ঢাকা ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এরা দেশে এবং বিদেশে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে

ফতুল্লার ইসদাইরে বহালতবিয়তে আ.লীগের উজ্জল বাহিনী

স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫
  • / ৯৮ জন পড়েছেন

নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের দূর্ধর্ষ উজ্জল বাহিনী ইসদাইর ব্যাংক টাউন এলাকায় এখনো বহালতবিয়তে রয়েছে। জানা গেছে উজ্জলের নেতৃত্বে এরই মাঝে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে একটি স্বশস্ত্র গোপন গ্রুপ। এরা দেশে এবং বিদেশে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে।

 

সূত্র জানিয়েছে এদের এখন একটাই টার্গেট আওয়ামী লীগের জন্য প্রস্তুত থানা এবং গোপন তৎপরতা চালানো। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো উজ্জল কয়েকজন বিএনপি নেতাকে এবং পুলিশ প্রশাসনকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে এলাকায় অবস্থান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া উজ্জল বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন লোকাল নেতার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। এই নেতারাও নানা অপকর্মে উজ্জল বাহিনীকে ব্যবহার করছে।

অপরদিকে ৫ আগষ্টের আগে উজ্জল ওসমান পরিবারের পলাতক গডফাদার আজমেরী ওসমান এবং তার মায়ের শেল্টার নিয়ে ইসদাইর, গাবতলী ও আশপাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আজমেরী ওসমান এবং তার মা পারভিন ওসমানের ঘনিষ্ট হিসাবে উপস্থিত থাকতো। উজ্জল তখন আজমেরী ওসমানের মা পারভিন ওসমানকে আম্মাজান বলে সম্বোধন করতো।

ফলে তাদের সাথে উজ্জলের বহু ছবি রয়েছে। আর এসব ছবি দিয়ে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশের নেতারা পোষ্টার ছাঁপিয়ে তাদের গ্রেফতার দাবি করেছে। কিন্তু পুলিশ ও বিএনপির কয়েকজন নেতার শেল্টার পেয়ে তারা এখনো এলাকায় বহালতবিয়তে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত এই উজ্জল বাহিনীর সদস্য বিগত সরকারের পূরো সময় ধরে এতোটাই বেপরোয়া ছিলো যে তারা প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও মারধোর করতে ছাড়েনি। ওই সময় তারা র‌্যাব কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তুলেছিলো। তখন র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এই বাহিনীর আট জনকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছিলো। তখন এই বাহিনী গ্যাংস্টার বাহিনী নামে পরিচিতি লাভ করেছিলো।
এদিকে সূত্র আরো জানিয়েছে এই মুহুর্তে উজ্জল ও তার বাহিনী সারা নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা থানা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় হোয়াট্সএপ গ্রুপ এবং ফেসবুক গ্রুপ খুলে সংঘটিত হচ্ছে। এরা এমন ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে যে যেকোনো সময় ডাক এলে যাতে তারা ঝাপিয়ে পড়তে পারে।

 

তবে এরই মাঝে স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ উজ্জল বাহিনীর গোপন তৎপরতার বিষয়টি টের পেয়ে রুখে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। যার ফলে গত ২০ জুলাই রবিবার আবদুর রহিম নামক বিএনপির এক তৃনমূল কর্মীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে।

এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা এবং এলাকাবাসী সংঘটিত হয়ে উজ্জল সহ তিনজনকে ধরে অস্ত্র সহ পুলিশে সোপর্ধ করেছে। কিন্তু পুলিশ উজ্জলের পিতার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে তাদেরকে রাস্তায় নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে উজ্জলের পিতা আদম বেপারী আকবর নিজেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে এই আকবর কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে।

 

ইসদাইর ও গাবতলী এলাকায় তার বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং একটি কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে। এছাড়া আগে থেকেই আদম ব্যবসার মাধ্যমে বহু টাকা এবং জমিজমার মালিক হয়েছেন এই আকবর। তাই মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করে পিতা পুত্র মিলেই আওয়ামী লীগের পক্ষে সক্রিয় রয়েছে।

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এরা দেশে এবং বিদেশে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে

