১৫ মাসেই লন্ডভন্ড বিএনপি

- আপডেট সময় : ০৩:৫৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫
- / ৯ জন পড়েছেন
লন্ড ভন্ড এখন বিএনপির জনসমর্থন। ৪টি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সংসদে ছাত্রদলের ভুমি ধ্বস, পাহার ধ্বস ও সুনামি ধ্বস পরাজয় । ছাত্র শিবির একসময়ে রগ কাটার সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। সেই শিবির কি এত জনপ্রিয়? তাদের এ জয়ের নেপথ্যে কি সে বিশ্লেষন করছে ভোটাররা। মাত্র ১৫ মাসের বিতর্কিত রাজনীতিতে আশংকাজনকহারে কমেছে বিএনপির ভোট। দেশের সবগুলো জেলায় কর্মী সংকটে বিএনপি। দলে যারাই রয়েছেন তারা সকলেই নেতা। কর্মী নেই। নেই কোন চেইন অব কমান্ড। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় বিএনপি ও তার অংগ সংগঠনের অসংখ্য নেতার সমাহার। যে যার মত করে চালাচ্ছে অপকর্ম। কেউ কারো মানছে না। মাত্র ১৫ মাসেই বিএনপির নিরব ভোটারদের একটি বড় অংশ এখন বিরক্ত। তারা বলছেন, এই বাংলাদেশ তারা চাননি। চাননি বিএনপির এরূপ লন্ডভন্ড নিয়ন্ত্রনহীন অবস্থা। গত ১ মাসে সরেজমিন অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়ংকর চিত্র।
বিএনপির মুল পুজি সমর্থক ভোটার, সেখানেই এখন শুরু হয়েছে ধ্বস। ভোটারদের মধ্যে বিকল্প চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারছেন না এসকল ভোটাররা। তারা বলছেন ক্ষমতায় না যেতেই হাট, ঘাট, মাঠ, টেন্ডাবাজি, চাঁদাবাজি, কেন্দ্রীয় নেতাদের আর্থিক সুবিধা আদায়, স্কুল পরিচালনা কমিটি দখল, প্রশাসনকে অযৌক্তিকভাবে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা, পতিত সরকারের লোকজনকে আশ্রয় দেয়া, ভুমি দখল এখন বিএনপির নিত্যদিনের কর্ম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল বাম দলগুলো ও আওয়ামীলীগ। এদের ভোটগুলো গেল কোথায়? নিশ্চয় তাদের ভোট পেয়েছে ছাত্রশিবির। পরবর্তি জাতীয় নির্বাচনে এদের ভোট কি জামায়াতের বাক্সে যাবে না? ছাত্রদলের পরাজয়ের কারণ কি? ৫ আগষ্টের অভ্যুত্থানে শিবির ভুমিকা ছিল মুখ্য। এরপরই তারা সম অধিকার নিয়ে রাজনীতির মাঠে বিচরণ শুরু করে। শিবির শুরু করে কল্যাণকর রাজনীতি। যেখানে সমস্যা সেখানেই পৌছে গেছে শিবিরের নেতাকর্মীরা। পরিকল্পিত রাজনীতি দিয়ে তারা রগকাটার বদনাম ঘুচিয়ে সেবামুলক রাজনীতিতে সফল হয়। অপরদিকে ছাত্রদল ৫ আগষ্টের পর শুরু করে ‘ভাইয়ার’ রাজনীতি। একেকজন একেক ভাইয়ের রাজনীতি শুরু করে। ছাত্রদলের প্রতিটি কমিটি হয় কেন্দ্র থেকে। কমিটি যাকে বসায় সেই হয় নেতা। কেন্দ্রীয় কমিটি যার থেকে টাকা পায় তাকেই নেতা বানায়। নেতৃত্ব দেবার যোগ্যতা থাকুক বা না থাকুক। হউক বা চরিত্রহীন কিংবা চাঁদাবাজ। শিবির এক্ষেত্রে কমিটি করে নিজেরদের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে। আমীরের কোন হাত থাকে না। শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের বাজার করে দিতে হয় না। ছাত্রদলের কমিটি বানায় কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। ফলে খোদ ছাত্রদলের ভেতরেই থাকে অসন্তোষ। ফলে ভোটের ক্ষেত্রে তারা ছাত্রদলের মনোনীতকে ভোট দেয় কিনা সেটা নিয়েও বিরাট সন্দেহ রয়েছে।
খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান অতি দু:সময়ে যে বিএনপিটাকে ধরে রেখেছেন। যেভাবে পরিচালনা করতে চেয়েছেন, যা চাইছেন, তা কি নেতাকর্মীরা পালন করছেন না বিন্দু মাত্রও। যার যার আখের ঘোঁচাতে ব্যস্ত বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিএনপি এখন যে মতের উপর চলছে তা কি জনগনের মত? বিএনপি বলছে জনগন চাইলে এইটা হবে জনগন চাইলে ওটা হবে। কিন্তু বিএনপি কি জনগনের উপর নির্ভর করছে। দেশে বসে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাষা কি জনগনের পক্ষে যাচ্ছে? বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় আসার জন্য ভারতের সাথে কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি বিশাল অংশ আতাত করছে। ক্ষমতায় যাবার জন্য বির্তকিত সেনা অফিসারদের সঙ্গেও তারা সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিতর্কিত সেসকল সেনা অফিসারদের সঙ্গে বৈঠকের খবরও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধে ও প্রেসিডেন্ট চুপ্পুকে অপসারণে বাধা দিয়েছে। জনগনের এই দাবির উল্টো দিকে হাটছে। ৫ তারিখের পর থেকে নিজেদের মধ্যে চাঁদাবাজি, খুনাখুনি, হানাহানি হচ্ছে। দেশের মানুষ তা দেখছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে বিএনপি ক্ষমতায় এলে কি সাধারণ মানুষ নিরাপদ থাকবে। এই ভীতি দেখা দিয়েছে ভোটারদের মাঝে। আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনের প্রতিটিতেই ৪/৫জন করে মনোনয়ন প্রত্যাশি দাড়িয়ে গেছে। গ্রুপিং করছে নিজেদের মধ্যে। এটিই এখন বিএনপির জন্য বড় সংকট। দেখা যাবে মনোনয়ন না পেলে প্রতিটি আসনে জন দাড়িয়ে গেছে। পরিস্থিতি তখন কিভাবে সামলাবেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। দল থেকে বহিস্কারের ভোতা অস্ত্রকি তখন কাজ করবে। পরিস্থিতি এমনই এক জটিল অবস্থার মধ্যে উপনিত হয়েছে’ লোম্বা বাছলে কম্বলই থাকবে না।