ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাপতি সম্মেলনে মোদি

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:০৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১২ জন পড়েছেন

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার সকালে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজিত যৌথ সেনাপতি সম্মেলনে যোগ দেন। আগের দিন সন্ধ্যায়ই তিনি শহরে এসে পৌঁছান এবং প্রোটোকল অনুযায়ী রাত কাটান রাজভবনে।

সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি যান ফোর্ট উইলিয়ামে, পাঁচ মিনিট পরেই পৌঁছে যান বিজয় দুর্গে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টানা দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনি অংশ নেন সম্মেলনে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সিডিএস অনিল চৌহান, তিন বাহিনীর প্রধানসহ দেশীয় সেনা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে মূলত আলোচিত হয় বাহিনীগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়, প্রযুক্তিগত দিক থেকে আধুনিকীকরণ, এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতিমধ্যেই একদিন আগে কলকাতায় এসে ওঠেন ফোর্ট উইলিয়ামে।

প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের বিশেষ দিক হলো এতে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। সাধারণত বাংলায় এলে তিনি জনসভায় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় রাজনীতিকে কেন্দ্র করে সমালোচনা বা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এবারে তেমন কিছুই ঘটেনি। নির্বাচনের আগমুহূর্তে এ ধরনের সফর তাই কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছালে বিজেপি কর্মীরা ঢাকঢোল বাজিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে সমর্থনকারীদের অভিবাদন জানান। সোমবার দুপুর ১টার পর ফোর্ট উইলিয়ামের সম্মেলন শেষে তিনি যান কলকাতা হেলিপ্যাডে, সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে পৌঁছান বিমানবন্দরে। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তিনি বিমানে ওঠেন পূর্ণিয়ার উদ্দেশে।

চলতি বছরে এটি তার চতুর্থ বঙ্গ সফর হলেও এবারের সফরকে বলা যায় সম্পূর্ণ সরকারি। রাজনৈতিক আক্রমণ বা প্রতিশ্রুতির ঝড় শোনা না গেলেও সরকারি মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি রাজনৈতিক মহলে আলাদা গুরুত্ব বহন করছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাপতি সম্মেলনে মোদি

আপডেট সময় : ০৪:০৯:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার সকালে কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে আয়োজিত যৌথ সেনাপতি সম্মেলনে যোগ দেন। আগের দিন সন্ধ্যায়ই তিনি শহরে এসে পৌঁছান এবং প্রোটোকল অনুযায়ী রাত কাটান রাজভবনে।

সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি যান ফোর্ট উইলিয়ামে, পাঁচ মিনিট পরেই পৌঁছে যান বিজয় দুর্গে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টানা দুপুর ১টা পর্যন্ত তিনি অংশ নেন সম্মেলনে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, সিডিএস অনিল চৌহান, তিন বাহিনীর প্রধানসহ দেশীয় সেনা বাহিনীর উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে মূলত আলোচিত হয় বাহিনীগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয়, প্রযুক্তিগত দিক থেকে আধুনিকীকরণ, এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতিমধ্যেই একদিন আগে কলকাতায় এসে ওঠেন ফোর্ট উইলিয়ামে।

প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের বিশেষ দিক হলো এতে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। সাধারণত বাংলায় এলে তিনি জনসভায় বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় রাজনীতিকে কেন্দ্র করে সমালোচনা বা প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এবারে তেমন কিছুই ঘটেনি। নির্বাচনের আগমুহূর্তে এ ধরনের সফর তাই কৌতূহলের জন্ম দিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছালে বিজেপি কর্মীরা ঢাকঢোল বাজিয়ে তাঁকে অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে সমর্থনকারীদের অভিবাদন জানান। সোমবার দুপুর ১টার পর ফোর্ট উইলিয়ামের সম্মেলন শেষে তিনি যান কলকাতা হেলিপ্যাডে, সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে পৌঁছান বিমানবন্দরে। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে তিনি বিমানে ওঠেন পূর্ণিয়ার উদ্দেশে।

চলতি বছরে এটি তার চতুর্থ বঙ্গ সফর হলেও এবারের সফরকে বলা যায় সম্পূর্ণ সরকারি। রাজনৈতিক আক্রমণ বা প্রতিশ্রুতির ঝড় শোনা না গেলেও সরকারি মঞ্চে তাঁর উপস্থিতি রাজনৈতিক মহলে আলাদা গুরুত্ব বহন করছে।