ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যায় অভিযুক্ত ৭ ‘মাদক কারবারী’
- আপডেট সময় : ১০:৫৭:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
- / ৭ জন পড়েছেন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ইন্সপেক্টর মো. আখতার মোর্শেদ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) তিনি জানান, অভিযোগপত্রে সাতজনকে আসামি করা হয়েছে এবং চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন—মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ এবং মো. রবিন। তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, তারা সকলে ‘মাদক কারবারে’ জড়িত এবং তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, যাদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে তারা হলেন—তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক, পলাশ সরদার ও সুজন সরকার।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায়’ সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
গত ১৩ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেলে আসার সময় সাম্য ছুরিকাঘাতের শিকার হন। বন্ধুরা রাত ১২টার দিকে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় পরদিন (১৪ মে) নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। সেদিন পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতারের কথা জানায়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন—মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে তামিম, কালাম সরদারের ছেলে পলাশ ও ডাসার থানার যতিন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাটকে ১৭ মে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। ২৪ মে ফের তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।
তার আগে ১৫ মে সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী এলাকায় তামিমের বাড়ির দুটি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ লোকজন।
তদন্তের পর তামিমসহ এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা আখতার মোর্শেদ।


















