বিদেশে পাঠানোর নামে ১৩ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ, প্রাণনাসের হুমকি

- আপডেট সময় : ০৫:১০:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
- / ৭৭ জন পড়েছেন

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন পাগলা শাহী বাজার এলাকায় এক প্রবাস প্রত্যাশী যুবকের কাছ থেকে বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি আত্মসাৎ এবং পরে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগী মোঃ নাজমুল ইসলাম শ্যামল (৩০), পিতা- মোঃ সিরাজ সিকদার, ফতুল্লা থানাধীন পাগলা শাহী বাজার, আমতলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২০ আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, অভিযুক্তরা হলেন—
১। শাহিদা বেগম (৪৫),
২। আরিফ (২৭),
(উভয়েই পাগলা শাহী বাজার, নূরবাগ, সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা),
৩। পারভেজ (৩৯), পিতা- লাল মিয়া,
৪। ঝর্ণা বেগম (২৮),
(উভয়ই নেগুরা, শিবচর, মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা)।
ভুক্তভোগীর দাবি, ২০২৪ সালের শেষের দিকে অভিযুক্তরা তাকে ও তার পরিবারের আরও তিন সদস্যকে বিদেশে চাকরির ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে প্রথমে ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। এই টাকার মধ্যে ৩নং অভিযুক্ত পারভেজ প্রবাসে অবস্থান করে ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তারা ভুক্তভোগীর পরিবারের ৫টি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন।
পরবর্তীতে ভুয়া ভিসা দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে টাকা ফেরত চাইলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এমনকি তারা জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ জানালে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে।
এছাড়া অভিযুক্ত ১নং ও ৪নং ব্যক্তি আরও ২ লাখ টাকা হাওলাত নেন, যা প্রবাসী পারভেজ পরিশোধ করবেন বলে আশ্বাস দিলেও এখনো ফেরত দেননি।
এ পর্যন্ত ভুক্তভোগীর মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
নাজমুল ইসলাম জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেও কোনো সমাধান পাননি। তাই বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (অফিসার ইনচার্জ) বলেন, অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।