ইপিএ বাস্তবায়নে বিকেএমইএ’র সহযোগিতা চায় জাপান

- আপডেট সময় : ০৭:২৪:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
- / ২৬ জন পড়েছেন
বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বমূলক চুক্তি (ইপিএ) চুক্তি ত্বরান্বিত করতে বিকেএমইএ’র নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা চেয়েছে জাপান। বুধবার (২৫ জুন) এ লক্ষ্যে বিকেএমইএ’র ঢাকা কার্যালয়ে নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ করেন জাপান সরকারের ইপিএ সংক্রান্ত প্রতিনিধি দল।
এসময় বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান এই দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি অমল পোদ্দার, সহ-সভাপতি মো. শামসুজ্জামান, পরিচালক রাকিব সোবহান মিয়া।
জাপান সরকারের ইপিএ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন জাপানের ইকোনোমিক অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল কোবাইশি ইরুজু । তার আরও উপস্থিত ছিলেন সাথে ছিলেন ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মিনিস্ট্রি অব ইকোনোমির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল ইয়োদা গাকু, মিনিস্ট্রি অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স ইকোনোমিক অ্যাফোর্স ব্যুরোর ইকোনোমিক পার্টনারশিপ ডিভিশন এর অ্যাসিসটেন্ট ডিরেক্টর হায়াশি জেন্ডা, কাস্টমস অ্যান্ড ট্যারিফ ব্যুরোর ডিরেক্টর কাগাওয়া সাতোকো , অ্যামব্যাসি অব জাপানের হেড অব ইকোনোমিক সেকশন ফার্স্ট সেক্রেটারি মোচিদা ইউতারো।
জাপানি প্রতিনিধিরা বলেন, প্রচুর চাহিদা এবং পরিবেশবান্ধব হওয়া সত্ত্বেও জাপানের তৈরি নতুন অটোমোবাইল বাংলাদেশের বাজারে অপ্রতুল। কারণ এখানে নতুন গাড়ির শুল্কহার অত্যন্ত বেশি। বিভিন্ন ধরনের শুল্ক মিলে ২০০-৪০০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এছাড়া দেশ দুটির মধ্যে ইপিএ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে ভবিষ্যতে রপ্তানি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ইপিএ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে বিকেএমইএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তারা।
আলোচনায় বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি বলেন, জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্য্ন্ত এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপানের অবদান অনস্বীকায্র্। ইপিএ বাস্তবানের জন্য বিকেএমইএ জাপানি প্রতিনিধিদের অনুরোধের কথা, বিশেষ করে অটোমোবাইল খাতের কথা বাংলাদেশের বাণিজ্য মনন্ত্রণালয়, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পৌঁছে দিবে বলে তিনি জানান।
বর্তমানে জাপানে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পর ৮ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে। তবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিবে জাপান। এ জন্য জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানান নির্বাহী সভাপতি। ভবিষ্যতে ইপিএর আওতায় জাপানের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা বজায় রাখতে সরকারী পর্যায়ে অনুরোধের ব্যাপারে ইপিএ প্রতিনিধি দলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।