ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এ কে আজাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৯ জন পড়েছেন
সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের আইজির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ আহ্বান জানান। তার দাবি, ফরিদপুর পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন ফ্যাসিবাদের দোসরদের সহযোগিতা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে গণসংযোগকালে বিএনপিকে উদ্দেশ করে উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়ায় সদর উপজেলার পরমানন্দপুর বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে হামলার মনগড়া তথ্য বানিয়ে এ কে আজাদ বিএনপি ও আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন।’এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নায়াব ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘পুলিশের ভয়ে অনেক নেতাকর্মীকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।’

তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজি ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘অতি দ্রুত কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ কে আজাদসহ ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন, মো. আজম খান, রাশেদুল ইসলাম লিটন, এ বি সিদ্দিকী মিতুল, মহানগর বিএনপির এ এফ এম কাইয়ুম, গোলাম মোস্তফা মিরাজ ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরিজ প্রমুখ।

এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে এ কে আজাদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ কে আজাদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

নায়াব ইউসুফ ফরিদপুর-সদর আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে। তিনি এ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন। এ ছাড়াও এই আসনের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদারেরছ আলী ইছা ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাহাবুব হাসান ভুঁইয়া পিংকু দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।

এর আগে রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে গণসংযোগকালে ফরিদপুর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি ও এ কে আজাদের বহরের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনার পর এ কে আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, চাঁদাবাজি ও পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু কাটার বিরোধিতা করার কারণেই পরমানন্দপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

এ কে আজাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান

আপডেট সময় : ০৬:০৪:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশের আইজির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। আজ মঙ্গলবার ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ আহ্বান জানান। তার দাবি, ফরিদপুর পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন ফ্যাসিবাদের দোসরদের সহযোগিতা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের নিয়ে গণসংযোগকালে বিএনপিকে উদ্দেশ করে উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়ায় সদর উপজেলার পরমানন্দপুর বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে হামলার মনগড়া তথ্য বানিয়ে এ কে আজাদ বিএনপি ও আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন।’এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নায়াব ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘পুলিশের ভয়ে অনেক নেতাকর্মীকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।’

তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের আইজি ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘অতি দ্রুত কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা শাখার সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ কে আজাদসহ ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি সদস্যসচিব এ কে কিবরিয়া স্বপন, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন, মো. আজম খান, রাশেদুল ইসলাম লিটন, এ বি সিদ্দিকী মিতুল, মহানগর বিএনপির এ এফ এম কাইয়ুম, গোলাম মোস্তফা মিরাজ ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরিজ প্রমুখ।

এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে এ কে আজাদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ কে আজাদকে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান দেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

নায়াব ইউসুফ ফরিদপুর-সদর আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে। তিনি এ আসন থেকে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন। এ ছাড়াও এই আসনের জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদারেরছ আলী ইছা ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাহাবুব হাসান ভুঁইয়া পিংকু দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী।

এর আগে রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে গণসংযোগকালে ফরিদপুর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদের গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ সময় ডিবি পুলিশের একটি গাড়ি ও এ কে আজাদের বহরের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনার পর এ কে আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, চাঁদাবাজি ও পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু কাটার বিরোধিতা করার কারণেই পরমানন্দপুরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।