ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জলবায়ু মোকাবেলায় সমন্বিত অংশীদারি অত্যন্ত জরুরি : রিজওয়ানা

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৭:১৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৪০ জন পড়েছেন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর ও সমন্বিত অংশীদারি অত্যন্ত জরুরি।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয় অগ্রাধিকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তার মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় স্থাপন করতে পারলেই টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু সহনশীলতা অর্জন সম্ভব হবে।’

আজ বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) ও এর ওয়েবসাইট নির্মাণবিষয়ক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি।

এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অর্থায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে শক্তিশালী সহযোগিতা প্রয়োজন।’তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা পাশাপাশি চলতে হবে। যৌথ উদ্যোগ ছাড়া ঝুঁকি আমাদের অগ্রগতিকে ছাপিয়ে যাবে।’ তিনি বিসিডিপি ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের প্রশমন ও অভিযোজন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন।

এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘বিসিডিপি ওয়ার্কিং গ্রুপসমূহের বিশদ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়। চারটি ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা এ কর্মশালায় তাদের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ। সমাপনী বক্তব্য দেন ইআরডি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ উইংয়ের উইং প্রধান এ কে এম সোহেল।

এডিবির সিনিয়র ক্লাইমেট চেঞ্জ অফিসার মৌসুমি পারভীন বিসিডিপির কাঠামো ও অগ্রগতি উপস্থাপন করেন। কর্মশালা পরিচালনা করেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার।কর্মশালায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও এডিবির মোট ২৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জলবায়ু মোকাবেলায় সমন্বিত অংশীদারি অত্যন্ত জরুরি : রিজওয়ানা

আপডেট সময় : ০৭:১৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকর ও সমন্বিত অংশীদারি অত্যন্ত জরুরি।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয় অগ্রাধিকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তার মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় স্থাপন করতে পারলেই টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু সহনশীলতা অর্জন সম্ভব হবে।’

আজ বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (বিসিডিপি) ও এর ওয়েবসাইট নির্মাণবিষয়ক বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর একটি।

এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অর্থায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তরে শক্তিশালী সহযোগিতা প্রয়োজন।’তিনি বলেন, ‘আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা পাশাপাশি চলতে হবে। যৌথ উদ্যোগ ছাড়া ঝুঁকি আমাদের অগ্রগতিকে ছাপিয়ে যাবে।’ তিনি বিসিডিপি ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের প্রশমন ও অভিযোজন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন।

এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘বিসিডিপি ওয়ার্কিং গ্রুপসমূহের বিশদ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা’ অনুষ্ঠিত হয়। চারটি ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা এ কর্মশালায় তাদের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ। সমাপনী বক্তব্য দেন ইআরডি, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ উইংয়ের উইং প্রধান এ কে এম সোহেল।

এডিবির সিনিয়র ক্লাইমেট চেঞ্জ অফিসার মৌসুমি পারভীন বিসিডিপির কাঠামো ও অগ্রগতি উপস্থাপন করেন। কর্মশালা পরিচালনা করেন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ধরিত্রী কুমার সরকার।কর্মশালায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), অর্থ বিভাগ, পরিকল্পনা কমিশন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও এডিবির মোট ২৫ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।