ঢাকা ১১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘আড়ালেই থাকতে চাই, ক্যামেরাম্যান খুঁজে বের করে’ অদ্ভূত কারণে উইম্বলডন স্থগিত রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরিতে সুখবর পেলেন মান্ধানা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে শহীদদের ঋণ পরিশোধের এখনই সময়: তারেক রহমান পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত বুধবার: নৌ উপদেষ্টা চট্টগ্রামের সাবেক ডিআইজিসহ আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত আ.লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আমরা হতাশ: নুর মুজিববাদী সংবিধান ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: আখতার হোসেন
অগোছালো নগরী, বিরক্ত সাধারণ মানুষ, প্রশাসন নির্বিকার

নির্বাচন ঘিরে ব্যানার,ফেস্টুনে সয়লাব নারায়ণগঞ্জ শহর

 সাব্বির হোসেন
  • আপডেট সময় : ০৩:০৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
  • / ৬৭ জন পড়েছেন

আসছে নির্বাচন আর এই নির্বাচনকে ঘিরে গোটা শহর যেন পরিণত হয়েছে একটি বিশাল পোস্টার ব্যানারের প্রদর্শনী কেন্দ্রে। শহরের প্রতিটি রাস্তা, অলিগলি, মার্কেট এলাকা, বাসস্ট্যান্ড, খেলার মাঠের পাশে কিংবা স্কুলের গেট পর্যন্ত নেই কোনো ব্যতিক্রম। সর্বত্রই চোখে পড়ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর পোস্টার। সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন দিবসসহ ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে ব্যানার ফেস্টুনের ব্যবহার করছে ব্যাপক হারে।

সাধারণ মানুষের অনেকেই এই পরিস্থিতিকে ‘চোখের যন্ত্রণা’ বলেই আখ্যা দিচ্ছেন। নাগরিক সংগঠনগুলোর অভিযোগ, এভাবে লাগামহীনভাবে ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে শহরের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পরিবেশ দূষণেরও আশঙ্কা বাড়ছে। নির্বাচনের আগেই দলগুলোর এমন কর্মকান্ডে হতাশা প্রকাশ করেছে নগরবাসী।

 

নির্বাচনের আগেই নগরজুড়ে নির্বাচনী আমেজঃ  

চলতি বছরের শেষার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা চলছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। বিশেষ করে সংসদ সদস্য ও মেয়র পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুনের  মাধ্যমে ব্যপকভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

শহরের প্রধান সড়ক যেমন, চাষাড়া, কালীরবাজার, দেওভোগ, আমলাপাড়া, বন্দরের, জিমখানা, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, শিমরাইল, মাসদাইর, প্রত্যেক জায়গায় প্রার্থীদের ব্যানার চোখে পড়ছে। শহরের বিভিন্ন ল্যাম্পপোস্ট, বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছের ডাল এমনকি ট্রাফিক সিগন্যাল পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয়নি।

চাষাড়া মোড়ের এক দোকানদার বললেন, “গত দুই সপ্তাহে দোকানের সামনে ৮-১০টা ব্যানার লাগানো হয়েছে। কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। একদিন সকালে দেখি ব্যানার ঝুলছে।

প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগেই প্রচারণার প্রতিযোগিতাঃ

এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া সম্ভাব্য প্রার্থীরা বুঝে গেছেন, শুধু ভোটারদের দরজায় কড়া নাড়লেই হবে না, নিজেকে চোখে পড়া অবস্থানে রাখতে হবে। আর তাই শুরু থেকেই চলছে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানোর প্রতিযোগিতা।

কোনো কোনো এলাকায় দেখা যাচ্ছে, একটির উপর আরেকটি ব্যানার লাগিয়ে দখলের মানসিকতা প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা, ঝগড়া এমনকি পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগও উঠছে।

ব্যনার ফেস্টুনে সাধারণ মানুষ বিরক্তঃ  

শহরের নাগরিকরা একদিকে যেমন এই নির্বাচনী উত্তাপকে স্বাগত জানাচ্ছেন, অন্যদিকে এভাবে শহর ছেয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তাও প্রকাশ করছেন।

আমলাপাড়ার গৃহবধূ ফারজানা সুলতানা বলেন, “প্রতিটি গাছের গায়ে ব্যানার ঝুলছে। কেউ তো ভাবছে না গাছের শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কি না! ব্যানার ঝুলিয়ে কি ভোট পাওয়া যায়?”

