বাংলাদেশে খেলতে এসে বিরল রোগে আক্রান্ত হন এই ভারতীয় ক্রিকেটার
- আপডেট সময় : ০৮:৪২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
- / ১১ জন পড়েছেন
২০২২ সালে ভারত ‘এ’ দলের হয়ে বাংলাদেশ সফরে করেছিলেন তিলক ভার্মা। সেই সফরে ব্যাটিংয়ের সময় আঙ্গুল নাড়াতে পারছিলেন না তিনি। সে সময় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। এরপর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মালিক আকাশ আম্বানি ও বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) তৎকালীন সচিব জয় শাহ দ্রুত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে সুস্থ হন তিলক। সম্প্রতি এক ইউটিউব অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।
২২ বছর বয়সী তিলক বলেন, ‘আইপিএলে নিজের প্রথম মৌসুমের পর স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়ি। ফিট থাকতে চেয়েছি। কিন্তু আমার র্যাবডোমায়োলাইসিস ধরা পড়ে, যেটাতে পেশি ভেঙে যায়। তখন ঘরোয়ায় খেলে টেস্ট দলে জায়গা পাওয়ার লক্ষ্য ছিল।’
বাংলাদেশ সফরে দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলেছিল ভারতীয় ‘এ’ দল। এর মধ্যে প্রথম চারদিনের ম্যাচে ১০০ বলে ৩৩ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছড়েন তিলক। কক্সবাজারে হওয়া সেই ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত হয়েছিল ড্র। এই ম্যাচের পরই দ্রুত চিকিৎসা করাতে হয় তিলককে।
সেই সফরের স্মৃতিচারণ করে তিলক বলেন, ‘সেঞ্চুরি করার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু হঠাৎই আমার চোখে পানি আসতে শুরু করে এবং আঙুল নাড়াতে পারছিলাম না। ব্যাটও তুলতে পারছিলাম না। সবকিছু পাথরের মতো নিশ্চল মনে হচ্ছিল। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে চলে আসতে হয় এবং আঙুল নড়াচড়া করাতে না পারায় গ্লাভস কাটতে হয়েছিল।’
‘আমাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন আর কয়েক ঘণ্টা দেরি করলেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো। ইনজেকশন দেওয়ার সময় সুচ ভেঙে গিয়েছিল। খুব বাজে অবস্থা হয়েছিল সে সময়। মা ছিলেন আমার সঙ্গে’-যোগ করেন তিনি।
এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণও জানিয়েছেন তিলক। অতিরিক্ত অনুশীলনের পর রিকভারির জন্য যথেষ্ট সময়বের করেননি তিনি। তরুণ এই ক্রিকেটারের ভাষায়, ‘এমনকি বিশ্রামের দিনেও জিমে গিয়েছি। দুর্দান্ত ফিল্ডার ও সবচেয়ে ফিট খেলোয়াড় হতে চেয়েছিলাম। আইস বাথ নিয়েছি, কিন্তু সঠিকভাবে (শরীরের) ধকল পুষিয়ে ওঠাকে অবহেলা করেছি। মাংসপেশির ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে এবং তা ভেঙে যায়। স্নায়ুগুলোও খুব অনমনীয় হয়ে ওঠে।’
উল্লেখ্য যে, র্যাবডোমায়োলাইসিস একটি গুরুতর শারীরিক অবস্থা, যেখানে পেশির টিস্যু দ্রুত ভেঙে গিয়ে ক্ষতিকর উপাদান রক্তে মিশে যায়। এতে কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এটি সাধারণত অতিরিক্ত পরিশ্রম, পানিশূন্যতা বা শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার কারণে ঘটে।
























