ঢাকা ১০:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করে শহীদদের ঋণ পরিশোধের এখনই সময়: তারেক রহমান পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাথমিকভাবে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে এনবিআরের আরও ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত বুধবার: নৌ উপদেষ্টা চট্টগ্রামের সাবেক ডিআইজিসহ আরও তিন পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত আ.লীগ নিষিদ্ধ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আমরা হতাশ: নুর মুজিববাদী সংবিধান ফেলে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে: আখতার হোসেন শহীদ আবু সাঈদের মায়ের দোয়া নিলেন নাহিদ বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবি নাহিদ ইসলামের প্যারিসে রেড অ্যালার্ট জারি

বন্দরে বিএনপির দুপক্ষের দ্বন্দ্বে এক রাতে ২ খুন

বন্দরে বিএনপির দুপক্ষের দ্বন্দ্বে এক রাতে ২ খুন
  • আপডেট সময় : ০১:৪৫:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • / ৯৯ জন পড়েছেন

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বিএনপির দুপক্ষের বিরোধের জেরে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে প্রতিপক্ষের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শনিবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার শাহী মসজিদ এলাকায় ও গভীর রাতে সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের সামনে ঘটনা দুটি ঘটে।

নিহত আব্দুল কুদ্দুস (৬০) বন্দর উপজেলার হাফেজীবাগ এলাকার মৃত সাদেক আলীর ছেলে ও নিহত মেহেদী সালেহ নগর এলাকার জলিল মুন্সির ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাওসার আশার অনুসারী রনি-জাফর গ্রুপের সঙ্গে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির নেতা হান্নান সরকারের অনুসারী বাবু-মেহেদীর বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত শুক্রবার দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৮ জন আহত হয়। সেই বিরোধের জের ধরে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবু-মেহেদী গ্রুপের লোকজন রনি-জাফর গ্রুপের সমর্থক আব্দুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই খবর পেয়ে নিহতের স্বজন ও রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন রেললাইন সংলগ্ন এলাকার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

এদিকে রাত ১টার দিকে বন্দর সিরাজুদ্দৌলার ক্লাব মাঠ দিয়ে মেহেদী ও তার লোকজন যাওয়ার পথে তাদেরকে দেখে রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন ধাওয়া দিয়ে মেহেদীকে ধরে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে উভয়পক্ষের ছুরিকাঘাতে কুদ্দুস ও মেহেদী নিহত হয়েছেন। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী কালবেলাকে বলেন, রাতে দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বন্দরে বিএনপির দুপক্ষের দ্বন্দ্বে এক রাতে ২ খুন

আপডেট সময় : ০১:৪৫:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে বিএনপির দুপক্ষের বিরোধের জেরে এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে প্রতিপক্ষের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শনিবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার শাহী মসজিদ এলাকায় ও গভীর রাতে সিরাজউদ্দৌলা ক্লাবের সামনে ঘটনা দুটি ঘটে।

নিহত আব্দুল কুদ্দুস (৬০) বন্দর উপজেলার হাফেজীবাগ এলাকার মৃত সাদেক আলীর ছেলে ও নিহত মেহেদী সালেহ নগর এলাকার জলিল মুন্সির ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর রেললাইন অটোস্ট্যান্ড নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সিটি করপোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাওসার আশার অনুসারী রনি-জাফর গ্রুপের সঙ্গে ২১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির নেতা হান্নান সরকারের অনুসারী বাবু-মেহেদীর বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গত শুক্রবার দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৮ জন আহত হয়। সেই বিরোধের জের ধরে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাবু-মেহেদী গ্রুপের লোকজন রনি-জাফর গ্রুপের সমর্থক আব্দুল কুদ্দুসকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই খবর পেয়ে নিহতের স্বজন ও রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন রেললাইন সংলগ্ন এলাকার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

এদিকে রাত ১টার দিকে বন্দর সিরাজুদ্দৌলার ক্লাব মাঠ দিয়ে মেহেদী ও তার লোকজন যাওয়ার পথে তাদেরকে দেখে রনি-জাফর গ্রুপের লোকজন ধাওয়া দিয়ে মেহেদীকে ধরে গণপিটুনি ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের জেরে উভয়পক্ষের ছুরিকাঘাতে কুদ্দুস ও মেহেদী নিহত হয়েছেন। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। সেখানে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী কালবেলাকে বলেন, রাতে দুটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।