ঢাকা ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা : আসামির মৃত্যুদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৭ জন পড়েছেন
মাদারীপুরে আলোচিত মাদরাসাছাত্রী সানজিদা আক্তার দীপ্তিকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ইজি বাইকচালক সাজ্জাদ হোসেন খানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশও দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাজ্জাদ হোসেন খান (৫৫) সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলাম খানের ছেলে।

নিহত সানজিদা আক্তার দীপ্তি সদর উপজেলার চরনাচনা গ্রামের হাজী মো. মজিবর ফকিরের মেয়ে।মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের বাবা মজিবর ফকির দীপ্তির লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় সদর মডেল থানায় ১৫ জুলাই অজ্ঞাতদের আসামি করে ধর্ষণ শেষে হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা।

পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয় ইজি বাইকচালক সাজ্জাদকে। তিনি দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর সাজ্জাদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম। এই ঘটনায় ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

আইনি প্রক্রিয়া ও যুক্তিতর্ক শেষে আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আদালত। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার বাদী ও নিহতের বাবা হাজী মো. মজিবর ফকির বলেন, ‘আমার মেয়েকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে সাজ্জাদ। আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট। আমি চাই দ্রুত রায় কার্যকর করা হোক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট শরীফ সাইফুল কবির জানান, ‘সাজ্জাদ তার কর্মের সাজা পেয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য দিয়ে ঘটনা প্রমাণ করেছে। এই রায়ের মাধ্যমে অন্য অপরাধীরাও এমন ঘটনার আর ঘটাতে সাহস পাবে না। দ্রুত রায় কার্যকর করার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’

ফরিদপুরের শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করে ২০১১ সালে মুক্তি পান ইজি বাইকচালক সাজ্জাদ হোসেন খান। এরপর আবারও ২০১৯ সালের ১১ জুলাই মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন তিনি।

ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা : আসামির মৃত্যুদণ্ড, ১০ লাখ টাকা জরিমানা

আপডেট সময় : ০৪:৫৪:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
মাদারীপুরে আলোচিত মাদরাসাছাত্রী সানজিদা আক্তার দীপ্তিকে (১৭) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ইজি বাইকচালক সাজ্জাদ হোসেন খানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ লাখ টাকা দিতে নির্দেশও দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত সাজ্জাদ হোসেন খান (৫৫) সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলাম খানের ছেলে।

নিহত সানজিদা আক্তার দীপ্তি সদর উপজেলার চরনাচনা গ্রামের হাজী মো. মজিবর ফকিরের মেয়ে।মামলার এজাহারে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের বাবা মজিবর ফকির দীপ্তির লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় সদর মডেল থানায় ১৫ জুলাই অজ্ঞাতদের আসামি করে ধর্ষণ শেষে হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা।

পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করা হয় ইজি বাইকচালক সাজ্জাদকে। তিনি দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর সাজ্জাদকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শহিদুল ইসলাম। এই ঘটনায় ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

আইনি প্রক্রিয়া ও যুক্তিতর্ক শেষে আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আদালত। একই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।মামলার বাদী ও নিহতের বাবা হাজী মো. মজিবর ফকির বলেন, ‘আমার মেয়েকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে সাজ্জাদ। আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট। আমি চাই দ্রুত রায় কার্যকর করা হোক।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট শরীফ সাইফুল কবির জানান, ‘সাজ্জাদ তার কর্মের সাজা পেয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষ্য দিয়ে ঘটনা প্রমাণ করেছে। এই রায়ের মাধ্যমে অন্য অপরাধীরাও এমন ঘটনার আর ঘটাতে সাহস পাবে না। দ্রুত রায় কার্যকর করার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’

ফরিদপুরের শিশু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করে ২০১১ সালে মুক্তি পান ইজি বাইকচালক সাজ্জাদ হোসেন খান। এরপর আবারও ২০১৯ সালের ১১ জুলাই মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন তিনি।