নারায়ণগঞ্জ কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, “রাস্তায় হাঁটতে গেলে ব্যানার ডান-বাম ঝুলে থাকে, কোনোটা মাথায় লেগে যায়। আবার কেউ কেউ ব্যানারে এত নিচে লিখে রেখেছে যে ট্রাফিক সিগন্যাল ঢাকা পড়ে যায়। এটা নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।”

শহরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ বিপন্নঃ

নগর পরিকল্পনাবিদদ মঈনুল ইসলামের মতে, একদিকে যেমন নগরীর দৃষ্টিনন্দনতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি পরিবেশও পড়ছে হুমকির মুখে।

নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ উন্নয়ন ফোরামের সদস্য প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, “এসব ব্যানার তৈরিতে পলিথিন জাতীয় ও প্লাস্টিক নির্ভর উপকরণ ব্যবহার করা হয়, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নির্বাচনের পর এসব ব্যানার-ফেস্টুন বর্জ্যে পরিণত হয় এবং তা সঠিকভাবে অপসারণ না হওয়ায় শহরে ময়লার স্তূপ তৈরি হয়।”

তিনি আরও বলেন, “বৃষ্টির পানি আটকে যায় এসব ব্যানারের নিচে পড়ে থাকা বাঁশ, কাপড় আর রশির কারণে। এতে করে জলাবদ্ধতা বেড়ে যায়। আবার খোলা তার বা বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ব্যানার থাকায় শর্টসার্কিট ও দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ে।”

এর কোনো সমাধান আছে কী?

বিকল্প হিসেবে অনেকেই প্রস্তাব করছেন, প্রার্থীরা যেন ডিজিটাল প্রচারণায় মনোযোগ দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গণমাধ্যম এবং জনসংযোগের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো গেলে শহরের পরিবেশও রক্ষা পাবে এবং ব্যয়ও কমবে।

নারায়ণগঞ্জ নাগরিক সমাজের সদস্য শামসুল হক বলেন, “শহরের প্রতিটি নির্বাচনে আমরা একই দৃশ্য দেখি। অথচ সময় এসেছে পরিবেশবান্ধব, শৃঙ্খলিত প্রচারণার দিকে যাওয়া। তরুণ প্রার্থীরা চাইলে এই ধারা বদলাতে পারেন।”

এইদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন , নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কিন্তু সেটি যদি বিশৃঙ্খলা, দখলদারিত্ব ও পরিবেশদূষণের রূপ নেয় তাহলে তার প্রকৃত সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জের বর্তমান চিত্র দেখে এমনটাই মনে হচ্ছে। প্রার্থীরা যদি সচেতন না হন, প্রশাসন যদি দায়িত্ব না নেয়, তাহলে এই শহর শুধু পোস্টারে ঢাকা নয়, আচরণবিধির লঙ্ঘন আর জনগণের ক্ষোভে চাপা পড়ে যাবে।

তাই এখনই সময় সচেতনতার, দায়িত্বশীলতার এবং নিয়ম মানার। শহরটা সবার, এবং নির্বাচনের নামে শহরের সৌন্দর্য কেউ নষ্ট করতে পারে না।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

অগোছালো নগরী, বিরক্ত সাধারণ মানুষ, প্রশাসন নির্বিকার

নির্বাচন ঘিরে ব্যানার,ফেস্টুনে সয়লাব নারায়ণগঞ্জ শহর

আপডেট সময় : ০৩:০৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

আসছে নির্বাচন আর এই নির্বাচনকে ঘিরে গোটা শহর যেন পরিণত হয়েছে একটি বিশাল পোস্টার ব্যানারের প্রদর্শনী কেন্দ্রে। শহরের প্রতিটি রাস্তা, অলিগলি, মার্কেট এলাকা, বাসস্ট্যান্ড, খেলার মাঠের পাশে কিংবা স্কুলের গেট পর্যন্ত নেই কোনো ব্যতিক্রম। সর্বত্রই চোখে পড়ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর পোস্টার। সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন দিবসসহ ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে ব্যানার ফেস্টুনের ব্যবহার করছে ব্যাপক হারে।

সাধারণ মানুষের অনেকেই এই পরিস্থিতিকে ‘চোখের যন্ত্রণা’ বলেই আখ্যা দিচ্ছেন। নাগরিক সংগঠনগুলোর অভিযোগ, এভাবে লাগামহীনভাবে ব্যানার-ফেস্টুন লাগিয়ে শহরের সৌন্দর্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি পরিবেশ দূষণেরও আশঙ্কা বাড়ছে। নির্বাচনের আগেই দলগুলোর এমন কর্মকান্ডে হতাশা প্রকাশ করেছে নগরবাসী।

 

নির্বাচনের আগেই নগরজুড়ে নির্বাচনী আমেজঃ  

চলতি বছরের শেষার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা চলছে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। বিশেষ করে সংসদ সদস্য ও মেয়র পদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা এলাকায় এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুনের  মাধ্যমে ব্যপকভাবে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

শহরের প্রধান সড়ক যেমন, চাষাড়া, কালীরবাজার, দেওভোগ, আমলাপাড়া, বন্দরের, জিমখানা, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা, শিমরাইল, মাসদাইর, প্রত্যেক জায়গায় প্রার্থীদের ব্যানার চোখে পড়ছে। শহরের বিভিন্ন ল্যাম্পপোস্ট, বৈদ্যুতিক খুঁটি, গাছের ডাল এমনকি ট্রাফিক সিগন্যাল পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয়নি।

