বাস্তবজীবনের কুলি এবার রুপালি পর্দায়
বাস্তবজীবনের কুলি এবার রুপালি পর্দায়

- আপডেট সময় : ০৪:২৬:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অগাস্ট ২০২৫
- / ২২ জন পড়েছেন
বাস্তবজীবনেও ছিলেন কুলি। এবার রুপালি পর্দায় কুলি হয়ে আসছেন দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেতা রজনীকান্ত। গত শনিবার ‘কুলি’ সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ্যে এসেছে।
এরপরই শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। সব ঠিক থাকলে লোকেশ কঙ্গরাজের সিনেমা ‘কুলি’ আগামী ১৪ আগস্ট মুক্তি পাচ্ছে।
‘কুলি’ সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ঝড় ওঠে। বর্ষীয়ান অভিনেতা রজনীকান্ত সত্যি সত্যি ‘কুলি’ ছিলেন। যার জীবনের শুরুটাই ছিল কুলি হয়ে কাজ করার। ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসে পুরোনো দিনের সেই বিস্মৃত অধ্যায় মনে করে আবেগতাড়িত হলেন রজনীকান্ত।
করুণ স্মৃতি ভেসে ওঠে চোখের সামনে। চোখ ভিজে আসে ৭৪ বছর বয়সি এ অভিনেতার। কারণ জীবনের শুরুর দিকে কুলি হয়ে কাজ করা থেকে বাস কন্ডাক্টরসহ নানা ধরনের কাজ করেছেন তিনি।
বড় হয়েও দর্শকদের সঙ্গে সহজভাবে মিশে যাওয়ার অসাধারণ এক ক্ষমতা আছে এ অভিনেতার। ‘কুলি’র ট্রেলার ও অডিও লঞ্চে এসে একের পর এক ব্যক্তিগত গল্পে মুগ্ধ করলেন সবাইকে। আক্কিনেনি নাগার্জুনার চুল নিয়ে মজা করা, ‘কাইথি’ সিনেমা দেখে লোকেশ কঙ্গরাজকে ফোন করা—এমনকি নিজের নাচ নিয়ে কোরিওগ্রাফার স্যান্ডির সঙ্গে মজা সবই বলেন তিনি।
লোকেশ কঙ্গরাজের সঙ্গে প্রথম কাজ নিয়ে কথা বলার আগে জানালেন, ‘কাইথি’ দেখে আমি বুঝে গিয়েছিলাম, এই ছেলেটা একদিন অনেক দূর যাবে। তিনি বলেন, আমি নিজেই ওকে ফোন করলাম। জিজ্ঞাসা করলাম— আমার জন্য কোনো গল্প আছে কিনা।
রজনীকান্ত বলেন, ‘কুলি হয়ে কাজ করার সময় অনেকবার অপমান সহ্য করেছি। একদিন এক ভদ্রলোক আমাকে দুই রুপি দিয়ে বলল— ওর লাগেজ টেম্পোতে তুলে দিতে। কণ্ঠটা কেমন যেন চেনা লাগছিল।
এ বর্ষীয়ান অভিনেতা বললেন, পরে বুঝেছিলাম— সে আমার কলেজের বন্ধু। আমি একসময় ওকে নিয়ে অনেক হাসাহাসি করতাম। সেদিন জীবনে প্রথমবার আমি কেঁদে ফেলেছিলাম। ‘কুলি’ সিনেমার প্রচারে এ কথা বলতে বলতে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন রজনীকান্ত।
তিনি বলেন, ‘ভেঙ্কট প্রভু একবার অজিতের জন্য একটা সংলাপ লিখেছিলেন— কতদিন ভালো মানুষ হয়েই থাকব? কুলির চরিত্রটা অনেকটা এ রকমই।
নাগার্জুনার প্রসঙ্গ টেনে রজনীকান্ত বললেন, শুটিংয়ে গিয়ে দেখি, নাগার্জুনা এখনো একদম আগের মতোই আছে। চুল এখনো ঘন কালো। আর আমারটা— সব উধাও। জানতে চাইলাম—এর পেছনে রহস্য কী? বললেন—ব্যায়াম।
এখানেই থেমে থাকেননি। নিজের বয়স ও শারীরিক সীমাবদ্ধতা নিয়েও হালকা ঠাট্টা করলেন রজনীকান্ত। কোরিওগ্রাফার স্যান্ডিকে উদ্দেশ করে বললেন, প্রথম গানে ও বলল— একেবারে উড়িয়ে দিন। আমি বললাম— দেখো ভাই, আমি ১৯৫০ সালের মডেল, অনেক দূর দৌড়েছি জীবনে। যন্ত্রপাতি বদলেছে বহুবার! অত চাপ দিও না, একটু সাবধানে নিও।