাকসু নির্বাচন বানচাল করা বা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা মনে করি ডাকসু নির্বাচন বানচাল করা বা উপেক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই। বরং সব দল নির্বিশেষে ডাকসু নির্বাচন যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, যারা জাতীয় নির্বাচন চাচ্ছেন, তাদের আরও বেশি প্রয়োজন ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করা। তারাই যদি বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন, তাহলে সেটা তাদের রাজনৈতিক ভবিষতের জন্য এক রকমের হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।’

এনসিপির এই নেত্রী বলেন, ‘কেউ কেউ হুমকি-ধমকি দিয়ে বলছেন, ডাকসু নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এমনকি প্রগতিশীল ছাত্র যারা আছেন, তাদেরকেও এ বিষয়ে আহ্বান জানানো হয়েছে। ’

সামান্তা বলেন, আমরা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস দেখি, সেখানে নানা সময় আওয়ামী লীগকে নেগলেট করার কাজটা প্রগতিশীল মনা বা যারা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করেন, তাদের যোগসাজশে হয়। আরেকটি অংশ তাদের বিপক্ষে থাকে। আমরা এ ক্ষেত্রেও দেখলাম যখন রিটটা করা হচ্ছে, রিটটা করার কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি। যিনি এই রিটটা করেছেন, তার রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড এবং যে আইনজীবী এই রিটে সাহায্য করেছেন তার ব্যাকগ্রাউন্ডটাও দেখেন। তাহলেই বুঝতে পারবেন।’

এদিকে, সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করে একটি আদেশ দেয় হাইকোর্ট।পরে সেই আদেশ স্থগিত করে দেয় চেম্বার আদালত। আদালতের সেই স্থগিতাদেশই বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ডাকসু ভোটে আর কোনো বাধা থাকল না।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বুধবার পর্যন্ত স্থগিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদন আপিল বিভাগে পাঠানো হয়। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।