ফতুল্লার ইসদাইরে বহালতবিয়তে আ.লীগের উজ্জল বাহিনী

আপডেট সময় : ০১:৪৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫

নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের দূর্ধর্ষ উজ্জল বাহিনী ইসদাইর ব্যাংক টাউন এলাকায় এখনো বহালতবিয়তে রয়েছে। জানা গেছে উজ্জলের নেতৃত্বে এরই মাঝে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে একটি স্বশস্ত্র গোপন গ্রুপ। এরা দেশে এবং বিদেশে অবস্থান করা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে যোগাযোগ রাখছে।

 

সূত্র জানিয়েছে এদের এখন একটাই টার্গেট আওয়ামী লীগের জন্য প্রস্তুত থানা এবং গোপন তৎপরতা চালানো। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হলো উজ্জল কয়েকজন বিএনপি নেতাকে এবং পুলিশ প্রশাসনকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে এলাকায় অবস্থান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া উজ্জল বিএনপি ও যুবদলের কয়েকজন লোকাল নেতার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে। এই নেতারাও নানা অপকর্মে উজ্জল বাহিনীকে ব্যবহার করছে।

অপরদিকে ৫ আগষ্টের আগে উজ্জল ওসমান পরিবারের পলাতক গডফাদার আজমেরী ওসমান এবং তার মায়ের শেল্টার নিয়ে ইসদাইর, গাবতলী ও আশপাশের এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আজমেরী ওসমান এবং তার মা পারভিন ওসমানের ঘনিষ্ট হিসাবে উপস্থিত থাকতো। উজ্জল তখন আজমেরী ওসমানের মা পারভিন ওসমানকে আম্মাজান বলে সম্বোধন করতো।

ফলে তাদের সাথে উজ্জলের বহু ছবি রয়েছে। আর এসব ছবি দিয়ে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশের নেতারা পোষ্টার ছাঁপিয়ে তাদের গ্রেফতার দাবি করেছে। কিন্তু পুলিশ ও বিএনপির কয়েকজন নেতার শেল্টার পেয়ে তারা এখনো এলাকায় বহালতবিয়তে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত এই উজ্জল বাহিনীর সদস্য বিগত সরকারের পূরো সময় ধরে এতোটাই বেপরোয়া ছিলো যে তারা প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও মারধোর করতে ছাড়েনি। ওই সময় তারা র‌্যাব কর্মকর্তাদের গায়ে হাত তুলেছিলো। তখন র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এই বাহিনীর আট জনকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছিলো। তখন এই বাহিনী গ্যাংস্টার বাহিনী নামে পরিচিতি লাভ করেছিলো।
এদিকে সূত্র আরো জানিয়েছে এই মুহুর্তে উজ্জল ও তার বাহিনী সারা নারায়ণগঞ্জ শহর, ফতুল্লা থানা এবং সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকায় হোয়াট্সএপ গ্রুপ এবং ফেসবুক গ্রুপ খুলে সংঘটিত হচ্ছে। এরা এমন ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে যে যেকোনো সময় ডাক এলে যাতে তারা ঝাপিয়ে পড়তে পারে।

 

তবে এরই মাঝে স্থানীয় বিএনপির একটি অংশ উজ্জল বাহিনীর গোপন তৎপরতার বিষয়টি টের পেয়ে রুখে দাড়ানোর চেষ্টা করছে। যার ফলে গত ২০ জুলাই রবিবার আবদুর রহিম নামক বিএনপির এক তৃনমূল কর্মীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে।

এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা এবং এলাকাবাসী সংঘটিত হয়ে উজ্জল সহ তিনজনকে ধরে অস্ত্র সহ পুলিশে সোপর্ধ করেছে। কিন্তু পুলিশ উজ্জলের পিতার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে তাদেরকে রাস্তায় নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে উজ্জলের পিতা আদম বেপারী আকবর নিজেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী। বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে এই আকবর কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে।

 

ইসদাইর ও গাবতলী এলাকায় তার বেশ কয়েকটি বাড়ি এবং একটি কমিউনিটি সেন্টার রয়েছে। এছাড়া আগে থেকেই আদম ব্যবসার মাধ্যমে বহু টাকা এবং জমিজমার মালিক হয়েছেন এই আকবর। তাই মোটা অংকের টাকা বিনিয়োগ করে পিতা পুত্র মিলেই আওয়ামী লীগের পক্ষে সক্রিয় রয়েছে।