ঢাকা ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আমাদের দেখভাল করার মতো আর কেউ রইল না’

প্রতিবেদকের নাম :
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৯ জন পড়েছেন
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা মনিরুল ইসলাম। অশ্রুসিক্ত চোখে চারদিকে তাকিয়ে যেন হারানো ছেলেকে খুঁজে ফিরছেন তিনি। একটু পর পর হাউমাউ করে কেঁদে উঠছেন। ছেলেকে আর একবার দেখতে চাই-এমন আকুতি ছুঁয়ে যাচ্ছে উপস্থিত সবার হৃদয়।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেখভাল করার মতো আর কেউ রইল না।’এভাবেই আহাজারি করছিলেন রাজধানী ঢাকার মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত খালিদ হাসান সাব্বিরের বাবা মনিরুল ইসলাম।

অগ্নিকাণ্ডের তিন দিন পর গতকাল রবিবার ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে খালিদের মরদেহ শনাক্ত হয়। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।

সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে খালিদকে দাফন করা হয়।নিহতের বাবা মনিরুল ইসলাম জোমাদ্দার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘খালিদ আমার একমাত্র ছেলে ছিল। এখন আমাকে আর কেউ বাবা বলে ডাকবে না। মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগার খবর শোনার পর থেকে চোখে ঘুম নেই।

হাসপাতালে গিয়ে দেখি মরদেহগুলো এমন বিকৃত যে, চেনার উপায় নেই। শুধু ডিএনএ পরীক্ষার ভরসাতেই ছিলাম। এমন মৃত্যু যেন আর কারো ভাগ্যে না জোটে।’নিহত খালিদের স্ত্রী জানান, ঘটনার দিন তার সঙ্গে তেমন কথা হয়নি। শুধু কয়েকবার ‘হাই’, ‘হ্যালো’ মেসেজে কথা হয়।

দুপুরে এক পরিচিত লোক ফোন করে জানান খালিদের পাশের ভবনে আগুন লেগেছে। এরপর ফোন দিলেও আর যোগাযোগ করা যায়নি। তারপরই আমরা ঢাকা রওনা দিই।’
ট্যাগ :

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

‘আমাদের দেখভাল করার মতো আর কেউ রইল না’

আপডেট সময় : ০৬:১৮:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ বাবা মনিরুল ইসলাম। অশ্রুসিক্ত চোখে চারদিকে তাকিয়ে যেন হারানো ছেলেকে খুঁজে ফিরছেন তিনি। একটু পর পর হাউমাউ করে কেঁদে উঠছেন। ছেলেকে আর একবার দেখতে চাই-এমন আকুতি ছুঁয়ে যাচ্ছে উপস্থিত সবার হৃদয়।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেখভাল করার মতো আর কেউ রইল না।’এভাবেই আহাজারি করছিলেন রাজধানী ঢাকার মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে পোশাক কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত খালিদ হাসান সাব্বিরের বাবা মনিরুল ইসলাম।

অগ্নিকাণ্ডের তিন দিন পর গতকাল রবিবার ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে খালিদের মরদেহ শনাক্ত হয়। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে তার মরদেহ বাড়িতে আনা হয়।

সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে খালিদকে দাফন করা হয়।নিহতের বাবা মনিরুল ইসলাম জোমাদ্দার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘খালিদ আমার একমাত্র ছেলে ছিল। এখন আমাকে আর কেউ বাবা বলে ডাকবে না। মঙ্গলবার রাতে আগুন লাগার খবর শোনার পর থেকে চোখে ঘুম নেই।

হাসপাতালে গিয়ে দেখি মরদেহগুলো এমন বিকৃত যে, চেনার উপায় নেই। শুধু ডিএনএ পরীক্ষার ভরসাতেই ছিলাম। এমন মৃত্যু যেন আর কারো ভাগ্যে না জোটে।’নিহত খালিদের স্ত্রী জানান, ঘটনার দিন তার সঙ্গে তেমন কথা হয়নি। শুধু কয়েকবার ‘হাই’, ‘হ্যালো’ মেসেজে কথা হয়।

দুপুরে এক পরিচিত লোক ফোন করে জানান খালিদের পাশের ভবনে আগুন লেগেছে। এরপর ফোন দিলেও আর যোগাযোগ করা যায়নি। তারপরই আমরা ঢাকা রওনা দিই।’