ঢাকা ০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবশেষে বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন আবু ত্বহা-সাবিকুন নাহার

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৫:০০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৭ জন পড়েছেন

নানা বিতর্ক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সৃষ্টির পর অবশেষে বিচ্ছেদের পথেই হাটলেন ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান ও তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নিজেদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টির সমাধান হওয়ার কথা জানিয়েছেন দু’জনই।

আবু ত্বহা তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, দেশের বরেণ্য মুরুব্বি ওলামায়ে কেরামের মাশওয়ারার ভিত্তিতে শরিয়াহ মোতাবেক আমাদের পারিবারিক বিষয়গুলোর সুন্দর নিষ্পত্তি হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

তিনি আরও উল্লেখ করেন,

১. মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে তিনি সাবেক স্ত্রী সাবিকুন নাহারকে খোলা তালাকের প্রস্তাব দেন, যা তিনি গ্রহণ করেন। ফলে বর্তমানে তাদের মধ্যে কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক অবশিষ্ট নেই।

২. বিয়ের মোহরানা পূর্বেই পরিশোধ করা ছিল এবং এ বিষয়ে কোনো দেনা-পাওনা বাকি নেই।

৩. সাবিকুন নাহার পূর্বে মিরপুরস্থ Taw Haa Zin Nurain Islamic Center-এর উন্নয়ন প্রকল্পে স্বর্ণ ও নগদ অর্থ ধার হিসেবে প্রদান করেছিলেন, যা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে।

৪. সন্তানদের বিষয়েও শরিয়াহ মোতাবেক ফয়সালা হয়েছে এবং উভয় পক্ষই তা মেনে নিয়েছেন।

আবু ত্বহা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘৮ ভরি স্বর্ণের বিনিময়ে তালাক’-সংক্রান্ত গুজবকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন এবং সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।

অন্যদিকে, সাবিকুন নাহার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে আমাদের পারিবারিক ইস্যুটির অত্যন্ত সুন্দর ও উত্তম মীমাংসা হয়েছে।

তিনি আরও লেখেন, দীর্ঘ মানসিক লড়াই ও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে এই সমাধান এসেছে। এ প্রক্রিয়ায় আবেগবশত আমার দ্বারা যে কোনো ভুল বা গুনাহ হয়ে থাকলে, আমি প্রকাশ্যে আল্লাহর দরবারে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

সাবিকুন নাহার সবাইকে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য বা আলোচনা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে মিডিয়াগুলোর উদ্দেশে বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে আমার পারিবারিক আলোচনাসংবলিত প্রতিটি অডিও ও ভিডিও ক্লিপ ডিলিট করে দিন।’

উভয় পক্ষের এই অবস্থান প্রকাশের মধ্য দিয়ে ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান ও সাবিকুন নাহারের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধের অবসান ঘটল বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

অবশেষে বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন আবু ত্বহা-সাবিকুন নাহার

আপডেট সময় : ০৫:০০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

নানা বিতর্ক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা সৃষ্টির পর অবশেষে বিচ্ছেদের পথেই হাটলেন ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান ও তার স্ত্রী সাবিকুন নাহার।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) নিজেদের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টির সমাধান হওয়ার কথা জানিয়েছেন দু’জনই।

আবু ত্বহা তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন, দেশের বরেণ্য মুরুব্বি ওলামায়ে কেরামের মাশওয়ারার ভিত্তিতে শরিয়াহ মোতাবেক আমাদের পারিবারিক বিষয়গুলোর সুন্দর নিষ্পত্তি হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

তিনি আরও উল্লেখ করেন,

১. মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে তিনি সাবেক স্ত্রী সাবিকুন নাহারকে খোলা তালাকের প্রস্তাব দেন, যা তিনি গ্রহণ করেন। ফলে বর্তমানে তাদের মধ্যে কোনো বৈবাহিক সম্পর্ক অবশিষ্ট নেই।

২. বিয়ের মোহরানা পূর্বেই পরিশোধ করা ছিল এবং এ বিষয়ে কোনো দেনা-পাওনা বাকি নেই।

৩. সাবিকুন নাহার পূর্বে মিরপুরস্থ Taw Haa Zin Nurain Islamic Center-এর উন্নয়ন প্রকল্পে স্বর্ণ ও নগদ অর্থ ধার হিসেবে প্রদান করেছিলেন, যা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে।

৪. সন্তানদের বিষয়েও শরিয়াহ মোতাবেক ফয়সালা হয়েছে এবং উভয় পক্ষই তা মেনে নিয়েছেন।

আবু ত্বহা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ‘৮ ভরি স্বর্ণের বিনিময়ে তালাক’-সংক্রান্ত গুজবকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন এবং সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।

অন্যদিকে, সাবিকুন নাহার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন। ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে আমাদের পারিবারিক ইস্যুটির অত্যন্ত সুন্দর ও উত্তম মীমাংসা হয়েছে।

তিনি আরও লেখেন, দীর্ঘ মানসিক লড়াই ও উদ্বেগের মধ্য দিয়ে এই সমাধান এসেছে। এ প্রক্রিয়ায় আবেগবশত আমার দ্বারা যে কোনো ভুল বা গুনাহ হয়ে থাকলে, আমি প্রকাশ্যে আল্লাহর দরবারে তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।

সাবিকুন নাহার সবাইকে এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য বা আলোচনা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়ে মিডিয়াগুলোর উদ্দেশে বলেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে আমার পারিবারিক আলোচনাসংবলিত প্রতিটি অডিও ও ভিডিও ক্লিপ ডিলিট করে দিন।’

উভয় পক্ষের এই অবস্থান প্রকাশের মধ্য দিয়ে ইসলামিক বক্তা আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান ও সাবিকুন নাহারের দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিরোধের অবসান ঘটল বলে জানা গেছে।