চাষাড়া মোড়ের এক দোকানদার বললেন, “গত দুই সপ্তাহে দোকানের সামনে ৮-১০টা ব্যানার লাগানো হয়েছে। কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করেনি। একদিন সকালে দেখি ব্যানার ঝুলছে।

প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগেই প্রচারণার প্রতিযোগিতাঃ

এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া সম্ভাব্য প্রার্থীরা বুঝে গেছেন, শুধু ভোটারদের দরজায় কড়া নাড়লেই হবে না, নিজেকে চোখে পড়া অবস্থানে রাখতে হবে। আর তাই শুরু থেকেই চলছে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানোর প্রতিযোগিতা।

কোনো কোনো এলাকায় দেখা যাচ্ছে, একটির উপর আরেকটি ব্যানার লাগিয়ে দখলের মানসিকতা প্রদর্শন করা হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা, ঝগড়া এমনকি পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগও উঠছে।

ব্যনার ফেস্টুনে সাধারণ মানুষ বিরক্তঃ  

শহরের নাগরিকরা একদিকে যেমন এই নির্বাচনী উত্তাপকে স্বাগত জানাচ্ছেন, অন্যদিকে এভাবে শহর ছেয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তাও প্রকাশ করছেন।

আমলাপাড়ার গৃহবধূ ফারজানা সুলতানা বলেন, “প্রতিটি গাছের গায়ে ব্যানার ঝুলছে। কেউ তো ভাবছে না গাছের শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কি না! ব্যানার ঝুলিয়ে কি ভোট পাওয়া যায়?”

নারায়ণগঞ্জ কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, “রাস্তায় হাঁটতে গেলে ব্যানার ডান-বাম ঝুলে থাকে, কোনোটা মাথায় লেগে যায়। আবার কেউ কেউ ব্যানারে এত নিচে লিখে রেখেছে যে ট্রাফিক সিগন্যাল ঢাকা পড়ে যায়। এটা নিরাপত্তার জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ।”

শহরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ বিপন্নঃ

নগর পরিকল্পনাবিদদ মঈনুল ইসলামের মতে, একদিকে যেমন নগরীর দৃষ্টিনন্দনতা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি পরিবেশও পড়ছে হুমকির মুখে।

নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ উন্নয়ন ফোরামের সদস্য প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, “এসব ব্যানার তৈরিতে পলিথিন জাতীয় ও প্লাস্টিক নির্ভর উপকরণ ব্যবহার করা হয়, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। নির্বাচনের পর এসব ব্যানার-ফেস্টুন বর্জ্যে পরিণত হয় এবং তা সঠিকভাবে অপসারণ না হওয়ায় শহরে ময়লার স্তূপ তৈরি হয়।”

তিনি আরও বলেন, “বৃষ্টির পানি আটকে যায় এসব ব্যানারের নিচে পড়ে থাকা বাঁশ, কাপড় আর রশির কারণে। এতে করে জলাবদ্ধতা বেড়ে যায়। আবার খোলা তার বা বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ব্যানার থাকায় শর্টসার্কিট ও দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বাড়ে।”

এর কোনো সমাধান আছে কী?

বিকল্প হিসেবে অনেকেই প্রস্তাব করছেন, প্রার্থীরা যেন ডিজিটাল প্রচারণায় মনোযোগ দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, গণমাধ্যম এবং জনসংযোগের মাধ্যমে প্রচারণা চালানো গেলে শহরের পরিবেশও রক্ষা পাবে এবং ব্যয়ও কমবে।

নারায়ণগঞ্জ নাগরিক সমাজের সদস্য শামসুল হক বলেন, “শহরের প্রতিটি নির্বাচনে আমরা একই দৃশ্য দেখি। অথচ সময় এসেছে পরিবেশবান্ধব, শৃঙ্খলিত প্রচারণার দিকে যাওয়া। তরুণ প্রার্থীরা চাইলে এই ধারা বদলাতে পারেন।”

এইদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন , নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কিন্তু সেটি যদি বিশৃঙ্খলা, দখলদারিত্ব ও পরিবেশদূষণের রূপ নেয় তাহলে তার প্রকৃত সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। নারায়ণগঞ্জের বর্তমান চিত্র দেখে এমনটাই মনে হচ্ছে। প্রার্থীরা যদি সচেতন না হন, প্রশাসন যদি দায়িত্ব না নেয়, তাহলে এই শহর শুধু পোস্টারে ঢাকা নয়, আচরণবিধির লঙ্ঘন আর জনগণের ক্ষোভে চাপা পড়ে যাবে।

তাই এখনই সময় সচেতনতার, দায়িত্বশীলতার এবং নিয়ম মানার। শহরটা সবার, এবং নির্বাচনের নামে শহরের সৌন্দর্য কেউ নষ্ট করতে পারে না।