ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কাশীপুর ঈদের জামাতে খালেদা জিয়ার নাম না বলায় খতিবকে চাকুরীচ্যুতের হুমকি

কাশীপুর ঈদের জামাতে খালেদা জিয়ার নাম না বলায় খতিবকে চাকুরীচ্যুতের হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
  • / ৮৪ জন পড়েছেন
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুরে ঈদের জামাত শেষে দোয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় ইমামকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈকত হাসান ইকবাল বিরুদ্ধে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮ টার দিকে কাশীপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় জামাত শেষে এ ঘটনা ঘটে। ওই জামাতের ইমামতি করেন চরকাশীপুরের আঞ্জুবাহার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভুক্তভোগী ওই ইমাম ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সহ প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে ‘হেনস্থা ও তার চাকরিচূত করার কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘ঈদের দিনে ঈদগাহ থেকে মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরলাম…’ এরপর তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে স্থানীয় এক যুবদল নেতা ইকবাল তার সাথে বাজে আচরণ করেন ও চাকরীচূত করার হুমকি দেন বলে তিনি স্ট্যাটানে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, পৌনে ৮টার দিকে কাশীপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়৷ নামাজ শুরুর আগে স্থানীয় এক ব্যক্তি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা দোয়া করতে অনুরোধ করেন৷ কিন্তু আমি দোয়ায় অসুস্থ সকলের আরোগ্য কামনা করেছি, তবে বিশেষ কারও নাম উল্লেখ করেননি৷ কারণ এটি আম-মজলিস। এখানে সব দলের লোকই আছে। তাই বিতর্ক এড়াতে নির্দিষ্ট দলের কারো নাম উল্লেখ করা উচিত হবে না ভেবেই তা করিনি৷ তাছাড়া, উনি (খালেদা জিয়া) রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদেও নেই, সুতরাং তার নাম উল্লেখে কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই৷ আমি সকলের রোগমুক্তি কামনা করেছি৷
তিনি আরও বলেন, নামাজ শেষে উঠে আসার সময় যুবদল নেতা সৈকত হাসান ইকবাল আমাকে রীতিমত জেরা করে। দোয়ায় খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন ও আমার চাকরী খেয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়েছে। এছাড়া তিনি আমাকে দেখে নিবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।  এই ঘটনায় আমি আমার সংগঠনের উধ্বতনদের জানিয়েছি। বিকেলে এ বিষয়ে মিটিং শেষে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈকত হাসান ইকবাল বলেন, আমার তার সাথে খারাপ ব্যবহার করি নাই এবং তার চাকরী খাওয়ার কথাও বলি নাই। আমি শুধু তাকে বলেছি, অনুরোধ করার পরও কেন খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করে দোয়া করলেন না। উনি আমাকে এর জবাবে বলেন, তিনি এই নাম উল্লেখ করতে বাধ্য নন। তখন আমি তাকে আরও জিজ্ঞাসা করি, ‘আপনি কোথায় চাকরী করেন’।

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এড্রেস লিখুন :

কাশীপুর ঈদের জামাতে খালেদা জিয়ার নাম না বলায় খতিবকে চাকুরীচ্যুতের হুমকি

কাশীপুর ঈদের জামাতে খালেদা জিয়ার নাম না বলায় খতিবকে চাকুরীচ্যুতের হুমকি

আপডেট সময় : ০৯:৩৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুরে ঈদের জামাত শেষে দোয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় ইমামকে চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈকত হাসান ইকবাল বিরুদ্ধে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮ টার দিকে কাশীপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় জামাত শেষে এ ঘটনা ঘটে। ওই জামাতের ইমামতি করেন চরকাশীপুরের আঞ্জুবাহার জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভুক্তভোগী ওই ইমাম ও বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সহ প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসে ‘হেনস্থা ও তার চাকরিচূত করার কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘ঈদের দিনে ঈদগাহ থেকে মনে কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরলাম…’ এরপর তিনি ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। সেখানে স্থানীয় এক যুবদল নেতা ইকবাল তার সাথে বাজে আচরণ করেন ও চাকরীচূত করার হুমকি দেন বলে তিনি স্ট্যাটানে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুফতি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক বলেন, পৌনে ৮টার দিকে কাশীপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়৷ নামাজ শুরুর আগে স্থানীয় এক ব্যক্তি খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা দোয়া করতে অনুরোধ করেন৷ কিন্তু আমি দোয়ায় অসুস্থ সকলের আরোগ্য কামনা করেছি, তবে বিশেষ কারও নাম উল্লেখ করেননি৷ কারণ এটি আম-মজলিস। এখানে সব দলের লোকই আছে। তাই বিতর্ক এড়াতে নির্দিষ্ট দলের কারো নাম উল্লেখ করা উচিত হবে না ভেবেই তা করিনি৷ তাছাড়া, উনি (খালেদা জিয়া) রাষ্ট্রীয় কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদেও নেই, সুতরাং তার নাম উল্লেখে কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই৷ আমি সকলের রোগমুক্তি কামনা করেছি৷
তিনি আরও বলেন, নামাজ শেষে উঠে আসার সময় যুবদল নেতা সৈকত হাসান ইকবাল আমাকে রীতিমত জেরা করে। দোয়ায় খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করায় তিনি আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন ও আমার চাকরী খেয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়েছে। এছাড়া তিনি আমাকে দেখে নিবেন বলে হুমকি দিয়েছেন।  এই ঘটনায় আমি আমার সংগঠনের উধ্বতনদের জানিয়েছি। বিকেলে এ বিষয়ে মিটিং শেষে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ফতুল্লা থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সৈকত হাসান ইকবাল বলেন, আমার তার সাথে খারাপ ব্যবহার করি নাই এবং তার চাকরী খাওয়ার কথাও বলি নাই। আমি শুধু তাকে বলেছি, অনুরোধ করার পরও কেন খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ করে দোয়া করলেন না। উনি আমাকে এর জবাবে বলেন, তিনি এই নাম উল্লেখ করতে বাধ্য নন। তখন আমি তাকে আরও জিজ্ঞাসা করি, ‘আপনি কোথায় চাকরী করেন’।