ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শতভাগ পাস দেখাতে ‘কম নম্বর’ পাওয়াদের বাদ দিলে ব্যবস্থা: এহসানুল কবির প্রধান উপদেষ্টাকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ সালাহউদ্দিন আহমদের কৃষকের হাতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়বে বিএনপি: তারেক রহমান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হচ্ছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি সংস্কারের মধ্য দিয়েই বিএনপির জন্ম: মির্জা ফখরুল অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে বসছে ইসি কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে: তাহের গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ও ফল রপ্তানিতে সহায়তার আশ্বাস এফএওর যেনতেন নির্বাচন দিয়ে ‘সেফ এক্সিট’ নিতে দেওয়া হবে না: সারজিস কেন্দ্রিয় নেতাদের সঙ্গে বাবুলের বৈঠক

শতভাগ পাস দেখাতে ‘কম নম্বর’ পাওয়াদের বাদ দিলে ব্যবস্থা: এহসানুল কবির

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৩:২৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৫ জন পড়েছেন

দেশের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো ফলাফল নিশ্চিত করতে নিজেদের তৈরি করা মূল্যায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী ৩৩ নম্বরের বেশি পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও, প্রতিষ্ঠানের বিবেচনায় পর্যাপ্ত নম্বর না পেলে তাদের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) দিয়ে দেওয়া হয়।

এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠানে ৪০ থেকে ৫৫ শতাংশ নম্বর পাওয়ার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে।

তবে সামনে থেকে এমন ‘নিষ্ঠুর ও দায়িত্বহীন আচরণের’ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে এইচএসসি ফলাফল নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা এমনভাবে বাছাই করেন যে ৫৫ শতাংশের নিচে নম্বর পেলে শিক্ষার্থীকে রাখা হয় না। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সে পাস করেছে, কিন্তু আপনার বিবেচনায় খারাপ করেছে— এই কারণে আপনি তাকে টিসি দিয়ে দিয়েছেন। দেখা গেছে, শিক্ষার্থী ফেল করেনি— ফেলের ওপরে নম্বর পেয়েছে, কিন্তু নম্বর হয়তো খুব ভালো নয়। এ বিবেচনায় আপনি তাকে ১০-১২ বছর পড়ালেন, কিন্তু শেষে এসে দায়িত্ব নিলেন না। ঘাড় ধরে বের করে দিলেন— এটি অত্যন্ত অমানবিক ও দায়িত্বহীন আচরণ। ”

অধ্যাপক এহসানুল কবির জানান, তারা বিষয়গুলো দেখবেন। তাদের হাতে যতটুকু ক্ষমতা আছে, তা প্রয়োগ করা হবে। এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, কোনো শিক্ষার্থী কম নম্বর পেলে সেটি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়। অথচ সেই দায় শিক্ষার্থীর ওপর চাপিয়ে দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া— শতভাগ পাসের হার বজায় রাখার অভিপ্রায়; এটি আমার মনে হয় না কেউ সমর্থন করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নিষ্ঠুরতা ও দায়িত্বহীনতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

চেয়ারম্যান বলেন, পার্সেন্টেজে কিছু আসে যায় না। শতভাগ পাস দেখানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে পিষ্ট হচ্ছে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা। এই প্রতিযোগিতা আমরা ভবিষ্যতে রাখব না।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

শতভাগ পাস দেখাতে ‘কম নম্বর’ পাওয়াদের বাদ দিলে ব্যবস্থা: এহসানুল কবির

আপডেট সময় : ০৩:২৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

দেশের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো ফলাফল নিশ্চিত করতে নিজেদের তৈরি করা মূল্যায়ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী ৩৩ নম্বরের বেশি পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও, প্রতিষ্ঠানের বিবেচনায় পর্যাপ্ত নম্বর না পেলে তাদের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) দিয়ে দেওয়া হয়।

এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠানে ৪০ থেকে ৫৫ শতাংশ নম্বর পাওয়ার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে।

তবে সামনে থেকে এমন ‘নিষ্ঠুর ও দায়িত্বহীন আচরণের’ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে এইচএসসি ফলাফল নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা এমনভাবে বাছাই করেন যে ৫৫ শতাংশের নিচে নম্বর পেলে শিক্ষার্থীকে রাখা হয় না। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সে পাস করেছে, কিন্তু আপনার বিবেচনায় খারাপ করেছে— এই কারণে আপনি তাকে টিসি দিয়ে দিয়েছেন। দেখা গেছে, শিক্ষার্থী ফেল করেনি— ফেলের ওপরে নম্বর পেয়েছে, কিন্তু নম্বর হয়তো খুব ভালো নয়। এ বিবেচনায় আপনি তাকে ১০-১২ বছর পড়ালেন, কিন্তু শেষে এসে দায়িত্ব নিলেন না। ঘাড় ধরে বের করে দিলেন— এটি অত্যন্ত অমানবিক ও দায়িত্বহীন আচরণ। ”

অধ্যাপক এহসানুল কবির জানান, তারা বিষয়গুলো দেখবেন। তাদের হাতে যতটুকু ক্ষমতা আছে, তা প্রয়োগ করা হবে। এ ধরনের আচরণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, কোনো শিক্ষার্থী কম নম্বর পেলে সেটি ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়। অথচ সেই দায় শিক্ষার্থীর ওপর চাপিয়ে দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেওয়া— শতভাগ পাসের হার বজায় রাখার অভিপ্রায়; এটি আমার মনে হয় না কেউ সমর্থন করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নিষ্ঠুরতা ও দায়িত্বহীনতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

চেয়ারম্যান বলেন, পার্সেন্টেজে কিছু আসে যায় না। শতভাগ পাস দেখানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে পিষ্ট হচ্ছে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা। এই প্রতিযোগিতা আমরা ভবিষ্যতে রাখব না।