নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের জনপ্রিয় সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনিকে ঘায়েল করার জন্য নারায়ণগঞ্জের একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তাকে ব্যবহার করছেন বিএনপির এক কেন্দ্রীয় নেতা। রনিকে একজন চাঁদাবাজ হিসাবে চিহ্নিত করে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ কাজ করেছেন বলে জানা গেছে। চেষ্ঠা চলছে রনিকে গ্রেফতার করানোর। কিন্তু সমস্যা হলো ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা রনির বিরুদ্ধে রিপোর্ট পাঠালেও তার কাছে রনির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ বা তথ্য নেই।

চাঁদাবাজ হতে হলেতো রনিকে কারো কাছে চাঁদা চাইতে হবে। কোনো ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, জমির মালিক অথবা যেকোনো ব্যাক্তিকে চাঁদাবাজীর অভিযোগ করতে হবে। কোনো থানায় রনির বিরুদ্ধে কোনো জিডি বা অভিযোগ হলো না। নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরাও কোনো অভিযোগ পেলেন না।

কোনো পত্রিকায় কোনো রিপোর্ট প্রকাশ হলো না। অথচ তিনি রিপোর্ট পাঠালেন রনি শীর্ষ চাঁদাবাজ। কি ভয়ানক ষড়যন্ত্র।

এদিকে রনির বিরুদ্ধে এখন যে ষড়যন্ত্র চলছে এমন ষড়যন্ত্র পলাতক এমপি শামীম ওসমানও তার বিরুদ্ধে করেছিলেন। তখন শামীম ওসমানের ইশারায় নারায়ণগঞ্জের তৎকালিন এসপি রনিকে ক্রসফায়ার করারও চেষ্ঠা করেছিলো। রনির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে একের পর এক মামলা করেছিলো।

গ্রেফতার করে বার বার রিমান্ডে নিয়ে তাকে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয়েছিলো। কিন্তু ওই সময় কিছু মিডিয়ার শক্ত অবস্থানের কারনে শেষ পর্যন্ত তাকে ক্রসফায়ার করা সম্ভব হয় নাই। কিন্তু তখন তার বিরুদ্ধে শামীম ওসমানের ইশারায় যেভাবে একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছিলো ঠিক একই ভাবে এখন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট গোয়েন্দা রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে।

অথচ রনি এই জেলায় যুবদল তথা বিএনপির একজন উদীয়মান জনপ্রিয় নেতা। সুখে দু:খে মানুষ তাকে পাশে পাচ্ছে। বিগত সরকারের আমলেও তিনি বিরাট ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাই তার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনায় ইর্ষান্বিত হয়ে তাকে এখানেই থামিয়ে দেয়ার চেষ্ঠা চলছে। ফলে ভয়ানক ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন মশিউর রহমান রনি। তবে সূত্র আরো জানিয়েছে বিএনপির কেন্দ্র বিগত সরকারের আমলে রনির যে অবধান সেটা অবগত রয়েছে এবং আগামী দিনে তিনি তার এই অবধানের মূল্যায়ন পাবেন বলেই ধারনা পাওয়া গেছে।