ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৬:০৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১১১ জন পড়েছেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশ হেফাজতে যুবক আব্দুল্লাহর (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ওবায়দুর রহমানকে প্রধান ও জেলা পুলিশের (ডিএসবি) পরিদর্শক মাহিদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিক সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত ওই যুবকের শরীরে স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রিন্স সরকার বলেন, নিহতের কপাল ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার ছলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামের একটি বাড়িতে ৫ লাখ টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহভাজন হিসেবে সলিমগঞ্জ বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারাপুরের যুবক আব্দুল্লাহকে আটক করে মারধর করে নবীনগরের বাড়াইলের লোকজন। প্রচণ্ড মারধরের পর গুরুতর আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আবদুল্লাকে সোপর্দ করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ফাঁড়িতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তাকে অজ্ঞাত কারণে চারদিন আটকে রেখে তার ওপর নির্যাতন চালায়। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) এহতেশামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তার নির্দেশে সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় ছলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিমউদ্দিনকে প্রধান আসামিসহ বাড়াইল গ্রামের তবি মিয়া, আলামিন, আয়নাল হক এ চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০–২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এহতেশামুল হক আজ দুপুরে কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মহিমউদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

আপডেট সময় : ০৬:০৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশ হেফাজতে যুবক আব্দুল্লাহর (২৮) মৃত্যুর ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ওবায়দুর রহমানকে প্রধান ও জেলা পুলিশের (ডিএসবি) পরিদর্শক মাহিদুল ইসলামকে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তাৎক্ষণিক সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত ওই যুবকের শরীরে স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রিন্স সরকার বলেন, নিহতের কপাল ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর উপজেলার ছলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামের একটি বাড়িতে ৫ লাখ টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্দেহভাজন হিসেবে সলিমগঞ্জ বাজার থেকে পার্শ্ববর্তী বাঞ্ছারাপুরের যুবক আব্দুল্লাহকে আটক করে মারধর করে নবীনগরের বাড়াইলের লোকজন। প্রচণ্ড মারধরের পর গুরুতর আহত অবস্থায় সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে আবদুল্লাকে সোপর্দ করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ফাঁড়িতে সোপর্দ করার পর পুলিশ তাকে অজ্ঞাত কারণে চারদিন আটকে রেখে তার ওপর নির্যাতন চালায়। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়।এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) এহতেশামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে তার নির্দেশে সলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সাকিল মিয়া বাদী হয়ে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলায় ছলিমগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মহিমউদ্দিনকে প্রধান আসামিসহ বাড়াইল গ্রামের তবি মিয়া, আলামিন, আয়নাল হক এ চারজনের নাম উল্লেখসহ আরও ২০–২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) এহতেশামুল হক আজ দুপুরে কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ঘটনায় ইতোমধ্যে মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এসআই মহিমউদ্দিনকে সাময়িক বহিষ্কার ও গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।