ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
শতভাগ পাস দেখাতে ‘কম নম্বর’ পাওয়াদের বাদ দিলে ব্যবস্থা: এহসানুল কবির প্রধান উপদেষ্টাকে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পরামর্শ সালাহউদ্দিন আহমদের কৃষকের হাতে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়বে বিএনপি: তারেক রহমান রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হচ্ছে জুলাই সনদের চূড়ান্ত অনুলিপি সংস্কারের মধ্য দিয়েই বিএনপির জন্ম: মির্জা ফখরুল অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বৈঠকে বসছে ইসি কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের কণ্ঠ রেকর্ড আছে: তাহের গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ ও ফল রপ্তানিতে সহায়তার আশ্বাস এফএওর যেনতেন নির্বাচন দিয়ে ‘সেফ এক্সিট’ নিতে দেওয়া হবে না: সারজিস কেন্দ্রিয় নেতাদের সঙ্গে বাবুলের বৈঠক

খাগড়াছড়িতে অবরোধ প্রত্যাহার হলে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হবে: ডিসি

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৬:১৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৩৩ জন পড়েছেন

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম জানিয়েছেন, অবরোধ প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খুব দ্রুতই ১৪৪ ধারাও তুলে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার গুইমারায় সংঘটিত সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।

পরিদর্শনকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেফালিকা ত্রিপুরা, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইতোমধ্যে আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আন্দোলনকারীরা ৮ দফা দাবি পেশ করেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। যে ৮টি দাবি তারা দিয়েছেন, তার ৭টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আলোচনার টেবিলেই সমাধান হবে। তাদের দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য অবরোধ প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গুইমারা পরিদর্শনকালে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসক সহিংসতার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আশ্বাস দেন।

পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের গতকাল রাতে সৎকার করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি ও গুইমারার ঘটনায় যারা মারা গেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হয়েছেন তাদের মামলা করার জন্য বলা হয়েছে। তারা মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। এ ঘটনায় কারা জড়িত তা তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে।

উল্লেখ্য, অবরোধ চলাকালে গত রোববার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার ও আশপাশের এলাকায় সহিংসতায় তিনজন পাহাড়ি নিহত হন। দোকানপাট, বাড়িঘর ও অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সেখানে সেনা কর্মকর্তাসহ বহু পাহাড়ি-বাঙালি আহত হন।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

খাগড়াছড়িতে অবরোধ প্রত্যাহার হলে ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হবে: ডিসি

আপডেট সময় : ০৬:১৯:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম জানিয়েছেন, অবরোধ প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে খুব দ্রুতই ১৪৪ ধারাও তুলে নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার গুইমারায় সংঘটিত সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।

পরিদর্শনকালে পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সেফালিকা ত্রিপুরা, পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েলসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইতোমধ্যে আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আন্দোলনকারীরা ৮ দফা দাবি পেশ করেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আন্দোলনকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। যে ৮টি দাবি তারা দিয়েছেন, তার ৭টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আলোচনার টেবিলেই সমাধান হবে। তাদের দাবি-দাওয়া পূরণের জন্য অবরোধ প্রত্যাহার করা প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

গুইমারা পরিদর্শনকালে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। জেলা প্রশাসক সহিংসতার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে আশ্বাস দেন।

পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের গতকাল রাতে সৎকার করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি ও গুইমারার ঘটনায় যারা মারা গেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন হয়েছেন তাদের মামলা করার জন্য বলা হয়েছে। তারা মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে। এ ঘটনায় কারা জড়িত তা তদন্ত করে খুঁজে বের করা হবে।

উল্লেখ্য, অবরোধ চলাকালে গত রোববার গুইমারা উপজেলার রামসু বাজার ও আশপাশের এলাকায় সহিংসতায় তিনজন পাহাড়ি নিহত হন। দোকানপাট, বাড়িঘর ও অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সেখানে সেনা কর্মকর্তাসহ বহু পাহাড়ি-বাঙালি আহত হন।