ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
টিএফআই সেলে গুম-নির্যাতন: আসামি হাসিনা, কামালসহ আরও যেসব ভিআইপি ভারতে কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনায় ঢাকার তীব্র নিন্দা ২৫ ডিসেম্বর পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হতে যাত্রীদের অনুরোধ বিমানের একনেকে ইস্টার্ন রিফাইনারি সম্প্রসারণসহ ২২ প্রকল্প অনুমোদন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণের অধ্যাদেশ সংশোধন শেখ হাসিনা ও সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ জনের বিচার শুরু টয়োটা বাংলাদেশের এমডিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার সত্যতা পেয়েছে পিবিআই শাহজালাল বিমানবন্দরে সহযাত্রী প্রবেশ নিষিদ্ধ তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ঘিরে শাহজালাল বিমানবন্দরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আসন সমঝোতায় নারায়ণগঞ্জ–৪ এ জোট প্রার্থী মুফতি মনির কাসেমী
স্থিতিশীল সবজির বাজার, কমেছে ইলিশের দাম

স্থিতিশীল সবজির বাজার, কমেছে ইলিশের দাম

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • / ১২১ জন পড়েছেন

সোজাসাপটা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল। সবজি কিনে ক্রেতারাও স্বস্তি প্রকাশ করছেন। দাম কমলেও কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় ইলিশ মাছের বিক্রি বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ইলিশের দামও কিছুটা কমেছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের দিগুবাবুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাজারে বেগুন প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর মুখী ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঝিঙা ৬০ টাকা, কাঁচা আম ৫০ টাকা এবং কাঁচামরিচ প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা এবং পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে করলার দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটোর কেজি ১২০ টাকা, ইন্ডিয়ান গাজর ১৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, দেশি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা।
লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩৫০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ৪০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে আলুর কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তাদের মতে গত বছর এই সময় বাজারে সব কিছুর দাম আগুন ছিল। এ বছর সব কিছুর দাম সহনশীল রয়েছে।
বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ইসমাইল হোসেন বলেন, সবজির দাম স্থিতিশীল। গত বছর এই সময় কোনো সবজি ৮০ টাকার নিচে কেনা যায়নি। অথচ এ বছর গরিব মানুষও সবজি কিনে স্বস্তি পাচ্ছেন।
বাজারে সোনালি কক মুরগি ৩১০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগির কেজি ২৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারগুলোতে ইলিশের কেজি আকারভেদে এক হাজার ২০০ টাকা থেকে দুই হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাষের শিংয়ের (আকারভেদে) কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি শিং ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাষের পাঙাশের কেজি ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মলার কেজি ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা এবং পাঁচমিশালি ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংসের কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাং ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আদা ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১৩০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১৮০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকা।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

স্থিতিশীল সবজির বাজার, কমেছে ইলিশের দাম

স্থিতিশীল সবজির বাজার, কমেছে ইলিশের দাম

আপডেট সময় : ০৪:৩৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

সোজাসাপটা রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল। সবজি কিনে ক্রেতারাও স্বস্তি প্রকাশ করছেন। দাম কমলেও কাঁচা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় ইলিশ মাছের বিক্রি বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় ইলিশের দামও কিছুটা কমেছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) নারায়ণগঞ্জের দিগুবাবুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বাজারে বেগুন প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর মুখী ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ঝিঙা ৬০ টাকা, কাঁচা আম ৫০ টাকা এবং কাঁচামরিচ প্রকারভেদে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা এবং পেঁপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে করলার দাম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটোর কেজি ১২০ টাকা, ইন্ডিয়ান গাজর ১৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, দেশি শসা ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা।
লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩৫০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ৪০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে লাল শাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাঁটা শাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে আলুর কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ টাকা কমে ৬০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তাদের মতে গত বছর এই সময় বাজারে সব কিছুর দাম আগুন ছিল। এ বছর সব কিছুর দাম সহনশীল রয়েছে।
বাজারে কেনাকাটা করতে আসা ইসমাইল হোসেন বলেন, সবজির দাম স্থিতিশীল। গত বছর এই সময় কোনো সবজি ৮০ টাকার নিচে কেনা যায়নি। অথচ এ বছর গরিব মানুষও সবজি কিনে স্বস্তি পাচ্ছেন।
বাজারে সোনালি কক মুরগি ৩১০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড মুরগি ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগির কেজি ২৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সরবরাহ বাড়ায় গত সপ্তাহের তুলনায় ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। বাজারগুলোতে ইলিশের কেজি আকারভেদে এক হাজার ২০০ টাকা থেকে দুই হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাষের শিংয়ের (আকারভেদে) কেজি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি শিং ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাষের পাঙাশের কেজি ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মলার কেজি ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা এবং পাঁচমিশালি ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর মাংসের কেজি ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাং ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আদা ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, রসুন দেশি ১৩০ টাকা এবং ইন্ডিয়ান ১৮০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকা।