ঢাকা ০৯:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলাম

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৫ জন পড়েছেন

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাক্ষ্য দিতে গিয়েছেন।

নাহিদ ইসলাম এরআগে জানান, দুই দিনের মধ্যেই তার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও, একই মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর জেরা শেষ না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।

বুধবার ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দি ও তার ওপর দুই দিনব্যাপী জেরা শেষ হওয়ার পর প্রসিকিউশন পক্ষ জানায়, আজই নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়েই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অধ্যায় সমাপ্ত হবে।’

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের অভিযোগে দায়ের হওয়া এই মামলাটি বর্তমানে বিচারকার্যের প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলাম

আপডেট সময় : ০৩:১৯:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সংক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় সাক্ষ্য দিতে গিয়েছেন।

নাহিদ ইসলাম এরআগে জানান, দুই দিনের মধ্যেই তার সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হবে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও, একই মামলায় সাক্ষ্য দেওয়া দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীর জেরা শেষ না হওয়ায় তা সম্ভব হয়নি।

বুধবার ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমানের জবানবন্দি ও তার ওপর দুই দিনব্যাপী জেরা শেষ হওয়ার পর প্রসিকিউশন পক্ষ জানায়, আজই নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য নেওয়া হবে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়েই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ অধ্যায় সমাপ্ত হবে।’

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের অভিযোগে দায়ের হওয়া এই মামলাটি বর্তমানে বিচারকার্যের প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।