বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি) ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত গবেষণার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
টিসিআরসির প্রকল্প পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক মো. বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গবেষণার ফল প্রকাশ করেন টিসিআরসির প্রজেক্ট অফিসার মো. জুলহাস আহমেদ।
তিনি বলেন, সিগারেট কম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা সচল রাখার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন পণ্য বাজারে নিয়ে আসছে, যার মূল উদ্দেশ্য তরুণ প্রজন্মকে আকৃষ্ট করা। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ই-সিগারেটের ব্যবহার বিশেষত তরুণদের মধ্যে একটি ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ ই-সিগারেটকে তাদের দেশের প্রধান স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কিন্তু আমদানি নিষিদ্ধের পরেও বাজারে ই-সিগারেটের বিক্রয় বন্ধ হয়নি, যা স্পষ্টভাবে সরকারের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে যায়। শুধু আমদানি নিষিদ্ধ বললে হবে না, পাশাপাশি কঠোরভাবে এর প্রয়োগ করতেআইন ও নীতি বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ‘বহুজাতিক কম্পানিগুলো উন্নয়নশীল দেশে ব্যবসা করতে আসে কারণ তারা ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারে, পরিবেশের ক্ষতি করে উৎপাদন করতে পারে, জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি করে ব্যবসা করতে পারে। এদের মূল টার্গেটই থাকে ব্যবসা। এরা জনস্বাস্থ্যের কথা ভাবে না। তাহলে সরকার কেন তাদের মতামত শুনবে। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা সরকারের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব তাদের পালন করতেই হবে। ই-সিগারেট এ দেশে আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য, এর উৎপাদনও নিষিদ্ধ, তাহলে অবশ্যই ই-সিগারেট সামগ্রিকভাবে নিষিদ্ধ। ই-সিগারেটের বিক্রয় নিষিদ্ধ, এর প্রচারণা নিষিদ্ধ। সব ই-সিগারেটের দোকানে মোবাইল কোর্ট করা উচিত এবং সব ই-সিগারেট, লিকুইড বাজেয়াপ্ত করা উচিত।
টিসিআরসির প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ফারহানা জামান লিজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের হেলথ অ্যান্ড ওয়াশ প্রকল্পের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, বাংলাদেশ পাবলিক হেলথ ল’ইয়ার নেটওয়ার্কের সদস্যসচিব ব্যারিস্টার নিশাত মাহমুদ, প্রত্যাশা মাদকবিরোধী সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল হেলাল আহমেদ, এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক শাগুফতা সুলতানা প্রমুখ।