ঢাকা ০৭:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিএনপির রাজনীতিতে নতুণ অধ্যায় সৃষ্টিতে মুক্তি পেলেন জাকির খান

বিএনপির রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় সৃষ্টিতে মুক্তি পেলেন জাকির খান

সোজাসাপটা রিপোর্ট :
  • আপডেট সময় : ০৮:১১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • / ৮৭ জন পড়েছেন

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের কারামুক্তির মাধ্যমে আবারও ঘুরে দাড়াল বিএনপি। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বাধভাঙ্গা আনন্দ উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে জাকির খানের মুক্তি যেন স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সুচান হল।

 হত্যাসহ ৩৩ মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জ  জাকির খান। রোববার (১৩ এপ্রিল) সোয়া দশটার দিকে জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

তাকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল সাতটা থেকে কারাফটকের সামনে ফুলের মালা ও গাড়িবহর নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন অনুসারী কর্মী-সমর্থকরা। কারামুক্ত হয়ে জাকির খান তাদের নিয়ে শহরে শোডাউন করেন। এতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়কসহ আশেপাশের সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কটির ঢাকামুখী লেনের উপর গাড়িবহর নেতা-কর্মীদের উপস্থিতির কারণে অন্তত দুই ঘন্টা যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। প্রায় তিন ঘন্টা পর এ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দীর্ঘ বছর পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১১ এর এক অভিযানে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জাকির খান। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদক আইনে ৩৩টি মামলা ছিল। গত বছরের ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি মামলায় জামিন ও খালাস পান জাকির খান।

সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ২২ বছর পর নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার রায়ে জাকিরসহ সকল আসামিকে খালাস দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম।

মামলায় খালাস পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন- জাকির খানের দুই ছোট ভাই জিকু খান ও মামুন খান, তার সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন, নাজির আহমেদ ও আব্দুল আজিজ।

২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজের বাড়ির অদূরে সাব্বির আলম খন্দকারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিট পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সাবেক সহসভাপতি সাব্বির বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) ও বর্তমানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই।

সাব্বির হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পর তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজীব মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “৩১টি মামলায় জাকির খান খালাস পেয়েছেন। দুটি চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলা এখনও তার বিরুদ্ধে চলমান থাকলেও তিনি ওই দুই মামলাতেও জামিনে রয়েছেন। মামলার কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না।”

রোববার সকালে কারাফটকের সামনে এ আইনজীবী বলেন, “জাকির খানের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। সবগুলোতেই তিনি খালাস কিংবা জামিনে আছেন।”

সংবাদটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এড্রেস লিখুন :

বিএনপির রাজনীতিতে নতুণ অধ্যায় সৃষ্টিতে মুক্তি পেলেন জাকির খান

বিএনপির রাজনীতিতে নতুন অধ্যায় সৃষ্টিতে মুক্তি পেলেন জাকির খান

আপডেট সময় : ০৮:১১:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের কারামুক্তির মাধ্যমে আবারও ঘুরে দাড়াল বিএনপি। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বাধভাঙ্গা আনন্দ উচ্ছাসের মধ্য দিয়ে জাকির খানের মুক্তি যেন স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সুচান হল।

 হত্যাসহ ৩৩ মামলার আসামি নারায়ণগঞ্জ  জাকির খান। রোববার (১৩ এপ্রিল) সোয়া দশটার দিকে জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।

তাকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল সাতটা থেকে কারাফটকের সামনে ফুলের মালা ও গাড়িবহর নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন অনুসারী কর্মী-সমর্থকরা। কারামুক্ত হয়ে জাকির খান তাদের নিয়ে শহরে শোডাউন করেন। এতে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়ক, বঙ্গবন্ধু সড়কসহ আশেপাশের সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কটির ঢাকামুখী লেনের উপর গাড়িবহর নেতা-কর্মীদের উপস্থিতির কারণে অন্তত দুই ঘন্টা যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। প্রায় তিন ঘন্টা পর এ সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দীর্ঘ বছর পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-১১ এর এক অভিযানে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন জাকির খান। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও মাদক আইনে ৩৩টি মামলা ছিল। গত বছরের ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকটি মামলায় জামিন ও খালাস পান জাকির খান।

সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি ২২ বছর পর নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার রায়ে জাকিরসহ সকল আসামিকে খালাস দেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম।

মামলায় খালাস পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন- জাকির খানের দুই ছোট ভাই জিকু খান ও মামুন খান, তার সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন, নাজির আহমেদ ও আব্দুল আজিজ।

২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি নগরীর মাসদাইর এলাকায় নিজের বাড়ির অদূরে সাব্বির আলম খন্দকারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিট পোশাক ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সাবেক সহসভাপতি সাব্বির বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) ও বর্তমানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই।

সাব্বির হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পর তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজীব মণ্ডল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “৩১টি মামলায় জাকির খান খালাস পেয়েছেন। দুটি চাঁদাবাজি ও অস্ত্র মামলা এখনও তার বিরুদ্ধে চলমান থাকলেও তিনি ওই দুই মামলাতেও জামিনে রয়েছেন। মামলার কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পর তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকবে না।”

রোববার সকালে কারাফটকের সামনে এ আইনজীবী বলেন, “জাকির খানের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। সবগুলোতেই তিনি খালাস কিংবা জামিনে আছেন।”