ঢাকা ০১:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূঁইগড়ের শাহাদাত বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৬৫ জন পড়েছেন

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে ভূঁইগড় এলাকাবাসী। শাহাদাত বাহিনীর নানামুখী চাঁদাবাজিতে অনেকটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে সবাই। এমনটাই অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভূঁইগড় এলাকার একাধীক বাসিন্দা। তারা বলছেন, দিন যতই বাড়ছে ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছে শাহাদাত বাহিনী। তাদের অত্যাচারে রীতিমত এলাকাবাসি আতঙ্কিত। আমরা তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছি। আমরা তার কাছ থেকে মুক্তি চাই। এ জন্য আমরা জেলা পুলিশ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তারা যেন এ চাঁদাবাজাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের এ জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দেন।

জানাগেছে, পাঁচ আগস্টের পর যেসব সাদামাটা বিএনপি নেতারা আঙ্গুল ফোলে রাতারাতি কলাগাছ হয়েগেছেন, তাদেরই একজন শাহাদাত হোসেন। ৫ আগস্টের আগে খুব একটা মাঠে ময়দানে না থাকলেও জুলাই অভ্যুত্থানের পর শাহাদাত বাহিনী অনেকটা ভয়ংকর রূপ নিয়ে মাঠে নামে। তারা দলের কথা না ভেবে পুরোদমে চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েন। দলের পক্ষ থেকে বার বার নিষেধ করার স্বর্ত্বেও তারা দলকে অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি এখনও দেদারছে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন। যা দলের জন্য খুবই বিপদজনক।

সূত্র বলছে, শাহাদাত হোসেন এসব অপকর্মের জন্য বিশাল একটি বাহিনী গড়ে তোলেছেন। এ বাহিনীতে রয়েছে, হাকীম রাজিব, হুমায়ূন, নাজমুল হাসান ও আতাউর সহ আরও অনেকে। তারা উত্তর ভূঁইগড়, ভূঁইগড় বাসস্ট্যান্ড, ভূঁইগড় গিরিধারা, ভূঁইগড় শান্তিধারা ও সাইনবোর্ড এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন।

সূত্র আরও বলছে, আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদের ইন্টারনেট ব্যবসার শেল্টার দিয়ে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে শাহাদাত বাহিনী। এছাড়া মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী দোসরদের শেল্টার, সরকারি জায়গায় অবৈধ মেলা বসিয়ে সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা চাঁদা আদায়, ময়লার গাড়ি থেকে সুইপারদের ভয় দেখিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায়সহ গার্মেন্টসের জুট, বিভিন্ন ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানি, কাটন ও প্যাকেজিং মিল, অবৈধ কয়েল ফ্যাক্টরি, ইস্পাত মেশিনারিজ কোম্পানি ইত্যাদি থেকে বিকাশে চাঁদা আদায় করে থাকে এ শাহাদাত বাহিনী।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা বলছেন, চাঁদাবাজদের সাথে বিএনপির কোন সর্ম্পক নেই। যদি কেউ বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করে কিংবা কোন ধরনের অপকর্ম করে তাহলে সাথে সাথে তাকে আটক করে পুলিশে দিন। প্রয়োজনে আমাদের সহযোগীতা নিন। এদেরকে ভয় পাবে না। কারণ, এঁরা বিএনপির কেউ না। এদেরকে শক্তহাতে প্রতিহত করুন। মনে রাখবেন, আপনার পাশে বিএনপির নেতাকর্মীরা আছে, আপনার পাশে প্রশাসন আছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ভূঁইগড়ের শাহাদাত বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ

আপডেট সময় : ০১:৫৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠতে শুরু করেছে ভূঁইগড় এলাকাবাসী। শাহাদাত বাহিনীর নানামুখী চাঁদাবাজিতে অনেকটা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে সবাই। এমনটাই অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভূঁইগড় এলাকার একাধীক বাসিন্দা। তারা বলছেন, দিন যতই বাড়ছে ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছে শাহাদাত বাহিনী। তাদের অত্যাচারে রীতিমত এলাকাবাসি আতঙ্কিত। আমরা তার কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছি। আমরা তার কাছ থেকে মুক্তি চাই। এ জন্য আমরা জেলা পুলিশ প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পাশাপাশি বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তারা যেন এ চাঁদাবাজাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের এ জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দেন।

জানাগেছে, পাঁচ আগস্টের পর যেসব সাদামাটা বিএনপি নেতারা আঙ্গুল ফোলে রাতারাতি কলাগাছ হয়েগেছেন, তাদেরই একজন শাহাদাত হোসেন। ৫ আগস্টের আগে খুব একটা মাঠে ময়দানে না থাকলেও জুলাই অভ্যুত্থানের পর শাহাদাত বাহিনী অনেকটা ভয়ংকর রূপ নিয়ে মাঠে নামে। তারা দলের কথা না ভেবে পুরোদমে চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েন। দলের পক্ষ থেকে বার বার নিষেধ করার স্বর্ত্বেও তারা দলকে অনেকটা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখি এখনও দেদারছে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছেন। যা দলের জন্য খুবই বিপদজনক।

সূত্র বলছে, শাহাদাত হোসেন এসব অপকর্মের জন্য বিশাল একটি বাহিনী গড়ে তোলেছেন। এ বাহিনীতে রয়েছে, হাকীম রাজিব, হুমায়ূন, নাজমুল হাসান ও আতাউর সহ আরও অনেকে। তারা উত্তর ভূঁইগড়, ভূঁইগড় বাসস্ট্যান্ড, ভূঁইগড় গিরিধারা, ভূঁইগড় শান্তিধারা ও সাইনবোর্ড এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন।

সূত্র আরও বলছে, আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদের ইন্টারনেট ব্যবসার শেল্টার দিয়ে প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছে শাহাদাত বাহিনী। এছাড়া মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী দোসরদের শেল্টার, সরকারি জায়গায় অবৈধ মেলা বসিয়ে সপ্তাহে ১০ হাজার টাকা চাঁদা আদায়, ময়লার গাড়ি থেকে সুইপারদের ভয় দেখিয়ে প্রতি সপ্তাহে ৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায়সহ গার্মেন্টসের জুট, বিভিন্ন ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানি, কাটন ও প্যাকেজিং মিল, অবৈধ কয়েল ফ্যাক্টরি, ইস্পাত মেশিনারিজ কোম্পানি ইত্যাদি থেকে বিকাশে চাঁদা আদায় করে থাকে এ শাহাদাত বাহিনী।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতারা বলছেন, চাঁদাবাজদের সাথে বিএনপির কোন সর্ম্পক নেই। যদি কেউ বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করে কিংবা কোন ধরনের অপকর্ম করে তাহলে সাথে সাথে তাকে আটক করে পুলিশে দিন। প্রয়োজনে আমাদের সহযোগীতা নিন। এদেরকে ভয় পাবে না। কারণ, এঁরা বিএনপির কেউ না। এদেরকে শক্তহাতে প্রতিহত করুন। মনে রাখবেন, আপনার পাশে বিএনপির নেতাকর্মীরা আছে, আপনার পাশে প্রশাসন আছে।